Home / সারাদেশ / রায়পুরে বিয়ের দাবিতে অনশনে ওমান প্রবাসী তরুণী
অনশনে

রায়পুরে বিয়ের দাবিতে অনশনে ওমান প্রবাসী তরুণী

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন ওমান প্রবাস ফেরত এক তরুণী। তবে এ ঘটনার পর বাড়ি থেকে পালিয়েছেন প্রেমিক মো. মানিক (৩০)।

মঙ্গলবার সকাল থেকে ওই তরুণী অনশন শুরু করেন। বুধবার সকালেও ওই তরুণীকে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করতে দেখা গেছে। তবে প্রেমিক মানিক নববিবাহিত বলে জানা গেছে।

সোমবার রাতে প্রবাসী ওই তরুণী বাদী হয়ে মানিকসহ তার বাবা, মায়ের বিরুদ্ধে থানায় প্রতারণা, টাকা আত্মসাৎ ও হামলার হুমকির বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়ে বিচার চেয়েছেন।

অনশন করা তরুণীর বাড়ি ঢাকার পশ্চিম জুরাইন তুলাবাগিচা গ্রামে।  অভিযুক্ত মানিক রায়পুর উপজেলার কেরোয়ার ইউপির দক্ষিণ কেরোয়া গ্রামের আব্বাস আলী মাজিবাড়ির হাকিম মো. আবদুল মান্নানের ছেলে।

অনশনরত ওই তরুণী বলেন, ২০১৫ সালে জানুয়ারিতে তিনি ওমানে পার্লারের কাজে যান। তার তিন মাস পর ওমানেই মোবাইল ক্রস কানেকশনের মাধ্যমে মানিকের সঙ্গে কথা হয়। এক বছর পর সরাসরি সাক্ষাৎ হয় তাদের। নিজ থেকে মানিক তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু মানিকের কোনো বৈধ কাগজ না থাকায় তাদের বিয়ে করা সম্ভব হয়নি। এ সূত্র ধরেই মানিক তার কাগজপত্র ও ব্যবসার কথা বলে মেয়েটির কাছ থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।

চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি মানিক ওমান থেকে দেশে ফিরে এলেও ফোনে তাদের যোগাযোগ থাকে।

পরে মানিক ওমান যাবে না; বরং সৌদি আরব যাবে— এ কারণ দেখিয়ে আরও দুই লাখ টাকা দাবি করে মেয়েটির কাছে। পরে অনেক চেষ্টা করে মানিককে এক লাখ ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। বাকি টাকা ঈদুল আজহার পর দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন ওই তরুণী।

এদিকে মেয়েটির বাবাও যোগাযোগ রাখেন মানিকের পরিবারের সঙ্গে। কিন্তু মানিক কয়েক দিন আগে তার এলাকার অন্য এক মেয়েকে গোপনে বিয়ে করেন। এ সংবাদ জানার পর ওই তরুণী গত ২৬ জুন ওমান থেকে রায়পুর এসে মানিকের বাড়িতে যান।

এ সময় মানিক তার প্রেমিকের সঙ্গে সব সম্পর্ক অস্বীকার ও মারধরের চেষ্টা করেন। পরে এ ঘটনায় নিরুপায় হয়ে তিনি সোমবার রাতে মানিকসহ তার বাবা-মাকে আসামি করে রায়পুর থানায় লিখিত অভিযোগ করে বিচার দাবি করেন।

এ কারণে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনের সিদ্ধান্ত নেন। সেই মোতাবেক মঙ্গলবার তিনি প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে অনশন শুরু করেন।

অভিযুক্ত প্রেমিকের বাড়িতে গেলে তাকে না পেয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।

তবে মানিকের মা রানী বেগম (৫০) বলেন, মানিক অবৈধ সম্পর্ক করেনি। মেয়েটির কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। মেয়েটির সঙ্গে বসে বিষয়টি মঙ্গলবার দুপুর থেকেই মীমাংসার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রায়পুর থানার ওসি আবদুল জলিল বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত চলছে। ঘটনার সত্যতা পেলে মামলা নিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হবে।

স্টাফ করেসপন্ডেট,৩০ জুন ২০২১