বিয়ে করে স্বামীর সাথেই প্রেম করছি : পিয়া জান্নাতুল

মডেল অভিনেত্রী পিয়া জান্নাতুল। বাংলাদেশের কুয়েত খ্যাত খুলনা শহরে জন্ম ও বেড়ে ওঠা তার। বড় হয়ে শোবিজে কাজ করতে এসে পেয়েছেন ২০০৭ সালে মিস বাংলাদেশ খেতাব। পরবর্তীতে একজন মডেল এবং অভিনেত্রী হিসেবে পেয়েছেন জনপ্রিয়তা।

রূপালি পর্দাতেও তার অভিষেক হয়েছে চোরাবালি ছবির মাধ্যমে। তারপর স্টোরি অব সামারা ছবিতেও তিনি প্রশংসিত হয়েছেন অভিনয়ের জন্য। বর্তমানে রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছেন আইন বিষয়ে।

বিনোদন বিভাগের সাথে সম্প্রতি এক আড্ডায় এই তারকা জানালেন তার জীবনের ‌‌‘প্রথম’ অনেক কিছুর খবর। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক-

প্রথম স্কুল
আমার জীবনের প্রথম স্কুল খুলনা সানফ্লাওয়ার একাডেমি। যতটুকু মনে পড়ে আমার তখন বয়স পাচ কিবা ছয় হবে। আম্মা আমাকে স্কুলে নিয়ে যেতেন এবং নিয়ে আসতেন। শৈশবের সেইদিন গুলোকে খুব মিস করি।

প্রথম শিক্ষক
আমার প্রথম শিক্ষকের নাম আফসার স্যার। পরিবারের পাশাপাশি আফসার স্যার আমাকে হাতে ধরে লেখা শিখিয়েছেন। তিনি সব সময় লেখাপড়ার ব্যাপারে নির্দেশনা দিতেন এবং কিভাবে পরীক্ষায় ভালো ফলাফলা করা সম্ভব সেটাও বুঝিয়ে দিতেন। আফসার স্যারকে আজও বড্ড মিস করি! আমি আরো যতদূরেই যাই, যতো বড়ই হই না কেন, স্যারের মুখ-হাসি আর শিক্ষা কোনোদিন ভুলে যাবো না। আসলে পারব না। স্যারের জন্য অনেক শ্রদ্ধা রইল।

বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম দিন
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে প্রথম যে দিন ক্লাসে এটেন্ড করি তখন মনে হচ্ছিলো, হায়! এত্তো পড়ালেখা কিভাবে সামলাবো? প্রথমদিকে হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম আর মনে মনে বলতাম- নাহ,‌ আমার দ্বারা এতো জটিল আর কঠিন বিষয়ে পড়ালেখা হবে না! (হাসি দিয়ে বললেন) তারপর আস্তে আস্তে হতাশার অমানিশা কাটিয়ে উঠি। এখন আমার আইন বিষয়ে স্নাতক প্রায় শেষ। ইচ্ছে আছে আরো অনেক দূর যাবো।

প্রথম বিলবোর্ড
সময়টা তখন ২০০৮ সালের শেষ ২০০৯ এর প্রথম। ফ্যাশন হাউজ ‘ক্যাটস আই’- এর মডেল হয়েছিলাম। তখনই আমার প্রথম ছবি বিলবোর্ডে যায়। দেশের অনেক বিভাগীয় শহর জুড়েই ‘ক্যাটস আই’- এর তখনটার ছবিগুলো বিলবোর্ডে শোভা পায়। ব্যাপারটা নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত ছিলাম। চেনা মানুষরা নানাভাবে উৎসাহি দিচ্ছিলো।

প্রথম অভিনয়
রেদোয়ান রনি পরিচালিত ‘চোরাবালি’ ছবিতেই প্রথম অভিনয় করি আমি। এখানে অভিনয়ের কারণে কাছের-দূরের সবার নিকট থেকে বেশ প্রশংসা পাই। অবশেষে ভালো অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘মেরিল-প্রথম আলো ২০১২’ পুরস্কারের শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী সমালোচক পুরস্কারের মনোনয়নও পেয়ে যাই। নিঃসন্দেহে আমি ভাগ্যবান। ক্যারিয়ারের শুরুতেই বড় পর্দায় এমন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয়ের ‍সুযোগ পেয়েছিলাম। রনি ভাইকে সেজন্য অনেক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

প্রথম পারিশ্রমিক
ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে এবি ফ্যাশানের একটি ফটোশুটে কাজ করি। এ জন্য পারিশ্রমিক হিসেবে পাঁচ হাজার টাকা পেয়েছিলাম। টাকাটা হাতে পাওয়ার পর কি যে খুশি লাগছিলো সেটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। কারণ নিজের প্রথম রোজগার বলে কথা! নিজেকে আত্মবিশ্বাসী লাগছিলো খুব। ওই পারিশ্রমিক হাতে পাওয়ার আনন্দ বা অনুভূতির কথা জীবনেও ভুলতে পারবো না।

প্রথম প্রেম
আমি জীবনে দু’টো প্রেম করেছি। প্রথম প্রেম করি তখন সম্ভবত অষ্টম কিংবা নবম শ্রেণীতে পড়ি। তবে বাল্যকালের প্রেমতো সেজন্য হয়তো বেশিদিন টেকেনি। আর পরবর্তীতে তো বিয়ে করে স্বামীর সাথেই প্রেম করছি। হাহাহা…

প্রথম বিয়ের প্রস্তাব
তখন আমি খুলনা থাকতাম। আমার এসএসসি পরীক্ষার আগে প্রথম বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব আসে। শুনেছিলাম ছেলে নাকি আমেরিকা থাকে। কিন্তু পরিবার থেকে সোজাসুজি না করে দেওয়া হয়। তাছাড়া এরপর কতো যে বিয়ের প্রস্তাব এসেছে তার কোনো ইয়ত্তা নেই।

চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ০৪:৪০ এএম,২০ অক্টোবর ২০১৫,মঙ্গলবার

 এমআরআর

Share