নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা এলাকায় বায়তুস সালাত জামে মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন, জয়নাল আবেদিন (৪০), মাইনুদ্দিন (১২)। এর ফলে এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ জনে।
শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। ইনস্টিটিউটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ ৩৭ জনকে হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক।
দগ্ধ স্বজনকে দেখতে রাতেই হাসপাতালে এসেছেন অনেকে। সারারাত সেখানে অবস্থানও করেছেন। রাত থেকেই স্বজনরা হাসপাতালের সামনে আহাজারি করছেন। এক পলক দেখার জন্য অপেক্ষা করছেন হাসপাতাল গেটে।
এর আগে শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত মোট ১২ জনের প্রাণ গেছে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশের পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন।
মৃতরা হলেন- রিফাত (১৮), মোস্তফা কামাল (৩৪), জুবায়ের (১৮), সাব্বির (২১), কুদ্দুস ব্যাপারী (৭২), হুমায়ুন কবির (৭০), ইব্রাহিম (৪৩), মোয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন (৪৮), জুনায়েদ (১৭), জামাল (৪০), জুয়েল (৭) ও রাসেল (৩৪)।এ ঘটনায় শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে প্রথম মৃত্যু হয় জুয়েল নামের এক শিশুর।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে মসজিদের ভেতরে থাকা প্রায় ৫০ জনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হুড়োহুড়ি করে বের হওয়ার চেষ্টা করেন তারা।
তাদের মধ্যে দগ্ধ অবস্থায় ৩৭ জনকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
ভর্তির পর ডা. সামন্ত লাল সেন জানিয়েছিলেন, এ পর্যন্ত ৩৭ মুসল্লিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের সবারই ডিপ বার্ন রয়েছে। তবে শতাংশের হিসেবে কোন রোগীর কতটুকু বার্ন হয়েছে তা তাৎক্ষণিক বলা যাচ্ছে না। প্রাথমিকভাবে বলা যায়, কেউ শঙ্কামুক্ত নয়।
বার্তাকক্ষ,০৫ সেপ্টেম্বর ২০২০;
কে. এইচ