Home / উপজেলা সংবাদ / কচুয়ায় বিলুপ্তপ্রায় পাটের সোনালি আঁশে কৃষাণ-কৃষাণীর মুখে হাসি
কচুয়ায় বিলুপ্তপ্রায় পাটের সোনালি আঁশে কৃষাণ-কৃষাণীর মুখে হাসি
কচুয়া : পাটকাঠি থেকে আঁশ আলাদা করছেন কৃষাণীরা। ছবি : জিসান আহমেদ নান্নু।

কচুয়ায় বিলুপ্তপ্রায় পাটের সোনালি আঁশে কৃষাণ-কৃষাণীর মুখে হাসি

জিসান আহমেদ নান্নু, কচুয়া | আপডেট: ০৯:০৩ অপরাহ্ণ, ২৩ আগস্ট ২০১৫, রোববার

পাট এক সময় বাংলাদেশে প্রধান অর্থকরী ফসল ছিল। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে পাটের চাহিদা কম থাকায় এবং দেশের অধিকাংশ পাটকল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পাটের গুরুত্ব অনেকটা কমে গেছে। কিন্তু গ্রামবাংলার পুরনো ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে এখনো কচুয়ার বিভিন্ন জায়গায় এ মৌসুমে উৎকৃষ্ট মানের পাট চাষ হচ্ছে।

কচুয়া উপজেলার ভূঁইয়ারা গ্রামে রোববার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, এ গ্রামে বসবাসরত অধিকাংশ নিতান্ত গরীব ও মধ্যবিত্ত পরিবারের নারীরা সোনালি পাটের আঁশ ছাড়িয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এবছর প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এ অঞ্চলে পাট চাষে প্রায় বিমুখ হয়েছিলেন চাষীরা কিন্তু নতুন আশায় সোনালী আঁশখ্যাত পাট চাষে এবার বাম্পার ফলন পেয়ে পুরুষের পাশাপাশি ঘরে বসে নেই নারীরাও।

বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ পাটের বোঝা সামনে স্তূপ করে পাটকাঠি আলাদা, পানিতে জাগ দেয়া, আঁশ ছাড়ানোর কাজ করছে মনের আনন্দে তারা।

ওই গ্রামের গরিব কৃষক আবদুল মবিন জানান, তিনি এবছর বর্গা জমি নিয়ে পাট চাষ করেন। তার ফলানো পাটের সোলা নেয়ার জন্য, মমতাজ বেগম, বেনু বেগম, খাদিজা বেগম, আমেনা বেগম, মইফুল বেগম পাট সোলা আলাদা করার কাজ করছেন। তাদের আলাদা করা পাটগুলো পানিতে ধুয়ে পরিষ্কার করছেন একই গ্রামের সেলিম মিয়া।

গত ক’দিন এমনিভাবে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পাট আলাদা করা, ধোয়া, রৌদ্রে শুকানোর ব্যস্ত সময় পার করছেন এসকল নারী-পুরুষ।

তারা জানান, পাটের শোলা (পাটকাঠি) জ্বালানী কাজে ব্যবহার, ঘরের বেড়াসহ নানা কাজে এ শোলা ব্যবহৃত হয়ে থাকে। পাটের শোলা আলাদা করা, শুকানোর কাজ করাটা অতি আনন্দের বিষয় বলে তারা অনেকেই মনে করছেন। বিশেষ করে সোনালী আঁশখ্যাত পাট কচুয়ায় আগের মতো উৎপাদন হয়নি। তাই এটি প্রায় বিলুপ্ত হওয়ার পথে।

তাদের দাবি, সোনালী আঁশ পাট পূর্বের মতো উৎপাদনে সরকার আন্তরিক হবে এমন করে প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।

চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/এমআরআর/২০১৫