Home / উপজেলা সংবাদ / কচুয়া / মসজিদে তালা মাঠে জুমআ’র নামাজ আদায়
চাঁদপুরে কচুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী, চাঁদপুরে কচুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী

মসজিদে তালা মাঠে জুমআ’র নামাজ আদায়

চাঁদপুরে কচুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী এনায়েতপুর দরবার শরীফের খানেকা মসজিদে তালা ঝুলিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। দরবার শরীফের পীর সাহেব শাহ মো: গোলাম গাউছ আল কাদেরীর দু’ছোট ভাই মাওলানা মো: নুরুজ্জামান ও গোলাম মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। তবে খানেকা মসজিদের গেইটে তালা ঝুলিয়ে দেয়ার কথা অস্বীকার করেছেন তারা।

দরবার শরীফের বর্তমান পীর শাহ মো: গোলাম গাউছ আল কাদেরী জানান, আমার প্রয়াত বাবা গাউছে জামান হযরত মাওলানা শাহ আব্দুল গফুর আল কাদেরী (র:) এই দরবার শরীফ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ভারতের কাছাউছা দরবার শরীফ ও কুমিল্লার শাহপুর দরবার শরীফের খলিফা ছিলেন। পরবর্তীতে আমার বাবার মৃত্যুর পর থেকে আমি এ দরবার শরীফের দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করে আসছি। বর্তমানে এ বছর এনায়েতপুর দরবার শরীফে ৬৯তম বাৎসরিক মাহফিল শান্তিপূর্ন ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আমার অপর দু’ভাই মাওলানা মো:নুরুজ্জামান ও গোলাম মহিউদ্দিন হঠাৎ ১১ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার মাসিক ওয়াজ মাহফিল আয়োজন করে।

এতে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) প্রসঙ্গ বাদ দিয়ে ঈদে মাজিউন্নবী (সা:) মাইকে আলোচনা করলে এ প্রসঙ্গ বারন করি। পরবর্তীতে শুক্রবার সকালে আমাদের অনুপস্থিতিতে গোপনে খানেকা শরীফে তারা তালা ঝুলিয়ে দেয়। এর ফলে মুসল্লি ও হেফজ খানার ছাত্রদের নিয়ে বাইরে প্রখর রৌদ্রে জুমআ’র নামাজ আদায় করি এবং বিকালে শুনতে পেয়েছি তারা আমাদের বিরুদ্ধে উল্টো কচুয়া থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে আমার সম্মান ক্ষুন্ন করে।

এনায়েতপুর দরবার শরীফের পীর সাহেব শাহ মো: গোলাম গাউছ আল কাদেরীর মেজো ছেলে ও মেঘদাইর তাহেরীয়া ফাজিল মাদ্রাসার প্রভাষক গোলাম নেওয়াজ বলেন, চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল আমাদের দরবার শরীফের পশ্চিম পাশে খানেকায়ে আমার বাবা ও চাচারা মিলে জুমআ’র নামাজ আদায়ের জন্য আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেন। কিন্তু আমার দুই চাচা প্রথম সপ্তাহ এসে পরবর্তীতে এসে কী কারনে তারা মসজিদে আসা বন্ধ করে দেন। এর পর আমাদের দরবারের বিরুদ্ধে ফেসবুকসহ নানান ভাবে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।

অন্যদিকে এনায়েতপুর দরবার শরীফের খানেকা শরীফের মসজিদে তালা ঝুলিয়ে দেয়ার ঘটনায় দরবার শরীফের ভক্ত মুরীদিন ও স্থানীয় এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী ওই তালা দ্রুত খুলে দিয়ে পূর্বের ন্যায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার দাবি জানান।

এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যায় গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে উভয় পক্ষকে নিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করে দেন।

কচুয়া থানার এএসআই মো: নাজমুল ইসলাম জানান, এনায়েতপুর দরবার শরীফের পীর সাহেবের ছোট ভাই গোলাম মহিউদ্দিন বাদী হয়ে তাকে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ এনে থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। তবে পরবর্তীতে ওনারা বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করে এজাহার তুলে নেন।

এ ব্যাপারে মাওলানা নুরুজ্জামান জানান, খানেকা এ মসজিদে আমরা কেউ তালা দেইনি। কে বা কাহারা দিয়েছে তা আমাদের জানা নেই।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার আশুরা উপলক্ষ্যে আমরা শোহাদায়ে কারবালার মাহফিল করতে গেলে আমার ভাই ও ভাতিজা মাহফিল করতে বাধা দেয়।

এ ঘটনায় আমার ছোট ভাই গোলাম মহিউদ্দিন জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে কচুয়া থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছেন এবং পরে ভূলবুঝাবুঝির অবশান হলে তা উঠিয়ে নিয়েছি।

প্রতিবেদক:জিসান আহমেদ নান্নু,১৪ সেপেটম্বর ২০২০