কচুয়া

শিশু শিক্ষায় আলো ছড়াচ্ছে ‘সানরাইজ কিন্ডার গার্টেন’

চাঁদপুরের কচুয়া পৌরসভার প্রানকেন্দ্রে শিশু শিক্ষার এক অন্যান্য নাম সানরাইজ কিন্ডার গার্টেন। ১৯৯৮ সালে তৎকালীন সময়ে বেশকিছু শিক্ষানুরাগী ব্যক্তির প্রচেষ্টায় শিশু শিক্ষার আলো ছড়াতে কচুয়া পৌরসভায় প্রথম কিন্ডার গার্টেন হিসেবে এটি প্রতিষ্ঠা করেন। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠালগ্নে থেকেই প্রাথমিক সমাপনীতে শতভাগ ফলাফল অর্জন,কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশনে বৃত্তি ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখেছে।

বর্তমানে এ বিদ্যালয়ে প্রায় ২ শতাধিক শিক্ষার্থী ও প্রধান শিক্ষকসহ ১০ জনের একঝাক তরুন মেধাবী শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়ে বিদ্যালয়টি শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। স্থানীয় অভিভাবকরা জানান, পৌর সদরের প্রানকেন্দ্রে ও মনোরম পরিবেশে অবস্থিত হওয়ায় সঠিক শিক্ষা, বিনোদন ব্যবস্থা, সরকারী-বেসরকারী অনুষ্ঠান পালন ও সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকায় বিদ্যালয়টি সবার কাছে অন্যরকম প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সহ-সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইঞ্জি:মোতাহের হোসেন প্রধান দুলাল ও সহ-সভাপতি ইঞ্জি: মুজিবুর রহমান জানান, বিদ্যালয়টি ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে নয়। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রকৃত শিক্ষা বিস্তারের জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বর্তমানে বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়সহ দেশের নামি-দামী প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত রয়েছে। পাশাপাশি এ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ন পদেও দায়িত্ব পালন করছেন।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান,পরিচালনা পর্ষদ,অভিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলী,অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের যৌথ প্রচেষ্টায় বিদ্যালয়টি শতভাগ উত্তীর্ণসহ সুনাম ধরে রেখেছে। বিদ্যালয়টি পূর্বের ফলাফল ও শিক্ষার মান ধরে রাখতে শিক্ষকদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি ২০১৯ সালে এ বিদ্যালয় থেকে ১৭ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করে শতভাগ পাশসহ ৬ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি লাভ করে।

বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হচ্ছে: ট্যালেন্টপুলে শামীম ওয়াজেদ,ফারীন তাসনীম,পূজা রানী ও সাধারন গ্রেডে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হচ্ছে: আদিত্য ভৌমিক দ্রুব, মো: মাহিন ও নুসরাত জাহান মমী। এছাড়া চলতি বছরের ১৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৯ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ অর্জন ও ৭ জন শিক্ষার্থী কচুয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে মেধা তালিকায় ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।

বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আমাতুন নূর রহমান জানান, সুশিক্ষা ও নৈতিক শিক্ষা পাঠদানের মাধ্যমে বিদ্যালয়টি এগিয়ে চলছে। বিদ্যালয়ের ফলাফল অব্যাহত রাখতে সকলের সহযোগিতা চাই।

অভিভাবক মো: জসিম উদ্দিন জানান, আমার দুই সন্তান এ বিদ্যালয়ে পাঠদান করছে।শিক্ষকদের পাঠদানে আন্তরিকতা ও বিগত দিনে ভালো ফলাফল অর্জন হওয়ায় বিদ্যালয়টি দিনদিন স্থানীয় মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

জিসান আহমেদ নান্নু,৪ মার্চ ২০২০

Share