Home / সারাদেশ / প্রাণ বাঁচাতে টাওয়ারের ১৬০ ফিট উচ্চতায় চোর!
প্রাণ বাঁচাতে টাওয়ারের ১৬০ ফিট উচ্চতায় চোর!

প্রাণ বাঁচাতে টাওয়ারের ১৬০ ফিট উচ্চতায় চোর!

প্রাণ বাঁচাতে টাওয়ারের ১৬০ ফিট উচ্চতায় আশ্রয় নেন মো. বাচ্চু মিয়া নামে এক চোর! রাজশাহীর বিভাগীয় স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইটের তার চুরি করার সময় ধরা পড়েন সেই চোর। পরে তাকে উদ্ধার করেন দমকল কর্মীরা। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নওগাঁর মান্দা উপজেলার কোচড়া বালুঘাট এলাকার মোবারক হোসেনের ছেলে মো. বাচ্চু মিয়া (২৫)। তিনি নগরীর তেরখাদিয়া এলাকার অস্থায়ী বাসিন্দা। পরে এ ঘটনায় বাচ্চু মিয়ার সহযোগী সঞ্জয় দাশকে (২৫) গ্রেফতার করে পুলিশ। সঞ্জয় নগরীর উত্তরা ক্লিনিক মোড় এলাকার জগাই দাশের ছেলে।

দুপুরে নগরীর রাজপাড়া থানায় মামলা দায়ের করে স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ। মামলায় ওই দুজন ছাড়াও অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়। স্টেডিয়ামের তত্ত্বাবধায়ক হাসনা বানু বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ জানায়, তার চুরি করতে বৃহস্পতিবার রাতে বাচ্চু বিভাগীয় স্টেডিয়ামের তিন নম্বর ফ্লাডলাইট টাওয়ারের ওঠেন। ওই সময় নিচে অপেক্ষা করছিলেন তার সহযোগী সঞ্জয়। তার কেটে নিচে ফেলার শব্দে টের পেয়ে যান গার্ডরা। অবস্থা বেগতিক দেখে সটকে পড়েন সঞ্জয়। আর প্রাণ বাঁচাতে টাওয়ারের ১৬০ ফিট উচ্চতায় ওঠে বসেন বাচ্চু।

রাতভর গার্ডরা টাওয়ার ঘিরে রাখেন। পরে সকালে টাওয়ারে ওই যুবককে দেখে থানায় খবর দেয়া হয়। ডাকা হয় দমকল কর্মীদের। পরে তাকে উদ্ধার করেন।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স রাজশাহী সদর দফতরের সিনিয়র স্টেশন অফিসার ফরাহদ হোসেনের একটি দল সেখানে পৌঁছেন। প্রথমে সাড়া না দিলেও পরে নিজেই টাওয়ার থেকে নেমে আসেন বাচ্চু। দমকল কর্মীরা তাকে ধরে পরে পুলিশে সোপর্দ করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও নগরীর রাজপাড়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোস্তাক হোসেন বলেন, বাচ্চুর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সঞ্জয়কে গ্রফতার করা হয়। তাদের থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরেই এলাকা চুরি ছিনতাইয়ে জড়িত। এর আগে তারা স্টেডিয়ামের অন্য ফ্লাডলাইটগুলোর তার চুরি করে নিয়ে গেছে।

নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৭:২৫ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭, শুক্রবার
এএস