Home / উপজেলা সংবাদ / মতলব দক্ষিণে পাটাপুতার ভন্ড কবিরাজ অজুফা বেগমের কুর্কীতি ফাঁস
মতলব দক্ষিণে পাটাপুতার ভন্ড কবিরাজ অজুফা বেগমের কুর্কীতি ফাঁস

মতলব দক্ষিণে পাটাপুতার ভন্ড কবিরাজ অজুফা বেগমের কুর্কীতি ফাঁস

‎Monday, ‎06 ‎April, ‎2015 10:24:00 PM

সাইফুল ইসলাম রনি :

চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলার ৪ নং নারায়ণপুর ইউনিয়নর ঘিলাতলী প্রধানিয়া বাড়ির আইয়ুব আলী প্রধানিয়ার স্ত্রী অজুফা বেগমের স্বপ্নে পাওয়া এক ভন্ড কবিরাজির কান্ডকীর্তির গোমর ফাঁস হয়েছে। অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে দীর্ঘদিন ধরে চলা তার ভন্ডামীর খবর।

প্রায় দুই বছর ওই ভন্ড মহিলা কবিরাজ সাধারণ মানুষের টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকারসহ যে কোনো মালামাল হারিয়ে গেলে কিংবা চুরি হলে তিনি মালামালের সন্ধান বলে দিতে পারেন এমন আশ্বাসে সাধারণ মানুষজনকে ধোঁকা দিয়ে চালিয়ে আসছিলেন ভন্ডামী ব্যবসা।

ভন্ড এ কবিরাজ অজুফা বেগমের কাছে তাই প্রতিদিনই আসে শতশত মানুষ। তবে কবিরাজের কাছে আগত লোকজনের কোন উপকার না হলেও সংঘর্ষ আর বিবাদের ঘটনা ঘটেছে শতাধিক।

সরেজমিনে গেলে দেখা গেছে, বেতের তৈরি কুলার উপরে ধান ও দুর্বা রেখে তার উপর পুতা রেখে পশ্চিমমুখী হয়ে অজুফা বেগম বসে পড়েন ধ্যানে। তারপর যার মালামাল চুরি বা হারিয়ে গিয়েছে তাকে সন্দেহজনক ব্যক্তির নাম বলতে বলেন। যদি সন্দেহজনক ব্যক্তিটি চুরি বা হারিয়ে যাওয়া মালামাল নিয়ে থাকেন তা হলে তার নাম বলার সাথে সাথেই পুতা ঘুরতে থাকে। এভাবেই চলছে সেই অজিফা বেগমের পুতা চালানোর কবিরাজি।

যেভাবে ঘটনার সূত্রপাত, গত ২ এপ্রিল মতলব দক্ষিণ উপজেলার পশ্চিম নাগদা গ্রামের হাজী বাড়ির শাহজানের একটি ছাগল চুরি হয়ে যায়। পরদিন শুক্রবার হারিয়ে যাওয়া ছাগলের সন্ধানের জন্য দ্বারস্থ হন কবিরাজ অজুফা বেগমের কাছে। কবিরাজ অজুফা তার কাছে সন্দেহজনক ব্যক্তির নাম জানতে চাইলে একে একে ত্রিশজনের নাম বলার পরও সেই অলৌকিক পুতা ঘুরে না।

এ সময় কবিরাজ শাহজানকে বলে আরো নাম বলতে। বিরক্ত হয়ে শাহজাহান তারই আপন ভাই শহিদ মিয়াজীর ছেলে মুরাদের নাম বলে। তখনই পুতা ঘুরে যায়। এতে শাহজানের কাছে সন্দেহ হয়। কারণ তার ভাতিজা কখনো এই কাজ করতে পারে না।

পরিচয় গোপন করে এ প্রতিনিধি ওই ভন্ড কবিরাজের ঘিলাতলী বাড়িতে যায়। বিয়ের বাড়ি থেকে নববধূর একটি স্বর্ণের চেইন হারিয়ে গেছে এমন মিথ্যা বিষয়কে তার কাছে উপস্থাপন করা হয়।

তখন তিনি সেই পুরোনো কায়দায় কৌশলে পুতা ঘুরিয়ে বলেন, স্বর্ণের চেইনটি বাড়িতে আসা মেহমানদের কাছেই আছে। আপনারা চাইলেই বাড়ির সেই মেহমানদের কাছেই চেইনটি পাবেন। তবে সে সময় কে চুরি করেছে তার নাম জানতে চাইলে তিনি নাম বলতে রাজি হননি।

সাধারণ মানুষ জানায়, ভন্ড এ মহিলা কবিরাজ দীর্ঘদিন ধরেই এ অঞ্চলে তার ভন্ডামী চালিয়ে আসছে আর লোকজনকে ধোঁকা দিচ্ছে।

– ফাইল ছবি।

চাঁদপুর টাইমস : এমআরআর/এসআইআর/২০১৫