Home / জাতীয় / রাজনীতি / নতুন করে সাজানো হচ্ছে বিএনপিকে

নতুন করে সাজানো হচ্ছে বিএনপিকে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট :

দীর্ঘদিন ধরে যারা দলীয় কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না তাদেরকে বাদ দিয়ে নতুন করে বিএনপিকে সাজানোর চিন্তা-ভাবনা করছেন দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এক্ষেত্রে অনুষ্ঠিতব্য কাউন্সিলে স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ অনেক বড় নেতাকে বাদ দেওয়া হবে।

বিগত আন্দোলনের ভূমিকা মূল্যায়নের ভিত্তিতে জায়গা দেওয়া হবে নতুনদের। তবে কাউন্সিল করতে অন্তত ছয় মাস লাগবে। বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্যই জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর বিএনপির সর্বশেষ কাউন্সিল হয়েছিল। এরপর প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও নানা কারণে আর কাউন্সিল হয়নি দলটির। ফলে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি নিয়েই সাংগঠনিক কার্যক্রম চলছে।

তবে দুই দফা আন্দোলনের ফল মূল্যায়ন করে এবার দল পুনর্গঠনের কথা বলা হচ্ছে একেবারে শীর্ষ পর্যায় থেকেই। পাশাপাশি খালেদা জিয়াও এ প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পাদন করার পক্ষে মত দিয়েছেন।

সম্প্রতি এক মতবিনিময় সভায় বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ‘দলের প্রতি নিবেদিত, দলের সঙ্গে বেইমানি করেনি, করবে না, তাদেরকেই এবার আমরা বিভিন্ন জায়গায় নেব। তাদের সম্মানিত করতে চাই।’

বিএনপির সিনিয়র নেতারা মনে করছেন, কাউন্সিল করতে আরো কিছুটা সময় লাগবে। এদিকে ঈদের পরই বিএনপির বেশ কয়েকটি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনেরও নতুন করে কমিটি গঠন করা হবে।

এ বিষয়ে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ বলেন, একটি জাতীয় কাউন্সিল করতে গেলে ন্যূনতম ছয় মাস সময় লাগে। আর জাতীয় নির্বাহী কমিটির বহু সদস্য আত্মগোপনে অথবা কারাগারে আছেন। তাই কাউন্সিল প্রক্রিয়া শেষ করতে সময় লাগবে।

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, সরকারের অগণতান্ত্রিক মনোভাবের কারণে যে বাস্তবতা বিদ্যমান, যদি সেটা না বদলায়, তাহলে শিগগিরই কাউন্সিল করা মুশকিল হবে।

জানা গেছে, দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী স্থায়ী কমিটি, ভাইস চেয়ারম্যান ও উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য নিয়োগের ক্ষেত্রে একক এখতিয়ার রয়েছে বিএনপির চেয়ারপারসনের। কাউন্সিলের পরই এসব পদে পরিবর্তনের রীতি চলে আসছে। এবারো এর ব্যতিক্রম হবে না বলে মনে করছেন দলের নীতিনির্ধারণী ফোরামের সদস্যরা।

তারা জানান, কাউন্সিল যখনই হোক না কেন, দলে আমূল পরিবর্তন আসছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক লে. জে. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘দল পুনর্গঠন করতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। কারণ, দলের মধ্যে নতুন নেতৃত্ব আনতে হবে। যে নেতৃত্ব আমাদের সামনের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে পারবে।’

এ বিষয়ে হান্নান শাহ বলেন, ‘স্ট্যান্ডিং কমিটি, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে এমন বেশ কিছু সদস্য আছেন, যারা বছরের পর বছর দলীয় কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না। তাদের রেখে আগামী দিনে সক্রিয় রাজনীতিতে কোনো কাজ হবে বলে আমি মনে করি না।’

আপডেট :   বাংলাদেশ সময় : ১২ আষাঢ় ১৪২২ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার ২৬ জুন ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১:০৩ অপরাহ্ন

চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/এমআরআর/২০১৫

চাঁদপুর টাইমস ডট কম-এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি