Home / সারাদেশ / যত্রতত্র আবাসন ও কারখানা নির্মাণ রোধে আইন হচ্ছে
যত্রতত্র আবাসন ও কারখানা নির্মাণ রোধে আইন হচ্ছে

যত্রতত্র আবাসন ও কারখানা নির্মাণ রোধে আইন হচ্ছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট :

ভূমির ব্যবহার নিয়ে শহরাঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু গ্রামাঞ্চলে এর ছিটেফোঁটাও নেই। তাই গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষা ও পরিকল্পিত আবাসনের জন্য ‘ভিলেজ ইম্প্রুভমেন্ট এ্যাক্ট’ করতে যাচ্ছে সরকার।

মূল্যবান কৃষিজমি ভরাট করে গ্রাম সম্প্রসারণ, যত্রতত্র বাজার সম্প্রসারণ, সরকারের অনুমোদিত শিল্পনগরী খালি রেখে বসতভিটার নিকটবর্তী স্থানে কলকারখানা গড়ে তোলা হচ্ছে। এতে নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান ফসলী জমি। এ পরিস্থিতি রোধেই ভিলেজ ইম্প্রুভমেন্ট এ্যাক্ট (আইন) করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র দ্য রিপোর্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

জানা গেছে, জাতীয় ভূমি ব্যবহার কমিটির প্রথম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শিগগিরই এটি আইন আকারে উপস্থাপন করা হবে।
এ ছাড়াও সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাসমূহে ভূমির ভিন্ন ভিন্ন ব্যবহারের উদ্দেশ্যে একটি জোনিং ম্যাপ (আঞ্চলিক মানচিত্র) করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওই বৈঠকে। এ ম্যাপের মূল উদ্দেশ্য হবে সংশ্লিষ্ট এলাকায় আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্প এলাকা চিহ্নিত করা। সামগ্রিক নগর জীবনে একটি সুবিন্যস্ত আঙ্গিক দেওয়ার চেষ্টা এই মানচিত্রের মাধ্যমে করা হবে। এই জোনিং ম্যাপ প্রণয়নে একাধিক উপজেলা সস্পৃক্ত হলে জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে তার কাজ শেষ করতে হবে। আর উপজেলা পরিষদের আওতাধীন এলাকায় অবস্থিত গ্রামের এলাকা মানচিত্র (জোনিং ম্যাপ) ভবিষ্যতে প্রসারের সুবিধার্থে করা হবে। এর তত্ত্বাবধান করবে উপজেলা পরিষদ।

বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, জাতীয় পর্যায়ে একটি ‘জোনিং ল’ করা হবে, যার অধীনে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহ নিজ নিজ এলাকায় জোনিং ম্যাপ প্রণয়নের কাজটি করবে। এ জোনিং ম্যাপ প্রণীত ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পাওয়ার পর তা আর পরিবর্তন করা যাবে না। একান্তভাবে তা পরিবর্তনের দরকার হলে সে জন্য কঠিন শর্ত পরিপালনের বিধান ওই ‘জোনিং ল’-তে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এ ম্যাপ প্রণয়নের জন্য প্রয়োজনে জেলা প্রশাসকের রাজস্ব অফিসের সহায়তা নেওয়ার কথাও বলা হয় ওই বৈঠকে।
জাতীয় ভূমি ব্যবহার কমিটির ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ। তিনি পদাধিকারবলে এই কমিটির সদস্য ছিলেন।

কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ জানান, ওই সভায় ভূমি মন্ত্রণালয়কে এ ভিলেজ ইম্প্রুভমেন্ট এ্যাক্ট প্রণয়ন করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। ভূমি মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কাজ শুরুও করেছে।

ভিলেজ ইম্প্রুভমেন্ট এ্যাক্ট প্রণয়নের কাজ কোন পর্যায়ে আছে সে বিষয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এ টি এম আজহারুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাছে চিঠি দিয়েছি। তারাও কাজ শুরু করেছে। আশা করি, শিগগিরই একটি খসড়া উপস্থাপন করা সম্ভব হবে।’

আপডেট:   বাংলাদেশ সময়  ১২:০৫ পূর্বাহ্ন, ২১ জুন ২০১৫, রোববার

চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/ এমআরআর/২০১৫

চাঁদপুর টাইমস ডট কম-এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না