Home / আন্তর্জাতিক / ট্রাম্প ও খান দম্পতি বিতর্কে কে এ ক্যাপ্টেন হুমায়ুন?
ডোনাল্ড-ট্রাম্প-হুমায়ুন
বামে ক্যাপ্টেন হুমায়ুন, ডানে খান দম্পতি

ট্রাম্প ও খান দম্পতি বিতর্কে কে এ ক্যাপ্টেন হুমায়ুন?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত খান দম্পতির মধ্যকার বিতর্ক প্রচারমাধ্যমে সাড়া জাগিয়েছে।

এ সূত্রে আলোচিত হচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনীর প্রয়াত সদস্য খান দম্পতির সন্তান ক্যাপ্টেন হুমায়ুন খানের নামও। ২০০৪ সালে ইরাকে এক আত্মঘাতী গাড়িবোমার শিকার হয়ে নিহত হন হুমায়ুন।

গত সপ্তাহে ডেমোক্র্যাট দলের সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়ার সময় খিজির খান ট্রাম্পের মুসলিমবিরোধী বক্তব্যের সমালোচনা করেন। এ সময় খিজিরের পাশে তাঁর স্ত্রী গাজালা খান থাকলেও তিনি চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিলেন।

খিজিরের বক্তব্যের জবাব দিয়ে এ নিয়ে পাল্টা সমালোচনা করেন ট্রাম্প। রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর এ-সংক্রান্ত বক্তব্য আলোচনার ঝড় তোলে। অনেকেই মন্তব্য করেন, একজন নিহত সৈনিকের পরিবারের বিষয়ে কীভাবে কথা বলতে হয়, তা ট্রাম্প জানেন না।

সেনা কর্মকর্তা হুমায়ুন খানের জন্ম ১৯৭৬ সালে। এর দুই বছর পর তাঁর পরিবার পাকিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যায়। মেরিল্যান্ডের সিলভার স্প্রিংয়ে দুই ভাইয়ের সঙ্গে বেড়ে উঠেন হুমায়ুন।

বাবা খিজির খান বলেছেন, হুমায়ুন ছোটবেলা থেকেই ছিলেন দেশপ্রেমিক। তাঁর শৈশবের অন্যতম নায়ক ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা টমাস জেফারসন। মাধ্যমিক স্কুলে থাকার সময় হুমায়ুন স্বেচ্ছাসেবী হয়ে প্রতিবন্ধী শিশুদের সাঁতার শেখাতেন।

ইউনিভার্সিটি অব ভার্জিনিয়ায় ভর্তি হওয়ার পর তিনি রিজার্ভ অফিসার্স ট্রেনিং কোরে যোগ দেন। এ কোরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সেনাবাহিনীতে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়।

আইনজীবী বাবা খিজির ছেলের এ চেষ্টায় বাদ সেধেছিলেন। তবে হুমায়ুন তাঁর ইচ্ছাতে অবিচল ছিলেন। ২০০০ সালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করার পর হুমায়ুন চার বছর ধরে সেনাবাহিনীতে কাজ করেন।

একসময় তিনি ক্যাপ্টেন হন। ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ৯/১১ সন্ত্রাসী হামলার আগে তিনি সেনাবাহিনী ছেড়ে দিয়ে আইন বিষয়ে পড়ালেখা করার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু ৯/১১ হামলা তাঁর পরিকল্পনা বদলে দেয়।

২০০৪ সালে সেনাবাহিনীর সদস্য হিসেবে যুদ্ধোত্তর ইরাকে পুনর্বাসনের কাজে যান হুমায়ুন। ওই বছরেরই ৮ জুন সেনা ব্যারাকে এক গাড়িবোমা বিস্ফোরণে নিহত হন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সম্মানজনক পদক পার্পল হার্ট এবং ব্রোঞ্জ স্টার পেয়েছেন হুমায়ুন।

ওয়াশিংটনের কাছে আর্লিংটন সমাধিক্ষেত্রে চিরনিদ্রায় শায়িত এ সেনা কর্মকর্তা।

নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৩:০০ পিএম, ৩ আগস্ট ২০১৬, বুধবার
ডিএইচ

Leave a Reply