Home / চাঁদপুর / ‘নামে নামে যমে টানে’ : যমে টানা কচুয়ার বিল্লালের মুক্তি!
‘নামে নামে যমে টানে’ : যমে টানা কচুয়ার বিল্লালের মুক্তি!

‘নামে নামে যমে টানে’ : যমে টানা কচুয়ার বিল্লালের মুক্তি!

অবশেষে চাঁদপুর জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার শিংআড্ডা গ্রামের নিরাপরাধ যুবক বিল্লাল পাঠান।

বুধবার (১৭ মে) চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মামনুর রশিদের আদালত থেকে মুক্তিনামা চাঁদপুর জেল আদালতে পাঠানো হলে বিল্লাল কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে মিলিত হয় ।

আইনজীবীরা গত সপ্তাহে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিনা অপরাধে আসামি হয়ে জেল খাটা বিল্লাল পাঠানের জামিন চাইলে আদালত জেল হাজত থেকে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন ।

আদালতে প্রতিবেদন আসার পরই ব্যবসায়ী বিল্লাল পাঠানের মুক্তি মিলে ।

‘নামে নামে যমে টানে’- বলে যে প্রবাদটি প্রচলিত রয়েছে তার কারণে মামলার আসামি না হয়েও সাজাপ্রাপ্ত পলাতক এক আসামির সাথে নামের মিল থাকায় বিল্লাল পাঠানকে জেল খাটতে হয়।

এই ঘটনার প্রতিবাদে এবং বিল্লালের মুক্তির দাবিতে গত ১১ মে সকাল সাড়ে নয়টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত তার পরিবারের সদস্যরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সামনে প্রতিক অনশন পালন করেছে। পরে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারন সম্পাদক অ্যাডঃ মুজিবুর রহমান ভুইয়া সহ অনান্য নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে ন্যায় বিচার পাওয়ার আশ্বাসের প্রেক্ষিতে তারা অনশন ভঙ্গ করে। এ বিষয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

প্রায় ১২ বছর আগে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ পুলিশের হাতে ধৃত ডাকাত দলের এক সদস্য নিজের নাম বিল্লাল হোসেন মোল্লা, গ্রাম কচুয়ার শিংআড্ডা উল্লেখ করলেও এটি ছিলো ভুয়া।

তারপরও পুলিশ বিল্লাল হোসেন পাঠান নামে এ ব্যক্তিকে আটক করে। ফরিদগঞ্জ থানার একটি ডাকাতির মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে পুলিশ বিল্লাল হোসেন পাঠানকে চাঁদপুর কোর্টে চালান দেয়।

তিনি ১৩ দিন চাঁদপুর জেলা কারাগারে সাজা ভোগ করার পর তার মুক্তি মিলে ।

মুক্তি পাবার পর বিল্লাল পাঠান জানান, ‘আমি সকলের দোয়া এবং ভালোবাসায় আদালত থেকে মুক্তি পেয়েছি । আমি এ ঘটনার সাথে জড়িত ছিলাম না। ’

প্রতিবেদক- শরীফুল ইসলাম
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১ : ৩০ পিএম, ১৯ মে ২০১৭, বৃহস্পতিবার
ডিএইচ

Leave a Reply