Home / উপজেলা সংবাদ / চাঁদপুর সদর / কানুদি বাজার ব্রিজ ও সড়কের বেহালদশা : জনদুর্ভোগ চরমে
Bridge-b...

কানুদি বাজার ব্রিজ ও সড়কের বেহালদশা : জনদুর্ভোগ চরমে

চাঁদপুর সদরের উত্তরে বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের জনু হাজরার বাড়ির মোড় থেকে কানুদি বাজার পর্যন্ত ১ কিলোমিটার রাস্তার বেহালদশায় জনদুর্ভোগ এখন চরমে ।

চলমান বর্ষা মৌসুমের আগে এ এক কিলোমিটার সড়কটি ইটের সলিং উঠে যায় এবং অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে রিকশা-অটোরিকশা ও সিএনজিসহ কোনো প্রকার যানবাহন চলাচল করতে নানা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

প্রতিনিয়ত ঔসব যানবাহন চলাচল করে থাকে। কানুদি সরকারি প্রাথমিক স্কুল কাম ফ্লাড সেন্টারের শিক্ষার্থীরা দু-তিন বছর ধরেই এ সড়ক দিয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া কর্ ।

প্রতিদিন চাঁদপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ ১৮টি লঞ্চ চলাচল করে থাকে এবং কানুদি লঞ্চঘাটে শত শত যাত্রী এ সড়ক দিয়ে নারায়ণগঞ্জ এবং চাঁদপুর যাতায়াত করে থাকে ফলে যাত্রীরা দুর্ভোগের মধ্যেই যাতায়ত করে থাকে ।

এছাড়াও কিছুদিন আগে বর্ষার পানির স্রোতের টানে কানুদি সরকারি প্রাথমিক স্কুলের সম্মুখে ও বাজারে যাওয়ার ব্রিজটির পূর্বপাশের মাটি স্রোতের টানে সারে গিয়ে ব্রিজটির একপাশ ভেঙ্গে গেছে এবং মাটি ধসে পড়েছ্ ।

এছাড়াও ব্রিজটির রেলিং এর আস্তর ঘসে পড়ছে । প্রতিদিন সকাল এবং বিকেল গ্রামবাসীদের কানুদি বাজারে ও লঞ্চঘাটে নানা ঝুঁকির মধ্যদিয়েই যেতে হয় । স্থানীয় গ্রামবাসীরা সকা-বিকাল বাজার করতে এ ব্রিজের একপাশ ভেঙ্গে যাওয়ায় ফলে মারাত্মক ঝুঁকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় ইউপি মেম্বার মো.খোরশেদ বরকন্দাজ জানান , এ ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদ এবং উপজেলা পরিষদে বারবার বিষয়টি উপস্থাপন করেছি ।
স্থানীয় আ’লীগ নেতা ডা. নজরুল ইসলাম জানান , ব্রিজটির পূর্ব পাশের মাটি সরে যে কোনো সময় বড় ধরনের বিপদ ঘটাতে পারে ।স্কুলটিও হুমকীর মধ্যে পড়ে আছে ।্

জনপ্রতিনিধিগণ বারবার আশ্বাস দিলেও এ পর্যন্ত এর সমাধান হয়নি বলে তিনি জানান, স্থানীয় জনগণের মধ্যে অনেকেই জানান, পাঁচ বছর আগে এ ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছিল ৮০ লাখ টাকায় । অথচ এখন এটি ভেঙ্গে পড়ছে ও দু’পাশের মাটি সরে গিয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে। সাধারণভাবে সড়ক দিয়ে হাটা যাচ্ছে না ।

কানুদি বাজারের উক্ত ব্রিজটি থেকে জনু হাজরার বাড়ি পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়ক সংস্কার না হলে জনদুর্ভোগ পোহাতেই হবে স্থানীয় জনগণের। উপজেলা প্রশাসন সড়ক ও ব্রিজটির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তারা আশাবাদী ।

আবদুল গনি , ১৮ জুলাই ২০২০