Home / উপজেলা সংবাদ / হাজীগঞ্জ / হিজাব পরায় হাজীগঞ্জ জেএসসি কেন্দ্রে ‘খাতা আটক’
Muslim hizab nari
প্রতীকী

হিজাব পরায় হাজীগঞ্জ জেএসসি কেন্দ্রে ‘খাতা আটক’

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার স্কুল, মাদ্রাসাসহ মোট ১১টি কেন্দ্রে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা চলমান রয়েছে।

এরইমধ্যে এসব কেন্দ্রগুলোতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে আসলেও হাজীগঞ্জ আমিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে অনেকটাই ব্যতিক্রমভাবে পরিক্ষা গ্রহণ চলছে বলে অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন।

ওই কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলীগঞ্জ পিটিআইয়ের ইন্সট্রাক্টর মো. সফিকুল ইসলাম পরিক্ষার প্রথমদিন থেকেই হিজাব পরা পরিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ভাবে নাজেহাল করছে বলে অনেক পরিক্ষার্থী তাদের অভিভাবকদের অভিযোগ রয়েছে।

পরিক্ষার ২য় দিন বাংলা ২য় পত্র পরীক্ষা চলাকালীন এ দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা কেন্দ্রের বিভিন্ন হলে গিয়ে যে সমস্ত পরিক্ষার্থীদের পরনে হিজাব ছিলো তাদের পরীক্ষার খাতা হল পরিদর্শকদের তুলে নিয়ে কাউকে ১০ মিনিট কাউকে ১৫ মিনিট আবার কাউকে আধাঘন্টা পরে খাতা দেয়ার নির্দেশ দেন।

রোববার ইংরেজী প্রথম পত্র পরীক্ষা দিতে আসা পরিক্ষার্থীরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলে এ নিয়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে এবং কেন্দ্রের বাহিরে সচেতন অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হিযাব পরা দুই পরিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, আমরা হিজাব পরে স্কুলেও যাই। কিন্তু আমাদের জেএসসি পরিক্ষার কেন্দ্রে হিজাব কারণে কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ২০ মিনিট খাতা আটক করে রাখার নির্দেশ দেন। এ কারনে আমাদের পরীক্ষা তেমন একটা ভালো হয়নি।

জানতে চাইলে হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদের খতিব মুফতি আব্দুর রউফ বলেন, এ কাজটি মোটেও ঠিক হয়নি, এটি আমাদের ধর্মের উপর আঘাত এনেছে।

আলীগঞ্জ হযরত মাদ্দাখাঁ রহ. মসজিদের খতিব মুফতি ফজলুল কাদের বাগদাদী বলেন, ধর্মীয় রিতি-নীতি মেনে চলা সকলের স্বাধীনতা আছে। পর্দা করা সকল নারী পুরুষের উপর ফরজ। যেহেতু পরিক্ষার্থীগণ পর্দা করে গিয়েছে পরীক্ষার কেন্দ্রে তাদের হিযাবের উপর যে হস্তক্ষেপ করা হয়েছে তা নিঃসন্দেহ ধর্মীয় অনুভুতির উপর আঘাত এনেছে।

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও চলমান পরীক্ষা কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব মো. শাহ আলী রেজা আশরাফী জানান, এ বিষয়টি আমার কানে এসেছে। ১৫/২০ মিনিট খাতা আটকে রাখা উচিৎ হয়নি। হিজাব পরা পরিক্ষার্থীদেরকে প্রথমে সর্তক করা দরকার ছিলো।

সহকারী কেন্দ্র সচিব আবুল কাশেম জানান, যখন এ ঘটনাটি ঘটেছে তার পরবর্তীতে আমি শুনেছি। পরিক্ষার হলে ইউনিফর্ম পরে আসতে হবে তা কোনো বাধ্যতামূলক নয়। আর যে কাজটি করেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক।

অভিযুক্ত পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও আলীগঞ্জ পিটিআইয়ের ইন্সট্রাক্টর মো. সফিকুল ইসলাম জানান, আমি পরিক্ষার্থীদেরকে ইউনির্ফম পরে আসার জন্য বলছি। পরিক্ষার খাতা আটকের বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।

হাজীগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়–য়া বলেন, ‘হিজাব পরে আসার জন্য যদি পরিক্ষার্থীদের খাতা আটকে রাখা হয় তা হলে এটি মোটেও ঠিক হয়নি। আমি পরীক্ষার হলে গিয়ে বিষয়টি জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।’

প্রতিবেদক- জহিরুল ইসলাম জয়
: আপআপডেট, বাংলাদেশ ৮:০৩ পিএম, ৫ নভেম্বর, ২০১৭ রোববার
ডিএইচ

Leave a Reply