Home / উপজেলা সংবাদ / কচুয়া / কচুয়ায় নতুন ব্রীজ নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ
Bridge

কচুয়ায় নতুন ব্রীজ নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

চাঁদপুর কচুয়ায় বিতারা গ্রামে নতুন ব্রীজ নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এক স্থানের ব্রীজ অন্যস্থানে নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সঠিক স্থানে ব্রীজ নির্মাণের দাবিতে মঙ্গলবার(২ এপ্রিল) সকালে বিতারা বাজারে বিক্ষোভ করেছে ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী।

এলাকাবাসীর অভিযোগ স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ ইউনুছ মুন্সি মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) অফিস ম্যানেজ করে এক জায়গার ব্রীজ অন্য জায়গায় নির্মানের পায়তারা করছেন।

জানা গেছে, ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় গ্রামীন রাস্তায় কমবেশি ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যরে সেতু/কালভার্ট নির্মানের আওতায় কচুয়ার বিতারা গ্রামের বিতারা ডাক্তার বাড়ি-ইউনুছ মেম্বারের বাড়ির পাশে খালের উপর সেতু নির্মানের প্রকল্প অনুমোদন হয়। যার স্মারক নং- ৫১.০১.১৩৫৮.০০০.১৪.০০১.১৯-৪৫। তারিখ-২৮/০১/২০১৯ইং। যার প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ১৬ লক্ষ ৭৫ হাজার ৫শ ৩০ টাকা।

ব্রীজটির নির্মাণ কাজের অনুমোদনের পর গত ৪-৫ দিন ধরে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার মোঃ সুলতান আহমেদ ওই স্থানে নতুন ব্রীজ নির্মাণের জন্যে বেচ কাটাসহ আনুসাঙ্গিক কাজ শুরু করেন।

কিন্তু স্থানীয় জনসাধারণের অভিযোগ,ওই ব্রীজটি বিতারা ডাক্তার বাড়ি-ইউনুছ মেম্বারের বাড়ির পাশে খালের উপর নির্মিত না হয়ে একই গ্রামের প্রায় ১ কিলোমিটার উত্তর দিকে হোসেন মিয়া প্রধানের বাড়ির সামনে খালের উপর নির্মাণ হচ্ছে। ফলে এ নিয়ে এলাকাবাসী তুমুল ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ অলিউল্যাহ, আওয়ামীলীগ নেতা মো. জাহাঙ্গীর আলম জিল্লু, মিজানুর রহমান ও যুবলীগ নেতা কাউছার আলম রুবেল জানান, ‘ব্রীজটি যেখানে সরকারি ভাবে অনুমোদন হয়েছে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো.ইউনুছ মুন্সি ওই স্থানে না করে মোটা অংক হাতিয়ে নিয়ে অন্য জায়গায় নির্মাণের পায়তারা করছে।’

তারা বলেন, সরকারি সিডিউল অনুসারে যেখানে ব্রীজ হওয়ার কথা সেখানেই ব্রীজ নির্মাণ হোক। এলাকাবাসীর অভিযোগ এ বিষয়ে ইউপি সদস্য ইউনুছ মুন্সীকে আগের জায়জায় ব্রীজ নির্মানের জন্য বলা হলে তিনি কোন কর্নপাত না করে ইচ্ছা মতো তালবাহানা করছেন।

এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য মো. ইউনুছ মুন্সি বলেন, এ গ্রামে দুটি কালভাট ব্রীজ হবে। এরমধ্যে একটির অনুমোদন হয়েছে, অন্যটির অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার বিষয়ে তিনি অস্বীকার করে বলেন,এটি আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার।

এ ব্যাপারে ইউএনও নীলিমা আফরোজ বলেন,‘একস্থানের ব্রীজ অন্য স্থানে হওয়ার কোন সুযোগ নেই। ব্রীজ স্থানাস্থরে কোন অনিয়ম হলে তা তদন্ত করে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

স্টাফ করেসপন্ডেট
২ এপ্রিল,২০১৯