Home / উপজেলা সংবাদ / ফরিদগঞ্জ / চাঁদপুর-৪ আসনে ইসমাইল হোসেন বেঙ্গলের মনোনয়ন দাখিল
Bengal-news

চাঁদপুর-৪ আসনে ইসমাইল হোসেন বেঙ্গলের মনোনয়ন দাখিল

বিএনপির নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচেন চাঁদপুর-৪ ফরিদগঞ্জ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী।

গত ১৩ নভেম্বর তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে বিএনপির নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয় থেকে মনোয়নপত্র সংগ্রহ করেন এবং ১৫ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ও মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল রেডিও, টেলিভিশন ও পত্রিকাতে সাংবাদিকতা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৭নং পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের দত্তশোল্লা গ্রামের কৃতি সন্তান।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পরে এক প্রতিক্রিয়ায় ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল সাংবাদিকদের বলেন, ‘ আমি দেশ ও মানুষের জন্যে রাজনীতি করি। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার প্রশ্নে সর্বোপরি দেশের আরাজকতা দূরীকরণে স্বৈরাচারী সরকারের অন্যায়, অত্যাচার, অভিচার রোধে সবসময় সোচ্চার ছিলাম। অতীতে আমি যেমন প্রতিবাদী ছিলাম, এখনও প্রতিবাদী আছি।’

অপরএক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জাতীয়তাবাদের মূর্ত প্রতীক মহান মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের সহধর্মীনি তিনবারের সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমি নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাই। আমার বিশ^াস দল আমাকে মনোনয়ন দিলে আমার নির্বাচনী এলাকার জনগন আমাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবে। ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিতের মাধ্যমে জনগন সকল অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাবে। কোন অপশক্তি ধানের শীষের এই গণজোয়ার ঠেকাতে পারবে না।’

পঞ্চাশোর্ধ্ব পোড়খাওয়া এই রাজনীতিবিদ বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। পরে তিনি মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন। বর্তমানে তিনি জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া তিনি জাতীয়বাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উপদেষ্টা ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের প্রধান উপদেষ্টা। রাজনীতির মাঠে সক্রিয় এ নেতা বর্তমানে বিএনপির নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য।

বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের অধিকারী সংগঠক ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজধানী ঢাকায় বেঙ্গল প্লাটুনের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সুবাদে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর জিয়াউর রহমানের হ্যাঁ/না ভোটে ঢাকা মহানগর কমিটির কনভেনার ছিলেন এই প্রবীন রাজনীতিবিদ। তিনি তখন ঢাকা মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচিত কামান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন।

পরে হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ ক্ষমতায় আসার পর তার প্রথম রাজনৈতিক দল জনদলের তিনি এক নম্বর প্রতিষ্ঠাতা ও সাংগঠনিক সম্পাদক এবং দলীয় রাজনৈতিক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন। পরে তিনি জাতীয় পাটির কেন্দ্রিয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি জাতীয় পাটির প্রেসিডিয়াম সদস্যের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৮ সালে জাতীয় পাটি থেকে চাঁদপুর-৬ (ফরিদগঞ্জ) ও ঢাকা-১০ (রমনা) আসন থেকে মনোনয়ন পান।

সে সময় তিনি বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় নির্বাচিত হন। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরে তিনি সরে দাঁড়ান। ১৯৯০ পরবর্তী জাতীয় পার্টির দুঃসময়ে উত্তরবঙ্গে এরশাদ মুক্তি আন্দোলনের নেতৃত্ব প্রদান করেন। ১৯৯১ সালে জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় পাটির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চীপ কর্ডিনেটর ছিলেন তিনি।

পরবর্তীতে ইসমাঈল হোসেন বেঙ্গল ২০ হাজার নেতা-কর্মী সাথে নিয়ে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার হাতে ফুল দিয়ে বিএনপিতে যোগদান করেন।

বর্তমানে তিনি জাতীয় প্রেসক্লাব, রির্পোটাস ইউনিটি, ফটোজার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন, শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে শিল্পি সাহিত্যিক ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দকে নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপার্সন বেখম খালেদা জিয়া মুক্তির জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছেন।

তিনি সেমিনার-সিম্পোজিয়াম ভিত্তিক আন্দোলনে সব সময় সরব রয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তি

Leave a Reply