Home / জাতীয় / অর্থনীতি / ২১ দিনে ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা
প্রবাসীরা

২১ দিনে ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা

গত ২১ দিনে ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে বাংলাদেশে। এ হিসেবে রোজায় প্রতিদিন গড়ে ৬০০ কোটি টাকার মতো রেমিট্যান্স দেশে আসছে।

এ ধারা অব্যাহত থাকলে মাসের শেষে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ২০০ কোটি ডলার বা ১৭ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এ তথ্য মিলেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তাদের তথ্যানুযায়ী, চলতি মাস এপ্রিলের প্রথম ২১ দিনে দেশে ১৪০ কোটি ৭০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ৮৬ টাকা ২০ পয়সা) এর পরিমাণ ১২ হাজার ১২৮ কোটি টাকার বেশি।

রেমিট্যান্সের এমন উল্লম্ফনের কারণ আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদে নিজ পরিবারের সদস্যদের নতুন পোশাক কেনাকাটা ও বাড়তি খরচের চাহিদা মেটাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত বাংলাদেশিরা বেশি অর্থ পাঠাচ্ছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, বিভিন্ন উৎসবকে ঘিরে সব সময় প্রবাসীরা দেশে পরিবারের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ পাঠিয়ে থাকেন। সে ধারাবাহিকতায় আসন্ন রোজার ঈদকে সামনে রেখে তারা বেশি বেশি রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্য বলছে, গত ২১ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন পাঁচ ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২৬ কোটি ৪৫ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১১১ কোটি মার্কিন ডলার, বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে ৪৭ লাখ মার্কিন ডলার এবং বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে দুই কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স।

একক ব্যাংক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ৩১ কোটি ৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। এরপরে রয়েছে ডাচ বাংলা ব্যাংক, ১৯ কোটি ১ লাখ ডলার, অগ্রণী ব্যাংকে ৯ কোটি ৫২ লাখ, সোনালী ব্যাংকে ৮ কোটি ১৩ লাখ ডলার এবং ব্যাংক এশিয়ায় ৭ কোটি ১১ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে।

আলোচিত সময়ে সরকারি বিডিবিএল, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, পু‌লি‌শের কমিউনিটি ব্যাংক, বিদেশি ব্যাংক আল-ফালাহ, হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি।

এর আগে মার্চ মাসে প্রবাসীরা ১৮৬ কোটি ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠান। যা আগের মাস ফেব্রুয়ারির চেয়ে ২৪ শতাংশ বা ৩৬ কোটি ৫৫ লাখ ডলার বেশি ছিল। ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৪৯ কোটি ডলার।