Home / শীর্ষ সংবাদ / হাজীগঞ্জ-ফরিদগঞ্জ সীমান্তবর্তী দু’গ্রামের সংঘর্ষে আহত ২০
হাজীগঞ্জ-ফরিদগঞ্জ সীমান্তবর্তী দু’গ্রামের সংঘর্ষে আহত ২০

হাজীগঞ্জ-ফরিদগঞ্জ সীমান্তবর্তী দু’গ্রামের সংঘর্ষে আহত ২০

চাঁদপুর হাজীগঞ্জ-ফরিদগঞ্জ সীমান্তবর্তী উপজেলার দুই গ্রামবাসীর মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সন্ধ্যা থেকে রাত ৮ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।

আহতরা হাজীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে।

হাজীগঞ্জ উপজেলার ১০ নং গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পশ্চিম দেশগাঁও ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৫ নং গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের বালিমুড়া এ দু’গ্রামের মাঝামাঝি অবস্থিত দরগাহ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার মাগরিবের নামাজের সময় ফরিদগঞ্জের বালিমুড়া গ্রামের স্থানীয় যুবকরা দরগাহ বাজারে স্থাপিত একটি ক্লাবের বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে পশ্চিম দেশগাঁও গ্রামের রাশেদ কম্পিউটারের দোকান থেকে লাইন নিতে যায়। এ সময় দোকানের মালিক রাশেদ তাদের সংযোগ নিতে বাধা দেয়। ক্লাবের কয়েকজন সদস্যে এক পর্যায় বলে তুই নিজে সাইড লাইন চালাস কথা বললে খবর আছে।

এভাবে কথা বাক-বিতান্ডা হয়ে হাতাহাতির মত ঘটনা ঘটে। মুহুর্তে ক্লাবের সদস্যেরা ও বালিমুড়া গ্রামের যুবকরা চড়ো হয়ে উঠে।

খবর পেয়ে হাজীগঞ্জের পশ্চিম দেশগাঁও গ্রামের মিজি বাড়ি, জিয়ার বাড়ি ও শিং বাড়ির লোকজন লাঠি সোটা নিয়ে এগিয়ে আসে।

এদিকে বালিমুড়া গ্রামের মুচার বাড়ি, মেরী বাড়ি ও মেহের বাড়ির লোকজনও দেশীও অস্ত্র দ্যা লাটি সোটা নিয়ে আসলে টানা দু’ঘন্টা সংঘর্ষ হয়।

এতে দেশগাঁও গ্রামের নেয়ামত হোসেন রাশেদ, মিথন, রবিউল, সুমন, রুবেল, কবির, আরিফসহ প্রায় ১০/১২ জন আহত হয়।

বালিমুড়া গ্রামের ক্লাবের সদস্য শাহপরান, শাওন, বাহার, মেহেদীসহ কয়েকজন আহত হয়।

আহতদেরকে দ্রুত হাজীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। সামান্য আহতরা স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে যখমের স্থান দেখিয়ে বাড়ীতে নিয়ে যায় তাদের পরিবারের লোকজন।

এ বিষয়ে স্থানীয়রা বলেন, বালিমুড়া গ্রামের তিন বাড়ির যুবকরা মিলে দরগাহ বাজারে ক্লাব দেয়। বাজারের দোকানদার কামালের ঘর থেকে সাইড লাইন চালায় রাশেদ কম্পিউটার। ক্লাবে বিদ্যুৎ সংযোগের লাইন নিতে গেলে রাশেদ তাতে বাধা দেয়। সেখান থেকে ক্লাবের সদস্য শাওন, শাহপরান, বাহার, তুষার, মহসীন, মেহেদী, ফাহাদ, বিষু, রুবেল, রাসেল, শামিম,রিয়াদ, ফয়শালসহ ১৫/১৬ জন যুবক মিলে কম্পিউটার দোকানের মালিক রাশেদকে মারধর করলে খবর পেয়ে পশ্চিম দেশগাঁও গ্রামবাসীর সাথে সংঘর্ষ বাধে।

এ ঘটনায় দু’উপজেলার পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে আসতে দেখা যায়নি। তবে দুই ইউনিয়নের স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতারা খোজখবর নিচ্ছেন এবং পাল্টা-পাল্টি মামলার প্রস্ততি চলছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জাবেদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি শুনে আমাদের ফোর্স হাসপাতালে ও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ দায়ের করতে আসেনি।

প্রতিবেদক : জহিরুল ইসলাম জয়, হাজীগঞ্জ
আপডেট,বাংলাদেশ সময় ১০ : ৫০ পিএম,৩০ জুন ২০১৭,শুক্রবার

Leave a Reply