আমুর ও তিমুর নামের এই বাঘ ও ছাগল প্রায় এক মাস ধরে একসাথেই থাকছে, ঘুরে বেড়াচ্ছে। রাশিয়াতে দুই প্রজাতির প্রাণীর মধ্যে এমন এক ঘটনা ঘটেছে যা হয়তো কেউ চিন্তাও করতে পারবেনা ।
প্রায় এক মাস আগে রাশিয়ার একটি সাফারি পার্কে আমুর নামের একটি বাঘকে খাবার হিসেবে দেওয়া হয়েছিল একটি জ্যান্ত ছাগল। কিন্তু ওই ছাগলকে না খেয়ে বাঘটি তার সঙ্গে বন্ধুত্ব পেতে বসেছে। এখন আমুর নামের ওই বাঘ ও তিমুর নামের ওই ছাগলটি পরস্পরের সবচেয়ে কাছের বন্ধু। এমনকি বন্ধু ছাগলের জন্য নিজের ঘুমানোর জায়গাটিও ছেড়ে দিয়েছে বাঘটি।
ওই চিড়িয়াখানায় আমুর ও তিমুর অর্থাৎ বাঘ ও ছাগল এখন বিভিন্ন স্থানে একসঙ্গেই ঘুরে বেড়ায়। একসাথে ঘুমায়। চিড়িয়াখানায় আসা দশনার্থীরা অবাক হচ্ছেন হিংস্র পশু বাঘের সঙ্গে ছাগলকে ঘুরতে দেখে। বাঘে-ছাগলের বন্ধুত্বের ভক্ত হয়ে গেছেন অনেকে। তারা রীতিমতো এদের কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণ করছেন। ওয়েবক্যামের মাধ্যমে দর্শনার্থীরা সরাসরি দেখছেন এই বিরল বন্ধুত্বের দৈনিক কর্মকান্ড।
এই দুজনের নামে ফেইসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে খোলা হয়েছে অ্যাকাউন্ট। তিন বছর ধরে চিড়িয়াখানায় থাকা আমুর বাঘকে সপ্তাহে দুইবার জ্যান্ত ছাগল খেতে দিতে হতো চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষকে। সারাহ রেইনসফোর্ড ওই চিড়িয়াখানার পরিচালক দিমিত্রি মেজেনস্তেভের সাথে কথা বলেছিলেন।
মি: মেজেনস্তেভ বলছিলেন “প্রায় তিন বছর ধরে আমুর এই চিড়িয়াখানায় আছে। সপ্তাহে দুইদিন তাকে ছাগল খেতে দিতে হতো।
আমরা একদিন তাকে তিমুর নামের ওই ছাগলকে খেতে দিই। কিন্তু চারদিন পর দেখি বাঘটি তিমুরকে খায়নি। এটা খুবই বিস্ময়কর একটা ঘটনা”। বাঘটি তিমুর নামের ছাগলটিকে চার দিনেও খায়নি, এখনও তারা একসঙ্গেই থাকে।
“বাঘটা এতটা ক্ষুধার্ত ছিল সে কয়েক সেকেন্ডে তিমুরকে খেয়ে ফেলতে পারতো। কিন্তু এটা তিমুরেরই সাহসিকতা সে বাঘটির সঙ্গে বন্ধুত্ব পেতেছে।
তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে এদেরকে আলাদা করবোনা, একসাথেই রাখবো”-বলেন চিড়িখানার পরিচালক দিমিত্রি মেজেনস্তেভ।
তিনি আরও বলেন “এদের সম্পর্ক দেখে মানুষেরও শেখার কিছু রয়েছে । বিশ্বে যেসব যুদ্ধ হানাহানি চলছে, মানুষ যদি মানবিক হতে শেখে তাহলে নিরীহ প্রাণগুলো বেঁচে যেত”।
তথ্যসূত্র : বিসিসি।
আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ০৮:২২ পিএম, ০৩ জানুয়ারি ২০১৬, রোববার
এমআরআর
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur