Home / উপজেলা সংবাদ / মতলব দক্ষিণ / ইউপি সদস্যের হামলায় নারী গ্রাম পুলিশ ও ঠিকাদার আহত

ইউপি সদস্যের হামলায় নারী গ্রাম পুলিশ ও ঠিকাদার আহত

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার উপাদী উত্তর ইউনিয়নের আঁচলচিলা গ্রামে রাস্তার নির্মাণ কাজ করার সময় চাঁদা চাওয়ার প্রতিবাদ করায় ইউপি সদস্যের হাতে হামলার শিকার হয়েছেন গ্রাম পুলিশ ও এক সহকারী ঠিকাদা।

আহতরা হচ্ছেন নারী গ্রাম পুলিশ পারুল বেগম (৩৭) ও মামুন (৫০) নামের এক সহকারী ঠিকাদার।

তারা দু’জন গুরুতর আহত হয়ে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে এবং কুমিল্লা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।

আহত পারুল বেগম আঁচলচিলা গ্রামের শাহ আলম খলিফার স্ত্রী। তিনি ওই ইউনিয়নে গ্রাম পুলিশের দায়িত্বে আছেন।

হাসপাতালের বেডে আহত পারুল বেগম প্রতিবেদককে জানান, ‘গত ৩০ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে দেলদিয়া ব্রীজের কাছে টিউনো অফিসে হাজিরা দিতে যাওয়ার পথে তাদের ওপর এ অর্তকিত হামলা চালানো হয়।’

তিনি বলেন, ‘ঘটনার আগেরদিন আমাদের গ্রামে মতলব থেকে কচুয়া যাওয়ার একটি রাস্তার নির্মাণ কাজ করতে গেলে উপাদী উত্তর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ ইউসুফ হাজরা সহকারী ঠিকাদার মামুনের কাছে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে বিভিন্ন মালামাল ছুঁড়ে ফেলে দেন। টাকা না দেয়া হলে কোন কাজ করতে দেয়া হবেনা বলে তিনি রাগারাগি করতে থাকেন। তখন আমি তাকে চাঁদার বিষয়ে প্রধান ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগের কথা বলি। ’

‘তারই সূত্র ধরে বুধবার দুপুরে আমি এবং কাজ কন্টাক নেয়া লেভার ঠিকাদার মামুনসহ ইউএনও অফিসে যাওয়ার পথে মেম্বার ইউসুফ হাজরা তার ভাই ইয়াসিন হাজরা, এবং তার সহপাঠী কাশিম, আনিছ, সোহাগসহ আরো ক’জন মিলে আমাদেরকে পথ প্রতিরোধ করে সিএনজি স্কুটার থামিয়ে লাঠিসোঠা দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকেন। তাদের আঘাতে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।’

এদিকে পারুল বেগম গুরুতর আহত হলে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে প্রথমে মতলব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স্রে নিলে পরের দিন অবস্থার অবনতি দেখে চাঁদপুরে প্রেরণ করা হয়।

এ বিষয়ে ঠিকাদার মামুন বলেন, ‘ইউসুফ মেম্বারকে চাঁদা দিতে না পারায় তিনি দলবল নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে আমার পায়ের রগ কেটে দিয়েছেন। আমি এখন চিকিৎসার জন্য কুমিল্লায় আছি।’

এছাড়াও ওই এলাকার একাধিক ব্যাক্তি জানান অভিযুক্ত ইউসুফ মেম্বার পূর্ব থেকেই খারাপ প্রকৃতির লোক। তিনি সবসময় এলাকার বখাটে যুবকদের নিয়ে মাদকসহ বিভিন্ন জনের কাছে চাঁদাবাজি করে বেড়ায়।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ইউসুফ হাজরার মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদ উল্ল্যাহ প্রধানীয়ার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ‘একজন ইউপি সদস্য একজন নারী গ্রাম পুশিরে ওপর হামলা চালিয়েছে তা অত্যন্ত লজ্জাজনক ও দুঃখজনক। দু’জনকে মেরে আহতের কথা শুনেছি এবং হাসপাতাল নিয়েছে তা দেখেছি। তবে অভিযুক্ত মেম্বার চাঁদা চেয়েছে কিনা তা আমি বলতে পারবো না।’

এ বিষয়ে একটি সুষ্ঠ সমাধান হওয়া উচিত বলে মনে করেন এ ইউপি চেয়ারম্যান।

: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৮:৫০ পিএম, ৩ ডিসেম্বর ২০১৬, শনিবার
ডিএইচ

Leave a Reply