Home / উপজেলা সংবাদ / কচুয়া / চাঁদপুরে শাশুড়ি হত্যার দায়ে জামাতার ফাঁসি
hotta fashi
কচুয়ায় শাশুড়িকে হত্যার দায়ে স্বামীকে গণপিটুনি (ফাইল ছবি)

চাঁদপুরে শাশুড়ি হত্যার দায়ে জামাতার ফাঁসি

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার পাড়াগাঁও গ্রামে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাহের কাবিননামা করাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে শ^াশুড়ী খোদেজা বেগম (৪৮) কে হত্যা করার অপরাধে মেয়ের জামাতা এনায়েতুল ইসলাম সোহাগ (৩২) কে মৃত্যুদন্ড এবং ২ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত।

রোববার (৫ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টায় চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ সালেহ উদ্দিন আহমদ এই রায় দেন।

মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত এনায়েতুল ইসলাম সোহাগ বড়গুনা জেলার পাথরঘাটা থানার নাছনা গ্রামের খান বাড়ীর মৃত আলী আজম খানের ছেলে। হত্যার শিকার খোদেজা বেগম কচুয়া উপজেলার ১০নম্বর গোহট উত্তর ইউনিয়নের পাড়াগাঁও গ্রামের জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী।

মামলার বিবরণ থেকে জানাগেছে, ২০১৫ সালে ১৬ এপ্রিল রাত ৮ টায় খোদেজা বেগম এর মেয়ে শারমিন আক্তার ও তার স্বামী এনায়েত উল্যাহর সাথে বিয়ের কাবিননামা করাকে কেন্দ্র করে ঝগড়া বিবাদ শুরু হয়। এ সময় এনায়েত ঘরে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে শারমিনকে আঘাত করে। এ অবস্থায় শারমিনের মা খোদেজা বেগম মেয়েকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাকেও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে।

একই সময় শারমিনের ভাগিনা সোহাগকে কুপিয়ে জখম করে এনায়েত। তাদের চিৎকারে বাড়ীর লোকজন এগিয়ে আসে এবং ঘটনাস্থল থেকেই এনায়েতকে আটক করে কচুয়া থানা পুলিশে সোপর্দ করেন।

ঘটনার ১৮ মাস পূর্বে শারমিন ও এনায়েতের চট্টগ্রাম একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতে গিয়ে পরিচয় এবং বিয়ে হয়। তারা এরপর কচুয়ায় এসে কিছুদিন শারমিনদের বাড়ীতে থাকেন। কিন্তু তাদের বিয়ের কাবিননামা হয়নি। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া সূত্রপাত। বিয়ের ১১ মাস পর তারা উভয় কুমিল্লা একটি পোশাক কারখানায় চাকুরী নেয়। সেখান থেকে কচুয়া বাড়ীতে আসলে এই ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পরদিন ১৭ এপ্রিল নিহতের ছেলে জসিম মোল্লা বাদী হয়ে এনায়েতের বিরুদ্ধে কচুয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। (মামলা নং-৫) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কচুয়া থানার তৎকালীন সময়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নুরুল আমিন ওই বছর ৩০ জুন আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।

সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডঃ আমান উল্যাহ ও এপিপি অ্যাডঃ মোকতার আহমেদ অভি বলেন, এ ঘটনায় ১৯জনের স্বাক্ষ্য গ্রহন করে আদালত। এতে আসামীর অপরাধী প্রমাণিত হওয়ায় তার উপস্থিতিতে প্যানেল কোর্ডের ৩০২ ধারায় তাকে মৃত্যুদন্ড এবং ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

একই সাথে স্ত্রীকে জখম করার অপরাধে পেনেল কোডের ৩২৬ ধারায় ১০ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও ১হাজার টাকা জরিমানা এবং ভাগিনা সোহাগকে জখম করায় পানেল কোডের ৩২৪ ধারায় ৩ বছর কারাদন্ড এবং ১হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।

আসামীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন (স্টেট ডিফেন্স ল’ইয়ার) অ্যাডঃ আমিন আহমেদ।

ঘটনার পরের দিন চাঁদপুর টাইমসে প্রকাশিত তখনকার প্রতিবেদন…কচুয়ায় শাশুড়িকে হত্যার দায়ে স্বামীকে গণপিটুনি

করেসপন্ডেন্ট
: আপআপডেট, বাংলাদেশ ৮:০৩ এএম, ৫ নভেম্বর, ২০১৭ রোববার
ডিএইচ

Leave a Reply