Home / উপজেলা সংবাদ / শাহরাস্তিতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান
শাহরাস্তিতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান

শাহরাস্তিতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান

‎Saturday, ‎March ‎21, ‎2015  05:36 PM

সংবাদদাতা :
চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস করছে। উপজেলার মেহের দক্ষিণ ইউনিয়নে অবস্থিত মালরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যায়ের শ্রেণি কক্ষ সংকটে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ৩টি শ্রেণি কক্ষ রয়েছে, আর ৩ কক্ষ বিশিষ্ট ১টি টিনের ঘর খুবই জ্বরাঝীর্ণ হওয়ার ম্যানেজিং কমিটি টিনের এ ঘরটি পরিত্যক্ত ঘোষনা করেন।

বিদ্যালয়টি ১৯৩২ সালে স্থাপিত হয়েছে। বিদ্যালয়টির নিজস্ব ৩৩ শতক জায়গায় রয়েছে। বর্তমানে প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়টিতে অধ্যায়ন করেছে। কিন্তু শ্রেণি কক্ষ সংকটের কারনে বর্তমানে বিদ্যালয়ের পাঠদান খোলা আকাশের নিচে চলছে এতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।

১৯৩২ সালে মালরা গ্রামের মজুমদার বাড়ির ভূমি দাতাদের প্রচ্ছেষ্টায় এ বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। ১৯৯৫ সালে তৎকালীন জাতীয় সংসদ সদস্যর প্রচেষ্টায় ৩ কক্ষ বিশিষ্ট ১টি ফ্যাসালিটি ভবন নির্মিত করা হয়। শ্রেণি কক্ষের সংকটের কারনে ২০১৩ সালে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি এবং এলাকাবাসীর সার্বিক সহযোগীতায় ঝুঁকিপূর্ণ টিনের ঘরটি পুনরায় মেরামত করেন।

কিন্তু টিনের ঘরটিতে কোন দরজা এবং জানালা ছাড়াই পাঠদান করেন। বিদ্যালয়ের ফানির্চারগুলো এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র খোলা টিনের ঘরে পড়ে থাতে দেখা যায়। অপর দিকে ১৯৯৫ইং সালে যে ভবনটি নির্মান করা হয়েছে বর্তমানে ওই ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ন হিসাবে পরিত্যক্ত ঘোষনা করেন।

ঝূঁকিপূর্ণ ভবনের উপরের ভিমগুলো ফাটল হয়ে রয়েছে ও উপরের ছাদের আস্তরগুলো ঝড়ে পড়তে থাকে এবং ভবনটির অধিকাংশ পিলার গুলো ফেটে রয়েছে। তাই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও এলাকাবাসি জানায়, আমাদের ছেলে মেয়েরা জীবনের ঝুকি নিয়ে এই বিদ্যালয়তে পাঠদান করছে। যে কোন মহুর্তে স্কুলের শিক্ষার্থী দূর্ঘটনার শিকার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা এই প্রতিবেদককে জানান, আমরা ১টি ভবনের জন্য স্থানীয় সংসদ মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম মহোদয়ের নিকট কয়েকবার আবেদন করেছি। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রাহেলা বেগম জানান, বিদ্যালয়টি অতি ঝুঁকিপুর্ণ। কিন্তু আমরা বিদ্যালয়টি জ্বরাঝীর্ণ হওয়া এর তালিকা উদ্ধর্ধন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরন করেছি।

বিদ্যালয়ের বিগত কয়েক বছরের পিএসসি পরীক্ষার সাফল্য ২০১০ সালের শতভাগ, ২০১১ সালে শতভাগ, ২০১২ সালে শতভাগ, ২০১৩ সালে শতভাগ এবং ২০১৪ শতভাগ ও ৩জন জিপিএ এ+ পেয়ে উর্ত্তীণ হয়েছে।