Home / উপজেলা সংবাদ / হাইমচর / হাইমচরে স্কুলছাত্রীর লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পুনরায় দাফন
Marzana

হাইমচরে স্কুলছাত্রীর লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পুনরায় দাফন

চাঁদপুরে হত্যার রহস্য উদঘাটনে প্রায় পৌনে দুই মাস পর কবর থেকে উত্তোলন করা মারজানা (৯) নামের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রীর লাশ ময়না তদন্ত শেষে পূনরায় কবরে দাফন করা হয়েছে।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে হাইমচর উপজেলার ৪নং নীল কমল ইউনিয়নের ইশানবালার বাজারের খলিল মাতাব্বর কান্দিতে তার লাশ দাফন করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মারজানার পিতা মো. মোকশেদ হাওলাদার। এর আগে একই দিন সকালে থেকে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটে উম্মে হাবিবা মীরার ও হাইমচর থানার উপ-পরিদর্শক মো. মুকবুল সহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত থেকে মারজানার লাশ উত্তোলন করা হয়। পরে লাশটি চাঁদপুরে মর্গে এনে সেখানে সরকারি জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক দিয়ে ৩ সদস্য বিষিষ্ট মেডিকেল টিম গঠনের মাধ্যমে ময়নাতদন্ত করা হয়।

প্রসঙ্গত, নীলকমল ইউনিয়নের দূর্গম চর এলাকার ইশানবালার ৩২নং চর কোড়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রী মারজানা আক্তার (৯)।

গত ২২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আগ মুহূর্তে মারজানার মা সেলিনা বেগম সদাইয়ের জন্য প্লাস্টিকের ব্যাগ হাতে দিয়ে মারজানাকে বাজারে তার বাবার দোকানে পাঠায়। এরপর রাত ৮টার বাজলেও মেয়ে বাড়িতে না ফেরায় বাবা মা দু’জনে মেয়েকে খোঁজতেবের হয়।

পরে বাজার থেকে বাদীর বাড়ি রাস্তার মাঝখানে একটি বাঁশঝাড়ে বিলের পার থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তিতে মারজানাকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারী নিহতের পিতা মো. মোকশেদ হাওলাদার বাদী হয়ে হাইমচর জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টে স্থানীয় ৩ যুবককে আসামী করে মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং জিআর ০৪/১৮। ধারা ৩০২/৩৭৬/২০১/৩৪ ও ১০৯।

অভিযুক্তরা হলেন, ওই গ্রামের সুরুজ কান্দী এলাকার দ্বিন ইসলামের ছেলে জালাল মিয়া (২০), কাদির বেপারীর ছেলে সিদ্দিক (২১) এবং মো. সফি উল্যাহর ছেলে সেলিম (২১)। ওই মামলার সূত্র ধরেই হত্যার রহস্য উৎঘাটনে ২৫ জানুয়ারী, আদালত কতৃক লাশ উত্তলন করে ময়না তদন্তের নির্দেশ দেয়।

মারজানার পিতার মো. মোকশেদ জানায়, যখন মারজানার লাশ পাওয়া যায় তখন তার গায়ের কামিজটি উল্টানো ছিলো, এবং নাকে-মুখে এবং চোখে জখমের চিহ্ন ছিলো। ওই সময়ে সেখান থেকে পুলিশ একটি টর্চ লাইট উদ্ধার করেছে।

যে মহিলারা লাশ ধোয়ার কাজ করেছে তারা বলেছে যে, মারজানার গোপনঅঙ্গে আঘাতের চিহ্ন ছিলো। এতে করে তিনি ধারণা করেন তার মেয়েকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করা হয়েছে। তাছাড়া উল্লেখিত আসামীরা স্কুলে যাওয়ার সময় মারজানাসহ অন্যান্য স্কুল ছাত্রীদের প্রায় উক্তত্ত করতো।

তিনি আরো জানায়, যেখানে মারজানার লাশ পাওয়া গেছে তার পাশেই স্থানীয় সেলিম সর্দারের পরিত্যাক্ত একটি ঘর রয়েছে। এই ঘটনার পরে আসামীদের পরিবারের পক্ষ থেকে আপোশ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এদিকে মেয়ের শোকে পাগল প্রায় মারজানার মা সেলিনা বেগম অনেকটাই মানসিক ভারসম্যহীন হয়ে পড়েছে। মোকশেদ হাওয়াদার বলেন, আমি আদালতের মাধ্যমে আমার মেয়ের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি। যাতে করে আর কোনো বাবাকে তার সন্তানের এমন নির্মম মৃত্যু দেখতে না হয়।

আশিক বিন রহিম
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৯:৩৩ পিএম, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, মঙ্গলবার
ডিএইচ