Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরে এ প্রথম সর্বাধিক প্রার্থী নিয়ে দু’ধাপে ২৭ কেন্দ্রে প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষা
Job exam
প্রতীকী ছবি

চাঁদপুরে এ প্রথম সর্বাধিক প্রার্থী নিয়ে দু’ধাপে ২৭ কেন্দ্রে প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষা

চাঁদপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা দু’ ধাপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে । এতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৬ হাজার ৯১ জন এবং চাঁদপুর সদরের ২৭ টি সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় এ পরীক্ষার কেন্দ্র থাকবে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, চাঁদপুর সোমবার (৬ মে) বিষয়টি চাঁদপুর টাইমসকে জানান। জেলার ইতিহাসে এবারই প্রথম একত্রে এতো প্রার্থী নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন তাও আবার দু’ধাপে।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সহকারী শিক্ষক’ নিয়োগের প্রথম ধাফে আগামি শুক্রবার (১৭ মে) অনুষ্ঠিত হবে। এতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২২ হাজার ৪ শ’ ৬২ জন। দ্বিতীয় ধাফে পরের শুক্রবার (২৪ মে) অনুষ্ঠিত হবে। এতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৩ হাজার ৬ শ’২৯ জন।

জেলার সকল উপজেলার প্রার্থীদের লিখিত এ পরীক্ষা চাঁদপুর সদরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোকেই কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হবে। কলেজের কেন্দ্রগুলো হলো : চাঁদপুর সরকারি কলেজ,মহিলা কলেজ, পুরাণ বাজার ডিগ্রী কলেজ, বাবুর হাট কলেজ ও খেরুদিয়া দেলোয়ার হোসেন হাই স্কুল এন্ড কলেজ ।

স্কুল কেন্দ্র গুলো হলো : হাসান আলী বালক, মাতৃপীঠ বালিকা, বাবুর হাট হাই স্কুল, চাঁদপুর টেকনিক্যাল, গণি আদর্শ, আক্কাছ আলী রেলওয়ে, লেডি প্রতিমা ,লেডি দেহলভি বালিকা, ডি.এন হাই, জিলানী চিশতি হাই, আল-আমিন (ছাত্র শাখা),আল-আমিন (ছাত্রী শাখা), ষোলঘর আদর্শ, বাগাদী গণি, পীর মহসীন উদ্দীন,এম এম নূরুল হক, মহামায়া হানাফিয়া,পুরাণ বাজার বালিকা ও মধুসুদন উচ্চ বিদ্যালয়।

মাদ্রাসা কেন্দ্রগুরো হলো : আহমিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, বিষ্ণুদি ইসলামিয়া ও বাগাদী আহমাদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা।

এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো.সাহাবুদ্দিন চাঁদপুর টাইমসকে জানান,পরীক্ষা গ্রহণের নীতিমালা দু ’এক দিনের মধ্যেই পেয়ে যাব। তবে প্রাথমিকভাবে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। আগামি সপ্তাহে এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে পরীক্ষা কমিটির সভা হবে। এদিকে কেন্দ্র প্রধানদেরকেও চিঠি দেয়া হয়েছে।

অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,‘ চাঁদপুরের পরীক্ষা হবে দু’ধাফে। পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ১০ টায় এবং শেষ হবে ১১ টা ২০ মি.। স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগণ হবেন ‘কেন্দ্র প্রধান ’। ২০ জন প্রার্থীর জন্যে একজন করে পর্যবেক্ষক থাকবে। সংশ্লিষ্ঠ কেন্দ্র প্রধানগণ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণ পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োগ করবেন। প্রয়োজনে পার্শ্ববর্তী প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণকে পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব পালনে নিয়োগ করতে পারবেন।’

এ জেলায় ২ শ’৪০ টি পদ আপাতত : শূন্য রয়েছে। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়া পর্যন্ত চাঁদপুরের শূন্য পদের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে তিনি জানান ।

এদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সূত্রে জানা গেছে ,এ নিয়োগ পরীক্ষা সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতে হবে। নির্ধারিত জেলায় পরীক্ষা আয়োজনের আগের রাতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের কাছে প্রশ্নপত্রের সকল সেট পাঠানো হবে। স্বচ্ছ, দুর্নীতিমুক্ত ও প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে নিয়োগ পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে। পরীক্ষার দিন প্রতিটি কেন্দ্রের বাইরে বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। যদি কেউ কোনো ধরনের অনৈতিক কর্মকা-ের সঙ্গে লিপ্ত হয় তাহলে পরীক্ষা কেন্দ্রে তাকে বহিষ্কার করে ঔ প্রার্থীর উত্তরপত্র বাতিল করা হবে।’

পরীক্ষা পদ্ধতি ডিজিটালাইজড করতে বুয়েটের সহায়তায় একটি আধুনিক সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে। ঔ সফটওয়্যারের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীর সিট বিন্যাস,পরিদর্শক নির্বাচনসহ যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।’

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সহকারী শিক্ষক ’ নিয়োগের ক্ষেত্রে রেকর্ড সংখ্যক প্রার্থী আবেদন করেছেন। ২০১৮ সালের ১ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন কার্যক্রম শেষ হয়। এ সময়ের মধ্যে ২৪ লাখেরও বেশি আবেদন জমা হয়েছে।

এ নিয়োগ পরীক্ষায় দ্বিগুণ প্রার্থী হওয়ায় কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে নেয়ার জন্য মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় একাধিক প্রশ্নপত্র সেট তৈরির সিদ্ধান্ত রয়েছে। পরীক্ষার সময়সূচি, এমআর ফরম ডিজাইন ও মূল্যায়ন, ফলাফল প্রকাশ কার্যক্রম কোন পদ্ধতিতে করা হবে তা’বুয়েট নির্ধারণ করবে। এবারও আগের মতোই লিখিত ও মৌখিক দু স্তরেই পরীক্ষা নেয়া হবে। আগের নিয়ম অনুযায়ী এমসিকিউ পদ্ধতির লিখিত পরীক্ষা ৮০ নম্বর ও ভাইভায় ২০ নম্বর থাকবে।

প্রতিবেদক : আবদুল গনি
৭ মে ২০১৯