Home / উপজেলা সংবাদ / কচুয়া / কচুয়ার পেরা সন্দেশ দেশ ছেড়ে যাচ্ছে বিদেশেও
কচুয়ার পেরা সন্দেশ দেশ ছেড়ে যাচ্ছে বিদেশেও

কচুয়ার পেরা সন্দেশ দেশ ছেড়ে যাচ্ছে বিদেশেও

পেরা সন্দেশের নাম শুনলেই জিভে জল আসে। পেরা সন্দেশ মানেই সাচারের পেরা। খাঁটি দুধের সুস্বাদু এ মিষ্টান্নের পেরার খ্যাতি দেশের গন্ডি পেরিয়ে বহির্বিশ্বেও।

পেরার নাম বলতেই সবার আগে চলে আসে কচুয়ার সাচারের নাম। কারণ দেশের বিভিন্ন স্থানে পেরা তৈরি হলেও কচুয়ার সাচারের পেরার তুলনা নেই।

স্বাধীনতা পূর্ব সময় থেকেই সাচারের পেরা, দই, মিষ্টির সুনাম বাংলাদেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।

বিশেষ করে গত ২০-২৫ বছর ধরে সাচারের খাঁটি দুধের পেরার চাহিদা দেশ ছাড়িয়ে জাপান, মালায়শিয়া, সিঙ্গাপুর, আমেরিকা, সৌদি আরবসহ বিদেশের অনেক রাষ্ট্র পর্যন্ত গড়িয়েছে।

যেখানে পাওয়া যাবে উৎকৃষ্ট পেরা-
কচুয়া উপজেলার ১নং সাচার ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বাজারে অবস্থিত নিউ রাজলক্ষী সুইটস মিট ও অন্যান্য মিষ্টির দোকানগুলোতে পেরা, রসমালাই, অন্যান্য মিষ্টি ও দধি পাওয়া যায়। তবে উৎকৃষ্ট ও সুস্বাদু পেরা পেতে হলে আসতে হবে সাচারে অবস্থিত নিউ রাজলক্ষী সুইটস মিটে।

সাচারের পেরা ও মিষ্টির দোকানের মধ্যে নিউ রাজলক্ষী সুইটস মিটের রয়েছে বাড়তি সুনাম। কচুয়ার সাচারের আনাচে কানাচে মিষ্টির অধিকাংশ এসব দোকানগুলোতে নেই কোন চাকচিক্য। বেশিরভাগ দোকানে বসার ভাল ব্যবস্থাও নেই। তবে ২-১ টি দোকানে বসে খাওয়ার জন্য আছে ৮-১০ টি আসন। বাইয়ের চাকচিক্যের চেয়ে স্বাদ এবং মানই এসব দোকানিদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তারা জানান, দোকানগুলো আধুনিকায়ন করার কোন প্রয়োজন অনুভব করিনা, দেশের অনেক জায়গায় আমাদের দোকানের নাম, সুনাম ছড়িয়ে আছে। এখন যেভাবে আছে তা তো খারাপ না।

যে পরিমাণ পেরা তৈরি হয় সাচারে-
সাচারের পেরা ও মিষ্টির দোকানগুলোর মধ্যে নিউ রাজলক্ষ্মী ও অন্যান্য মিষ্টির দোকানগুলোতে প্রতিদিন গড়ে ৫০-৬০ কেজি পেরা তৈরি করা হয়। এই দোকানে প্রতিদিন ভোরে ও বিকেলে ৫-৬ জন দুধ ব্যবসায়ী প্রায় ২-৩ মণ দুধ সরবরাহ করে থাকে। এদের প্রত্যেকে ৭০-৮০ কেজির উর্ধ্বে দুধ সরবরাহ করে থাকেন।

প্রতিদিন যে পরিমানে কেনাবেচা-
প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কচুয়ার সাচারে অবস্থিত নিউ রাজলক্ষী সুইটস মিট, মুসলিম সুইটস, লোকনাথ মিষ্টান্ন ভান্ডার, জগন্নাথ মিষ্টান্ন ভান্ডারে দিন মজুর থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ ভিড় জমায় পেরা ও মিষ্টি কেনার জন্য। ক্রেতাদের মধ্যে এক প্রকার প্রতিযোগিতা দেখা যায় গরম পেরা ও মিষ্টি কার আগে কে কিনবে। কেউ বাড়ির ছেলে-মেয়ে, স্ত্রীর জন্য, কেউবা মেহমানদের আপ্যায়ন করার জন্য, কেউবা আত্মীয়স্বজনদের জন্য, নতুন সম্পর্ক হচ্ছে এমন বাড়িতে নেয়ার জন্য এবং কেউবা অফিসের বসদের উপহার দেয়ার জন্য নিয়ে যান এই পেরা সন্দেশ।

দরদাম-
নিউ রাজলক্ষী সুইটস মিটে ১ কেজি পেরা সন্দেশের দাম ৪০০ টাকা। গুনে মানে ও স্বাদে সেরা হওয়ায় সাচারের পেরা এখন দেশের বিভিন্ন স্থান পেড়িয়ে বিদেশে যাচ্ছে সাচারের এ পেরা। কচুয়া থেকে ঢাকা, কুমিল্লা, চাঁদপুরসহ প্রভৃতি জেলায় ভ্রমণকারি লোকজন যাত্রাপথে গাড়ি থামার পর পেরা কিনে নিয়ে যায়। প্রতি কেজি পেরা তৈরির জন্য ২-৩ কেজি দুধ, চিনি ও অন্যান্য উপকরন দেয়া হয়। প্রথমে দুধ গুলো ক্রয়ের পর হালাকা চিনি মিশিয়ে গরম করে ক্ষিরের মতো করা হয়। পরবর্তীতে পেরা তৈরি করা হয়।

: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১:১০ পিএম, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬, শুক্রবার
ডিএইচ

কচুয়ার পেরা সন্দেশ দেশ ছেড়ে যাচ্ছে বিদেশেও

About The Author

প্রতিবেদক- জিসান আহমেদ নান্নু, কচুয়া

Leave a Reply