Home / উপজেলা সংবাদ / চাঁদপুর সদর / দীর্ঘদিন পর মানুষ আনন্দময় ঈদুল আজহা উদযাপন করেছে : মোস্তফা খান সফরী
ঈদুল

দীর্ঘদিন পর মানুষ আনন্দময় ঈদুল আজহা উদযাপন করেছে : মোস্তফা খান সফরী

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য এবং ছাত্রদলের সাবেক সফল সভাপতি মোস্তফা খান সফরী বলেছেন, দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশের মানুষ প্রাণ ভরে শ্বাস নিয়ে ঈদুল আজহা উদযাপন করতে পেরেছে। মানুষ একে অন্যের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেতে পেরেছে। অথচ বিগত স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে এই সুযোগ ছিল না। তারা অপরাজনীতির নোংরা খেলায় মানুষের সাথে মানুষের ভেদাভেদ সৃষ্টি করে রেখেছিল। আগস্ট বিপ্লবে ছাত্র জনতার গণ্যঅভ্যুত্থানে সেই নির্মম প্রাচীর ভেঙে গেছে।

১০ জুন মঙ্গলবার দুপুরে তিনি চাঁদপুর সদর উপজেলার কল্যাণপুর ইউনিয়নের সফরমালী গ্রামে নিজ বাড়িতে দলীয় নেতাকর্মী, সুধীজনসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সাথে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এসব কথা বলেন। এর আগে মোস্তফা খান সফরী চাঁদপুর সদর উপজেলার বাবুরহাট, কল্যাণপুর, বিষ্ণুপুর, সফরমালিসহ বিভিন্ন এলাকায় সকল শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করেন। পাশাপাশি তিনি অন্যান্য ধর্মাবলম্বী মানুষদের সাথেও ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন‌ । এছাড়াও তিনি নিজ এলাকার মরহুম আব্দুস সাত্তার চৌধুরী বরু মিয়ার কবর জিয়ারত ও মনোয়ার খাদি এলাকার মুসলিম লীগ নেতা মরহুম মানিক মিয়ার পরিবারের সাথে কুশল বিনিময় করেন এবং বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

চাঁদপুর ৩ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপি’র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মোস্তফা খান সফরী বলেন, আজকে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য আপনাদের সাথে আমার এই সৌজন্য সাক্ষাৎ। আমি মনে করি যে কোন নেতা সাথে তার কর্মীদের এই ধরনের সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি থাকা জরুরি। যেটা আমাদের নেতা, বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমান করে গেছেন। আমি নেতা নয়, একজন কর্মী হয়ে, সাধারণ মানুষের মতো আপনাদের সাথে থাকতে চাই।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য একজন সৎ, আদর্শবান এবং জাতীয়তাবাদী নেতার প্রয়োজন। যেমনটা ছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। ‌কিন্তু আমাদের মাঝে শহীদ জিয়াউর রহমান নেই, তবে তার সুযোগ্য সন্তান জনাব তারেক রহমান রয়েছেন। মানুষ ভালোবেসে যাকে তারেক দিয়া বলে ডাকেন। এজন্য মানুষ আগামীর বাংলাদেশের নেতা হিসেবে তারেক রহমানকে নিয়ে স্বপ্ন দেখ।

তিনি বলেন, আমার ৪২ বছরের রাজনৈতিক জীবনে দলের অনেক পথ পদবী পেয়েছি। কিন্তু তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে আমার সব সময় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। দলের দুঃসময়ে রাজপথে ছিলাম। বিদেশে পালিয়ে গিয়ে কিংবা কাঁথার নিচে থেকে রাজনীতি করিনি। দলের জন্য আমার মেধা এবং শ্রম উৎসর্গ করেছি। এবার আমি নিজের এলাকার মানুষের জন্য কিছু করতে চাই।

মোস্তফা খান সফরী বলেন, মানুষের জন্য বড় পরিসরে কিছু করতে হলে জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হতে হয়। এজন্য আমি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমার দল থেকে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশী। আশা করছি দল আমাকে সে সুযোগটি করে দিবেন। ইনশাআল্লাহ যদি আমি কখনো সুযোগ পাই তাহলে চাঁদপুরকে স্থায়ীভাবে নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষা সহ পরিকল্পিত উন্নয়ন কাজ করে যাব। আপনারা বিগত দিনে যেভাবে আমার পাশে ছিলেন, আগামীতেও থাকবেন, সেই প্রত্যাশা রাখছি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুর জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি সারোয়ার গাজী, কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক আবু আহমেদ, সাবেক ছাত্রনেতা সোহেল বাকাউল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল ইসলাম মিয়াজী, চাঁদপুর পৌর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আহমেদ দরজী, পৌর যুবদল নেতা মহসিন তপাদার, পাবেল খান, বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন বিএনপির উপদেষ্টা মো. গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়া,

কল্যাণপুর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি হারুন বাট, ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক পলাশ কাজী, ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সভাপতি সোহেল গাজী, ওয়ার্ড বিএনপির নেতা মাইনুল ইসলাম, যুবদল নেতা সোহাগ বকাউল, চাঁদপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রাসেল আহমেদ জনি, বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রনি বকাউলসহ বিএনপি, যুবদল,ছাত্রদল ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।

প্রতিবেদক: আশিক বিন রহিম, ১০ জুন ২০২৫