চলতি মাসে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ এবং বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যেতে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।
এপ্রিল মাসের শেষের দিকে সিলেট অঞ্চলে (উত্তর-পূর্বাঞ্চল) স্বল্পমেয়াদি বন্যার সৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসের জন্য গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি এ পূর্বাভাস দিয়েছে। রোববার (২ এপ্রিল) আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকার ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কমিটির নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অধিদপ্তরের পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
কমিটির চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান জানান, এপ্রিল মাসে বঙ্গোপসাগরে ১ থেকে ২টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, এর মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। চলতি মাসে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ মাসে দেশে ৩ থেকে ৫ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ হালকা বা মাঝারি ধরনের এবং ১ থেকে ২ দিন তীব্র কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে।
এপ্রিলে দেশে ২ থেকে ৩টি মৃদু (৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বা মাঝারি (৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ মাসে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।
আজিজুর রহমান আরও জানান, এপ্রিল মাসের শেষ দিকে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টির কারণে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। অন্যত্র দেশের সব প্রধান নদ-নদীতে স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজমান থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর গত মার্চ মাসের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসের প্রতিবেদনে আরও জানিয়েছে, গত মাসে সার্বিকভাবে সারাদেশে স্বাভাবিকের চেয়ে ৭৭ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। মার্চে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১২ মার্চ, সীতাকুণ্ড ও রাঙ্গামাটি) এবং দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১ মার্চ, শ্রীমঙ্গল) রেকর্ড করা হয়।
মার্চ মাসে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি এবং সারাদেশে গড় তাপমাত্রা ০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল বলেও জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া ডেস্ক/ ৩ এপ্রিল ২০২৩