কচুয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান নুরে-ই আলম রিহাতের সংবাদ সম্মেলন

কচুয়া উপজেলার ৮নং কাদলা ইউনিয়নের দরবেশগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে ওই বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো: আবু বকর মজুমদার উজ্জ্বল কর্তৃক সম্প্রতি সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রেস ব্রিফিংয়ের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান নুরে-ই আলম রিহাত। ওই ঘটনার প্রতিবাদ ও বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবী জানিয়ে কচুয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। রবিবার রাতে কচুয়া প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কাদলা ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুরে-ই আলম রিহাত বলেন, দরবেশগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়টি একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ওই বিদ্যালয়ের ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সহকারি প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলাম ও ৩১ ডিসেম্বর প্রধান শিক্ষক মো. আজিজ উল্লাহ’র অবসরজনিত কারনে পদ দু’টি শূন্য হয়।

জানা মতে বিদ্যলয় কর্তৃপক্ষ পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রদানের মাধ্যমে গত ৬ ডিসেম্বর ২০২৩ প্রধান শিক্ষক ও সহাকারি প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ কার্যক্রম প্রক্রিয়া বিদ্যালয় অফিসে না করে উপজেলার শহীদ স্মৃতি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থান নির্ধারন করেন। এ নিয়ে ওই বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎসাহী সদস্য গাজী মাহবুব উল্লাহ, অভিভাবক সদস্য গাজী আলমগীর হোসেন ও ফারজানা আক্তারসহ এলাকাবাসী আপত্তি তোলেন এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়। চলমান বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের মধ্যে অন্ত:কলহের কারনে বিদ্যালয়ের সুষ্ঠ কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে।

আমি দরবেশগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের পূর্বের সুনাম ও সুখ্যাতী ধরে রাখতে আমি আমার ফেসবুকে বিবেকের তাগিদে প্রকৃত সত্য তুলে ধরে লাইভে এসে বক্তব্য দেই। প্রকৃত সত্য এই যে, ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি মো: আবু বকর মজুমদার উজ্জ্বল নিজের দোষ-ত্রুটি শিকার না করে উল্টো আমাকে দোষারোপ করে স্থানীয় কিছু সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রেস ব্রিফিং করে বক্তব্য প্রদান করেন। বিষয়টি শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো। বিদ্যালয়টি নিয়ে আমার কোনো বিরোধ কিংবা বিদ্বেষ নেই। এটি আমার ইউনিয়নের একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানটি সুনামের সাথে পরিচালিত হউক, অন্যান্য মানুষের মতো আমিও এটা চাই। কিন্তু যতদূর জানি এ বিদ্যালয়ে বিগত কয়েকবছর যাবৎ লেখাপড়ার মান চোখে পড়ার মতো নেই, ধীরে ধীরে বিদ্যালয়ের সুনাম সুখ্যাতি ম্লান হতে চলেছে। এ অবস্থায় আমি বিদ্যালয়ের শিক্ষার স্বার্থে উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনা করছি। তাছাড়া তিনি বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতাদের বংশধর মরহুম মঞ্জুর এলাহী মজুমদার সম্পর্কে যে সমস্ত মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করেছেন তা মূলত ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক। আমাকে ও মঞ্জুর

এলাহীকে নিয়ে যেসব মিথ্যা ও কাল্পনিক বক্তব্য প্রদান করা হয়েছে, আমি উহার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। পাশাপাশি দ্রুত ওই বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবী জানাই। এসময় কচুয়া প্রেসক্লাবের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দরা ছাড়াও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

কচুয়া প্রতিনিধি, ১ জানুয়ারি ২০২৪

Share