ই-পাসপোর্টের বিতরণ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে ২২ জানুয়ারি বুধবার থেকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ই-পাসপোর্টের উদ্বোধন করবেন। প্রাথমিকভাবে আগারগাঁও, যাত্রাবাড়ী ও উত্তরা পাসপোর্ট অফিস থেকে এবং পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে সব জায়গায় ই-পাসপোর্ট বিতরণ করা হবে।
জেনে নেই ই-পাসপোর্ট পেতে কত দিন লাগবে
ই-পাসপোর্ট মূলত ৪৮ ও ৬৪ পাতার। এ পাসপোর্টের ধরন তিন রকম। যেমন- ‘অতি জরুরি’, ‘জরুরি’ ও ‘সাধারণ’। পাঁচ বছর ও ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্টের জন্য ভিন্ন ভিন্ন হারে ফি জমা দিতে হবে।
৫ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট :১. ৪৮ পাতার ‘অতি জরুরি পাসপোর্ট’ ২ দিনে পেতে ফি দিতে হবে ৭,৫০০ টাকা।২. ৪৮ পাতার ‘জরুরি পাসপোর্ট’ ৭ দিনে পেতে ফি দিতে হবে ৫,৫০০ টাকা।৩. ৪৮ পাতার ‘সাধারণ পাসপোর্ট’ ১৫ দিনে পেতে ফি দিতে হবে ৩,৫০০ টাকা।
১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট: ১. ৪৮ পাতার ‘সাধারণ পাসপোর্ট’ ১৫ দিনে পেতে ফি দিতে হবে ৫,০০০ টাকা।২. ৪৮ পাতার ‘জরুরি পাসপোর্ট’ ৭ দিনে পেতে ফি দিতে হবে ৭,০০০ টাকা।৩. ৪৮ পাতার ‘অতি জরুরি পাসপোর্ট ২ দিনে পেতে ফি দিতে হবে ৯,০০০ টাকা।
৫ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট১. ৬৪ পাতার ‘সাধারণ পাসপোর্ট’ ১৫ দিনে পেতে ফি দিতে হবে ৫,৫০০ টাকা।
২. ৬৪ পাতার ‘জরুরি পাসপোর্ট’ ৭ দিনে পেতে ফি দিতে হবে ৭,৫০০ টাকা।৩. ৬৪ পাতার ‘অতি জরুরি পাসপোর্ট’ ২ দিনে পেতে ফি দিতে হবে ১০,৫০০ টাকা।
১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট১. ৬৪ পাতার ‘সাধারণ পাসপোর্ট’ ১৫ দিনে পেতে ফি দিতে হবে ৭,০০০ টাকা।
২. ৬৪ পাতার ‘জরুরি পাসপোর্ট’ ৭ দিনে পেতে ফি দিতে হবে ৯,০০০ টাকা।৩. ৬৪ পাতার ‘অতি জরুরি পাসপোর্ট’ ২ দিনে পেতে ফি দিতে হবে ১২,০০০ টাকা।
তবে এ ফি’র সঙ্গে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট জমা দিতে হবে। ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদ অনুযায়ী পূরণ করতে হবে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৮ বছরের কম) আবেদনকারী, যার জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তার পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।