Home / উপজেলা সংবাদ / ফরিদগঞ্জ / ফরিদগঞ্জে কুকুরের কামড়ে অর্ধশত গবাদি পশু আহত
Dog
প্রতীকী ছবি

ফরিদগঞ্জে কুকুরের কামড়ে অর্ধশত গবাদি পশু আহত

ফরিদগঞ্জ পৌরসভা ও ১৫ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকাতে বে-ওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রোব বেড়েই চলেছে। পাগলা কুকুরের কামড়ে এ পর্যন্ত অন্তত অর্ধশত গবাদি পশু আহত হয়েছে।

এছাড়া কুকুরের কামড়ে বিভিন্ন স্থানে মানুষজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। কুকুরের উপদ্রব বেড়ে যাওয়াতে জনমনে উদ্বেগ দেখা দিলেও প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে।
স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের বক্তব্যও দায়সারা গোছের।

কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত মানুষের জন্য সরকারিভাবে কিছু সংখ্যক ভেক্সিন সরবরাহ করা হলেও পশুর জন্য কোন টিকার সরবরাহ নেই প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ে।
কয়েকটি এলাকা ঘুরে জানা যায়, গত কয়েক দিনে কুকুরের কামড়ে পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের ভাটিয়ালপুর চৌরাস্তার চায়ের দোকানদার মো. বারেক হাজীর একটি, কলোনী বাড়ির আম্বিয়া খাতুনের একটি, ভাঙ্গা বাড়ির পানের দোকানদার মিলনের একটি, মোল্লা বাড়ির আলমগীর মোল্লার দু‘টি, পুরান বাড়ির নাছির শেখের একটি, বেপারী বাড়ির আবুল বাশার বাসুর একটি, ৯নং গোবিন্দপুর ইউনিয়নের চির্কা চাঁদপুর গ্রামের ভাটিয়ালপুর ঈদগাহ মসজিদের প্রেস ইমাম হাফেজ মো. ওহিউদ্দিন উন্নত জাতের একটি ছাগল মারা যায়। এছাড়া কলু মিয়া বাড়ির ফারুকের তিনটি, নাছিরের আরো দু‘টি, আলমগীরের একটি, বাসুর একটি, চরবসন্ত গ্রামের আমেনা বেগমের একটি ছাগল কুকুরের কামড়ে আহত হয়।

পৌরসভার চরকুমিরা গ্রামে আরো ১০টিসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কুকুরের কামড়ে অর্ধশতাধিক ছাগল আহত হয়েছে।

এদিকে ৯ নং গোবিন্দুপর ইউনিয়নের গাজী বাড়ির (আইজার বাড়ি) রফিকের ছেলে ফয়সালকে কুকুরে কামড়িয়ে আহত করে।

আহতের পিতা চাঁদপুর টাইমসকে জানায় এ পর্যন্ত তার চিকিৎসায় প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে বলে জানায় এ প্রতিনিধিকে।
এ সর্ম্পকে ক্ষতিগ্রস্ত ছাগলের মালিক মো. ফারুক মিয়া চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘কুকুরের কামড় থেকে ছাগল রক্ষায় সমায়িকভাবে ছাগলের গলায় প্লাস্টিক ঝুলিয়ে রাখি। এছাড়া অন্য কাজ বাদ দিয়ে কুকুরের কামড় থেকে ছাগল রক্ষায় সবসময় পাহারা দিয়ে রাখতে হয়।’

এ সর্ম্পকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম শিপন বলেন, ‘কুকুর নিধন ও ভেক্সিন প্রদানের দায়িত্ব স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের অর্থ্যাৎ ফরিদগঞ্জ পৌরসভার। আমি কর্তৃপক্ষের সাথে এনিয়ে কথা বলবো।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনে আমি জেলা থেকে বাড়তি কিছু ভেক্সিন এনে রাখবো। যাতে রোগীরা যথাসময়ে চিকিৎসা পায়।’

ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের কর্মকর্তা মো. ইসমাইল হোসেন চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘ছাগলকে কুকুরে কামড় দিলে তার প্রতিষেধক হিসাবে “রেবিস” ভেক্সিন দিতে হয়।’

কুকুরের কামড়ে উল্লেখিত মালিকদের ছাগলগুলো সর্ম্পকে জানতে চাইলে তিনি রেজিঃ খাতা দেখিয়ে বলেন, ‘ছাগলের চিকিৎসার জন্য কেউ আসেননি। সরকারি ভাবে কুকুরের কামড়ানো ছাগলের জন্য কোন বেক্সিন সরবরাহ না থাকায় বাহির থেকে কিনে ছাগলকে চিকিৎসা করাতে হয়।’

ফরিদগঞ্জ পৌরসভার সচিব মো. খোরশেদ আলম বলেন, ‘কুকুরের উপদ্রব বাড়লে প্রতি বছরই পৌরসভার উদ্যেগে কুকুর নিধন অভিযান চালানো হয়। স্বল্প সময়ের মধ্যে কুকর নিধনে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’

ফরিদগঞ্জে কুকুরের কামড়ে অর্ধশত গবাদি পশু আহত

About The Author

প্রতিবেদক- সানাউল হক, ফরিদগঞ্জ করেসপন্ডেন্ট

Leave a Reply