Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরে কাশফুল সৌন্দর্যের আড়ালে চলছে অশ্লীলতা
কাশফুল
চাঁদপুরে কাশফুল বাগানে অশ্লীলতা

চাঁদপুরে কাশফুল সৌন্দর্যের আড়ালে চলছে অশ্লীলতা

চাঁদপুর শহরের ঘোড়ামারা আশ্রয়ন প্রকল্পের পূর্ব পাশে কাশফুল সৌন্দর্যের আড়ালে প্রতিদিন চলে যতো অসুন্দর কাহিনী। যাকে বলা হয়ে থাকে অসামাজিকতা কিংবা অশ্লীলতা। এমনই অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয়দের কাছে।

জানা যায় দীর্ঘদিন ধরে চাঁদপুর শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের দক্ষিণ পার্শ্বে এবং ঘোড়ামারা আশ্রয়ন প্রকল্পের পূর্বদিকে থাকা বিশাল এলকা ঘিরে বালি ভর্তি জায়গা জুড়ে কাশবন সৃষ্টি হয়েছে। গত এক দেড় মাস যাবত সেখানে সাদা কাশফুল ফুটে উঠে। কাঁশফুলের সেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নজর কেড়ে নেয় দর্শনার্থীদেরর।

একসময়ের একটি ঔষধ কোম্পানীর বিজ্ঞাপনের রেশ ধরে বলতে হচ্ছে, এ যেনো কাশফুলের নরম ছোঁয়া। কাশফুলের নরম ছোঁয়ার সৌন্দর্য অনুভব করতে প্রতিদিন বিকেলে জেলা শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা অনেক কপোত কপোতী সেখানে ঘুরে বেড়াতে যান । বিকেল থেকে সন্ধ্যার পর পর্যন্ত সেখানে তারা দীর্ঘ সময় কাটিয়ে থাকেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ কাশ ফুলের সৌন্দর্য দেখার আড়ালে কাশবনে চলে কপোত-কপোতিদের নানা অশ্লীলতা। কারণ যেখানে সাদা কাশফুলে ছেয়ে গেছে পুরো মাঠ। কাশফুলের ওই সৌন্দর্যকে ভেদ করে কাশবনের আড়ালে প্রবেশ করলে দূর থেকে তেমন কিছুই দেখা যায়নি। আর এই সুযোগে কপোত-কপোতীরা সেখানে যত অসামাজিক কার্যক্রম চালিয়ে থাকেন বলে, একাধিক ব্যক্তির অভিযোগ।

কাশফুল বাগান সম্পর্কে স্থানীয়দের ভাষ্য

বিশেষ করে উঠতি বয়সী কিশোর কিশোরীরা এবং যুবক-যুবতীরা সেখানে গিয়ে আপত্তিকর সময় কাটান বলে জানান এলাকাবাসি এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা।

ঘোড়ামারা আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকার ও তার আশেপাশের মোঃ রহিম মিয়া তালুকদার, নয়ন মিয়া, এমদাদুল, নজু ভূঁইয়া, স্বপন তালুকদার সহ একাধিক ব্যক্তি জানান, এই ঘোড়ামারা আশ্রয়ণ প্রকল্পের পূর্বদিকে আবাসিক এলাকা হিসেবে যেসব খালি জায়গা বালু দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। সেখানে অনেক কাশফুল গাছ উঠে সেখানে কাশবন সৃষ্টি হয়েছে। গত এক মাসের উপরে গাছ গুলোতে কাশফুল ফুটে উঠে। সাদা কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক দর্শনার্থী এখানে ছুটে আসেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো অনেকে এখানে পরিবার পরিজন পরিজন নিয়ে ঘুরে বেড়াতে এলেও। কিছু উঠতি বয়সী তরুণ-তরুণী, যুবক-যুবতীরা কাঁশবনের আড়ালে গিয়ে নানা অশ্লীলতা ও অসামাজিক কার্যকলাপ করে থাকেন। তারা সেখানে যাওয়ার জন্য আগে থেকে ওই এলকার আশে পাশে ঘুরে বেড়ান। তারপর প্রতিদিন আসরের পর কিংবা সন্ধ্যার একটু আগ মুহূর্তে সেখানে প্রবেশ করেন। কাশবনে তারা প্রথম তারা ঘুরেফিরে ছবি তুলেন। তারপর তারা সুযোগ বুঝে আলাদা আলাদা ভাবে কাশবনের ভেতরে প্রবেশ করে অশ্লীলতা করে বেড়ায়।

যেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য অনেক মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে আসে। সেই স্থানটি যদি এভাবে নোংরামি হয় তাহলে অনেক ভদ্র পরিবারের লোকজনও সেখানে যাওয়ার উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে। তাই এই বিষয়ে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন নজরদারি করার প্রয়োজন বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

আরও পড়ুন : হাজীগঞ্জে কাশফুল সৌন্দর্যে মুগ্ধ প্রকৃতিপ্রেমীরা

প্রতিবেদক : কবির হোসেন মিজি, ১৬ অক্টোবর ২০২১