Home / উপজেলা সংবাদ / ফরিদগঞ্জ / জরাজীর্ণ ভবনে ফরিদগঞ্জে ডিগ্রি মাদ্রাসার পাঠদান
মাদ্রাসার পাঠদান

জরাজীর্ণ ভবনে ফরিদগঞ্জে ডিগ্রি মাদ্রাসার পাঠদান

চাঁদপুরের  ফরিদগঞ্জ উপজেলার  চরদুখিয়া ইউনিয়নের শতবর্ষী পুরানো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আলোনিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার জরাজীর্ণ, ঝুকিপূর্ণ ভবন ও একই অবস্থাতে থাকা টিনশেড ভবনে চলছে পাঠদান। করোনা পরবর্তী প্রতিষ্ঠানটি খোলার পর দেখা দিয়েছে শ্রেণিকক্ষে সঙ্কট।

ছাদ ও দেয়ালের প্লাস্টার ধসে পড়ায় ব্যবহারের অযোগ্য ভবনে শিক্ষার্থীরা যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে। হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎকণ্ঠা অরো বেড়ে যায়।
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষার্থীরা ফিরেছে মাদ্রাসায়। এমন জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা।
শিক্ষার্থীরা জানায়, বিদ্যালয়ে খোলার পর কষ্ট করে ক্লাস করতে হচ্ছে। শ্রেণিকক্ষের সংকট থাকার পরও স্বাস্থবিধি মেনে পাঠদান চলছে।

অভিভাবকরা জানান, দীর্ঘদিন পর মাদ্রাসার পাঠদান কার্যক্রম শুরু হলেও ভবন না থাকায় আমরা ছেলে-মেয়েদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়।

বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ৬শ’ ৫৬জন জন ছাত্র ও ছাত্রীনিয়ে পুরানো জরাাজীর্ণ ভবন ও নড়বড়ে টিনের দোচালা ঘর। ভাঙা দরজা। জানালা-ছাদ নেই। বেঞ্চ আছে কয়েকটি। ছোট কয়েকটি ভাঙাচোরা শ্রেণিকক্ষ। গ্রীষ্মে গরমে হাঁসফাঁস করে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা। বর্ষায় টিনের চালের ছিদ্র দিয়ে শিক্ষার্থীদের বই-খাতার ওপরে পড়ে বৃষ্টির পানি। শ্রেণিকক্ষের ভেতরে ভাঙা বেঞ্চে গাদাগাদি করে বসে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছে। এভাবে ১০টি শ্রেণিকক্ষে চলছে পাঠদান।

মাদ্রাসায় নেই কম্পিউটার ল্যাব, ছাত্রীদের কমনরুম ও নামাজের স্থান, অফিস কক্ষ, শিক্ষক মিলনায়তন। মাদ্রাসার একাংশে বাউন্ডারী দেয়াল থাকলেও নেই গেইটসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শিক্ষক, অফিস সহকারীসহ বিভিন্ন পদে ৩৬টি পদের মধ্যে ১৯টি পদ শূন্য রয়েছে। বর্তমানে ১৫জন নিবন্ধিত শিক্ষক ও ২ জন খÐকালীন শিক্ষক দিয়ে কোন রকমে চলছে পাঠদান। আর এভাবেই চলছে শতবর্ষী পুরানো ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আলোনিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার পাঠদান ।

মাদ্রাসার নবাগত অধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রায় একশ শতক জমির উপর ১৯২২ সালে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা হয়। ১৯৮০ সালে শিক্ষার্থীদের অভিবাবক, পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় ইটের গাঁথুনি দিয়ে একতলা ভবন নির্মান করা হয়। কোন প্রকার নকশা ও ডিজাইন ছাড়াই নির্মিত ভবনটিতে পরবর্তী ২০০৪ সালে একই উপায়ে দোতালা ভবন করা হয়। নেই দরজা ও জানালা। ছাদ ও দেয়ালের প্লাস্টার না করায় ছাদ ও দেয়াল ফেটে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে সককারি ভাবে কোন ভবন নির্মান করা হয়নি। এবং বড় ধরনের সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ করবো শিক্ষাকার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে মাদ্রাসার জন্য নতুন ভবন, বাউন্ডারী দেয়াল, কম্পিউটাল ল্যাব স্থাপন করা হলে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে। এবং পাঠদান স্বাভাবিক থাকবে।

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ১৬ অক্টোবর ২০২১