Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরে সরকারি মূল্যের চেয়েও কমে বিক্রি হয়েছে কোরবানির চামড়া
চাঁদপুরে সরকারি মূল্যের চেয়েও কমে বিক্রি হয়েছে কোরবানির চামড়া

চাঁদপুরে সরকারি মূল্যের চেয়েও কমে বিক্রি হয়েছে কোরবানির চামড়া

চাঁদপুরে এ বছর কোরবানির চামড়া বিক্রি হয়েছে সরকারি নির্ধারিত মূল্যের চেয়েও কমে। লাখ টাকার গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ৫শ’ টাকায়।

ক্রয় মূল্য এবং সংরক্ষণ খরচসহ বিক্রি করতে লোকসান হবে এমন আশঙ্কায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আর এ কারণে সঠিক মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়েছে জেলার হাজার হাজার বিক্রেতা।

একই সঙ্গে মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীর সংখ্যাও কমে গেছে। ঈদের দিন দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত গড়ে প্রতিটি গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ৩শ’ থেকে ৮শ’ টাকা। আর ছাগলের চামড়া বিক্রিই হয়নি।

চাঁদপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ও শহরের সবচাইতে বড় চামড়ার আড়ৎ পালবাজার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী নাছির উদ্দিন বলেন, এ ইউনিয়নে গত বছর সাত থেকে আটজন ব্যবসায়ী মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কোরবানির চামড়া সংগ্রহ করেছে। কিন্তু এ বছর দাম কম হওয়ায় অনেকেই এ ব্যবসায় নেই। গত বছর যে চামড়া বিক্রি হয়েছে ১৩শ’ থেকে ১৫শ’ টাকা, সে চামড়া এ বছর ৩শ’ থেকে ৫শ’ টাকা কিনেছি। কাঁচা হিসেবে বিক্রি হবে সরকারি নির্ধারিত মূল্য প্রতি ফুট ২৫ টাকা।

সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের বাসিন্দা শাহ্ আলম খান বলেন, এ বছর কোরবানির গরু কিনেছেন লাখ টাকা দিয়ে। চামড়া বিক্রি করেছেন মাত্র ৫শ’ টাকা। ২৫ টাকা দরে ৩২ ফুট চামড়ার দাম হয় ৮শ’ টাকা। ৮শ’ টাকা দাম চাওয়া হলে ব্যবসায়ীরা চলে যায়। পরে বাধ্য হয়ে কম মূল্যে বিক্রি করতে হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁদপুর শহর ও আশপাশের এলাকার চামড়া কিনেন শহরের পালবাজারের বড় আড়তদার আকর গাজী, এমদাদ পাটওয়ারী, মো. নজরুল ইসলাম, বাচ্চু হাজী ও জসিম গাজী।

এছাড়াও শহরের পুরাণ বাজার বড় আড়তদার হচ্ছেন মো. শাহাদাত হোসেন। এসব আড়তদাররা মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ঈদের দিন প্রায় ১০ হাজার গরুর চামড়া সংগ্রহ করেছেন।

রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের পালবাজারের চামড়া ব্যবসায়ী আকবর গাজীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়। তিনি বলেন, লবনের দাম ২৮ টাকা, কাঁচা চামড়া প্রতি ফুট ২৫ টাকা। সরকারি নির্ধারিত পাকা চামড়া মূল্য ৪০ টাকা। আমাদেরতো লোকসান ছাড়া কোনো গতি দেখছি না। বহু বছর এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, তাই ছাড়তেও পারছি না।

একই বাজারের আরেক ব্যবসায়ী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বড় চামড়া লবন দিয়ে সংরক্ষণ করতে কমপক্ষে ১০ কেজি লবন প্রয়োজন হয়। ৫০ কেজি ওজনের লোকাল লবনের দাম ১৪শ’ টাকা বস্তা। চামড়া সংরক্ষণ ও বিক্রিতে সরকারি নিয়মনীতি বাস্তবমুখী না হলে আমাদের লোকসান দেয়া ছাড়া আর কোনো গতি থাকবে না।

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
: আপডেট, বাংলাদেশ ০৮ : ০৫ পিএম, ৩ সেপ্টম্বর ২০১৭, রোববার
এইউ

Leave a Reply