Home / চাঁদপুর / নিষেধাজ্ঞা শেষে আবার সরব হয়ে উঠেছে চাঁদপুর ইলিশ বাজার
ilish-pocha
ছবিটি চাঁদপুর মাছঘাট থেকে তোলা : পুরোনো ছবি- চাঁদপুর টাইমস

নিষেধাজ্ঞা শেষে আবার সরব হয়ে উঠেছে চাঁদপুর ইলিশ বাজার

মা ইলিশ রক্ষার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে আবারো সরব হয়ে উঠেছে চাঁদপুরের পদ্ম-মেঘনার প্রায় একশ’ কিলোমিটার নদী এলাকা। শুধু তাই নয় অভয়াশ্রমের এ নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় নদী তীরবর্তী মাছের পাইকারি আড়ত ও হাট-বাজারগুলো আবারো কর্মমূখর হয়ে উঠেছে।

রোববার (২২ অক্টোবর) রাত ১২টার পর থেকে এ নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও মুলত পরদিন ২৩ তারিখ সোবমার থেকে এসকল আড়ত, হাট-বাজারগুলো ক্রেতা-বিক্রেতাদের আনাগোনায় আবারো মুখর হয়ে উঠে।

এাছাড়া শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লাতেও অতিরিত্র ভ্রাম্যমান মাছ বিক্রেতাদের দেখা পাওয়া যায়। তবে সরেজমিনে দেখা যায় এসব পাইকারি আড়ত, হাট-বাজার এবয় পাড়া-মহল্লায় বিক্রি হওয়া বেশিরভাগ ইলিশ ফ্রিজিং করা অথাৎ বরফ দেয়া। দীর্ঘসময় বরফ দেয়ায় অনেকটা লাল হয়ে যাওয়া এবং নরম হয়ে যাওয়া এসব ইলিশগুলো নিষিদ্ধ সময়ে নিধনকৃত বলে বেশিরভাগ ক্রেতারা জানায়।
ilish-meghna

জানা যায়, মা ইলিশ রক্ষায় সরকারের ২২ দিনের অভয়াশ্রম চলাকালিন সময়ে পদ্মা-মেঘনা নদীত ইলিশসহ সকল প্রকার মাছ নিধন, বিক্রয়-বিপনন ও বাজারজাতসহ মজুদ সম্পূর্ণ নিষেধ ছিলো। সরকারের চাঁদপুরে সরকারি তালিকাভূক্ত ৫২ হাজার জেলেদের সিংহভাগ সরকারের এই নিদের্শ মানলেও অসাধু জেলে, আড়তদার ও দানদারদের একটা অংশ বরাবরের মতোই এবারও তা অমান্য করেছে। সারা প্রশাসনের নিদের্শকে অনেকটা বৃদ্ধাঙুলী দেখিয়ে রাত ও দিনে প্রায় প্রকাশ্যেই মা ইলিশ নিধন করেছে। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের কিছু কিছু ইউনিট এসব জেলেদের সহায়তা করার অভিযোগও পাওয়া গেছে।

একটি সূত্র থেকে জানা যায়, এবারও মেঘনার পশ্চিম এলাকার চরাঞ্চলে ইলিশ অবাদে নিধন হয়েছে। অপরদিকে চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার রনাগোয়াল, দোকানঘর , বহরিয়া ও হানারচর এলাকায় সারা রাত ধরে ইলিশ বিক্রি হয়েছে।

জেলা ট্রাক্সফোর্স সূত্রে জানা যায়, অভয়াশ্রম চলাকালে মাছ ধরার সময় ৯০ জেলেকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেয়া হয়েছে। তাছাড়া আটক ৩২ জনের কাছ থেকে ১লাখ ১৫ হাজার ৫শ’ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এদিকে ২৩ অক্টোবর চাঁদপুর জেলা মো. আব্দুস সবুর মন্ডল একটি সভায় তার বক্তব্যে আভয়াশ্রম সম্পর্কে বলেন, সরকারের তালিকা অনুযায়ী বর্তমানে চাঁদপুরে ৫২ হাজার জেলে রয়েছে। চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনার আভয়াশ্রম এলাকা প্রায় ১শ’ কিলোমিটার। আমাদের যে পরিমানে জনবল তাতে এতো বড় নদী এলাকা পাহারা দেয়ার মতো ম্যাজিষ্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলাকর্মী নেই। তাছাড়া এবছর রোহিঙ্গা সমস্যায় কাজ করতে আমাদের নৌ-পুলিশ ও কোস্ট গার্ডের একটা অংশ চট্রগ্রামে রয়েছে। এরপরেও আমাদের অভিযান থেমে থাকেনি। আমি নিজেও ১০/১২ দিন নদী পাহারায় ছিলাম।

তিনি আরো বলেন, চাঁদপুরবাসী সহযোগিতা করেছে বলেই এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে আমরা এতটা সফল হতে পেরেছি। এজন্য আমি আইনশৃঙ্খলা বাহীনি, চাঁদপুরের জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও সুশিল সমাজসহ সর্বস্তরের মানুষকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

আশিক বিন রহিম

নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ ১:০৩ পিএম, ২৪ অক্টোবর, ২০১৭ মঙ্গলবার
ডিএইচ

Leave a Reply