Home / সারাদেশ / ঈদে লঞ্চে নির্বিঘ্ন চলাচলে যেসব উদ্যোগ সরকারের
লঞ্চে

ঈদে লঞ্চে নির্বিঘ্ন চলাচলে যেসব উদ্যোগ সরকারের

ঈদের সময় যাত্রীবাহী নৌযান বা লঞ্চ চলাচল নির্বিঘ্ন করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে নৌপথে সুষ্ঠুভাবে নৌযান চলাচল সংক্রান্ত ঈদ ব্যবস্থাপনা সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এ সময় সভাপতিত্ব করেন।

সভা শেষে নৌ-প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তের কথা জানান। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ২২ এপ্রিল। যে কারণে ১৭ এপ্রিল থেকে ঈদের আগের তিনদিন ও পরের তিনদিন পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ছাড়া সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান, ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে।

‘এছাড়া পদ্মাসেতুতে, মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ আছে, এ কারণে আমরা চেষ্টা করছি, শিমুলিয়ায় বিকল্প ব্যবস্থা করতে পারি কিনা। বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে মোটরসাইকেল পারাপারের জন্য।’

তিনি বলেন, এখানে একটি বড় বিষয় হচ্ছে এপ্রিল মাসে কালবৈশাখী ঝড় হওয়ার শঙ্কা থাকে খুবই বেশি। সেক্ষেত্রে আমাদের আবহাওয়া বার্তা মেনে চলতে হবে। যাত্রীদের সুবিধার জন্য ঢাকা সিটি করপোরেশন ও আমাদের নৌপুলিশ আরও সতর্কতার সঙ্গে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে। সদরঘাট এলাকায় বিশেষ করে যখন লঞ্চগুলো চলে যাবে, তখন বা ভোররাতে যখন এখানে বার্থিং করবে, তখন এই জায়গায় কোনো ছোটো নৌযান চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে। আমরা বিষয়টি কঠোরভাবে নজর রাখবো।’

‘সন্ধ্যার পর কোনো বাল্কহেড চলাচল করবে না। সবসময়ের জন্য এটি তো নিষিদ্ধ আছেই।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আরিচা, কাজিরহাট, পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়ায় আমরা ফেরি সংখ্যা বাড়িয়ে দিচ্ছি। হরিনা ও আলুবাজারেও ফেরি সংখ্যা বাড়ানো হবে। সন্দ্বীপ ও হাতিয়ার মতো উপকূলীয় এলাকায় সি ট্রাক চালু থাকবে। তাজউদ্দিন ও আইভি রহমান সেখানে নিয়মিত চলাচল করবে। কাজেই পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে রেখে সাধারণ মানুষ নির্বিঘ্নে নৌসেবাটা নিতে পারে, সে বিষয়ে আমরা আন্তরিক।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, পুরনো লঞ্চগুলো মালিকরা এরই মধ্যে সরিয়ে ফেলেছে। আরও আধুনিক মানের লঞ্চ সংযুক্ত হচ্ছে বলে আমরা দেখতে পাচ্ছি। অনেকে ধারণা করেছিল পদ্মাসেতু হয়ে গেলে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ আর লঞ্চ ব্যবহার করবে না। কিন্তু কথাটা ভুল প্রমাণিত হয়েছে।

নৌপথে চলাচলে মানুষের আগ্রহ এখনো কমেনি জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগ্রহ আরও বাড়ছে। সে কারণে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি। আর বিকেএমই ও বিজিএমইর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছি, তারা ছুটিগুলো পর্যায়ক্রমে দেয়, যাতে নৌপথে অতিরিক্ত চাপ না পড়ে। অতীতে তারা যেভাবে ছুটি দিয়েছে, এবারও তারা যেন সেটি করে। আমাদের নৌপথই কেবল না, রেল ও সড়কপথেও তাতে চাপ কম পড়বে।

পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ আছে। শিমুলিয়া ঘাট দিয়ে ফেরি চলাচলের একটা দাবি আছে চালকদের। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিমুলিয়ায়তো ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। কাজেই আমরা চেষ্টা করছি। এখানে সেতু কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলতে হবে, কারণ শিমুলিয়ায় যদি আমরা চালু করি তাহলে দুইবার পদ্মা সেতু ক্রস করতে হবে। সেটা তাদের অনুমতির প্রয়োজন আছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা যদি সরাসরি চ্যানেল তৈরি করি, সেখানে বিদ্যুৎ বিভাগের একটা অনুমতির প্রয়োজন আছে। সেটা অনুমতি সাপেক্ষে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

টাইমস ডেস্ক/ ৩০ মার্চ ২০২৩