Home / উপজেলা সংবাদ / কচুয়া / পাঠাগারে দিনদিন বই পড়ার অভ্যাস কমে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের
বই

পাঠাগারে দিনদিন বই পড়ার অভ্যাস কমে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের

পুঁথিগত বিদ্যায় প্রায় বন্দি হয়ে গেছে আমাদের শিক্ষা। পাঠ্যপুস্তক বা সিলেবাসনির্ভর পড়ালেখা ছাত্রছাত্রীদের জ্ঞানের জগৎ খন্ডিত করে দিচ্ছে। ইন্টারনেট,মোবাইল ফোন,ফেসবুক সুলভ হওয়ায় তারা বই দূরে ঠেলে দিচ্ছে। শিক্ষার্থীরা বর্তমানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বই পড়ছেন। তারা বর্তমানে পাঠাগার কিংবা লাইব্রেরীতে না গিয়ে বাসায় বসে বই পড়ছেন। একসময়ে দেখা যেত শিক্ষার্থী ও সুশীল সমাজের লোকজন বই পড়ার জন্য পাঠাগারে আসতে মরিয়া থাকত। কিন্তু ইন্টারনেট আসায় এখন আর তেমন দেখা যায় না। বই পড়ার প্রতি আগ্রহ এখন দেখা যায় না পাঠাগারে। অতিমাত্রায় প্রযুক্তিনির্ভরতা তাদের আচরনেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। ভারসাম্যহীনতা ঘোচাতে চাইলে মানুষকে শেষ পর্যন্ত বইয়ের কাছে ফিরতে হবে। তা না হলে প্রকৃত জ্ঞানের সন্ধান মিলবে না। বিকাশ ঘটবে না নৈতিক ও মূল্যবোধের।

সাংবাদিক মানিক ভৌমিক,আবুল কালাম আজাদ,ওমর ফারুক সাইম ও ফয়সাল আহমেদ সহ একাধিক সুশীল সমাজের লোকজন বলছেন, শিশু কিশোর ও তরুনদের সিলেবাসে সংকীর্ণ গন্ডি থেকে বের করতে পারে পাঠাগার। পাঠাগারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে ও বই বের হচ্ছে প্রচুর তবে কমেছে পাঠক। তাছাড়া অল্প বয়সীদের বেশির ভাগই বইবিমুখ। নতুন নতুন প্রযুক্তির কল্যাণে দৈনন্দিন জীবনে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে, কিন্তু মানুষের মননে মুল্যবোধে তার প্রভাব পড়ছে না। তাই পাঠাগারের বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবেও বলেও জানান তারা।

কয়েকজন শিক্ষার্থীরা বলেন, জ্ঞান চর্চার অন্যতম মাধ্যম হলো পাঠাগার। কিন্তু পাঠাগার বা লাইব্রেরীতে পাঠক সংখ্যা দিনদিন কমে যাচ্ছে। এতে করে আমাদের জ্ঞান আহরনের সীমাবদ্ধতা থাকছে। তাই জ্ঞান বৃদ্ধির পাঠাগারের বিকল্প নেই বলেও জানান তারা।

পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞানের প্রভাষক মো. মোবারক হোসেন জানান, বর্তমানে পাঠাগার কিংবা লাইব্রেরিকে পাঠক ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। সবাই এখন ইন্টারনেট দিকে ঝুঁকছে। বিশেষ করে সকল পাঠাগার ও লাইব্রেরিকে ই-লাইব্রেরী কিংবা ই-পাঠাগার স্থাপন করলে শিক্ষার্থীরা বই পড়ার প্রতি আগ্রহ হবে বলেও জানান তিনি।

কচুয়া পাঠাগারের সাধারন সম্পাদক মো. সালাউদ্দিন মাসুদ বলেন, বই পড়ার প্রতি অভ্যাস করতে হবে। তাহলে জ্ঞান চর্চার মান আরো বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ করে সকাল কিংবা বিকাল বেলায় ইচ্ছা থাকলে পাঠাগারে এসে বই পড়া যায়। তাই জ্ঞান বৃদ্ধির লক্ষে পাঠাগারে আসা জরুরী।

প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু, ২০ জানুয়ারি ২০২৪