Home / জাতীয় / জোবাইদা রহমান রাজনীতিতে আসলে ভালো হবে : প্রধানমন্ত্রী
জোবাইদা রহমান রাজনীতিতে আসলে ভালো হবে : প্রধানমন্ত্রী
ফাইল ছবি

জোবাইদা রহমান রাজনীতিতে আসলে ভালো হবে : প্রধানমন্ত্রী

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান রাজনীতিতে আসলে ভালো হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (০৮ আগস্ট) মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক শেষে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে জোবাইদা রহমানের আসার সম্ভাবনার কথা শুনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জোবাইদা রহমান রাজনীতিতে এলে ভালো করবেন বলেও প্রধানমন্ত্রী এ সময় মন্তব্য করেন।

দুপুরে সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।

সূত্র জানায়, মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় জোবাইদা রহমানের বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে আসার সম্ভাবনার বিষয়টি ওঠে। বৈঠকে সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান প্রসঙ্গটি তোলেন।

তারা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহর বক্তব্য তুলে ধরে বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির দুটি পদ এখনও শূন্য রয়েছে। এ পদ দুটি নাকি খালেদা জিয়া তার দুই পুত্রবধূর জন্য রেখেছেন।

এসময় অন্য কয়েকজন মন্ত্রীও এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। তখন প্রধানমন্ত্রী বলেন, সে (জোবাইদা) শিক্ষিত এবং ভদ্র পরিবারের মেয়ে। সে রাজনীতিতে এলে ভালোই হবে। ভাল করবে।

জোবাইদা রহমান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রীর আত্মীয় বলেও আলোচনায় উঠে আসে। তখন খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে প্রধানমন্ত্রী জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, জোবাইদা রহমান তার চাচার শালিকার মেয়ে হিসেবে সম্পর্কে খালাতো বোন হন।

বৈঠক সূত্র আরো জানায়, এ সময় শাজাহান খান বিএনপির সদ্য ঘোষিত কেন্দ্রীয় কমিটির সমালোচনা করেন। এই কমিটিতে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার আসামি আব্দুস সালাম পিন্টু এবং যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের নেওয়া হয়েছে।

এদিকে এ বৈঠকে পাশ হওয়া বিদ্যুৎ আইনের একটি ধারায় ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার না দেওয়ার সমালোচনা করা হয়। তখন প্রধানমন্ত্রী এই ধারাটি বাতিলের নির্দেশ দেন বলে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, বৈঠকে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু প্রসঙ্গটি তোলেন। এরপর এটি নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন ও নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান এ বিষয়ে কথা বলেন।

মন্ত্রীরা বলেন, বিদ্যুৎ আইনের ৬৯ ধারা বাতিল করতে হবে। এই ধারা ট্রেড ইউনিয়ন না করার কথা বলা হয়েছে। এর ফলে বহির্বিশ্বে ভুল তথ্য যাবে। এমনিতে ইপিজেড নিয়ে বিভিন্ন কথা শুনতে হয়। এই ধারাটি বাতিল করতে হবে।

এ সময় মন্ত্রীদের কথা শোনার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্যুৎ আইনের এই ৬৯ ধারাটি বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন। এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেন।(সূত্র: বাংলা নিউজ)

নিউজ ডেস্ক ।।আপডটে, বাংলাদশে সময় ৮:০০ পিএম,৮ আগস্ট ২০১৬,সমবার
এইউ

Leave a Reply