বাংলা সিনেমার যে উপকার করেছেন অশ্লীল নায়িকা রত্না

বিনোদন ডেস্ক:

‘পাইরেসি’ ঢাকাই চলচ্চিত্রের ‘দুষ্ট ক্ষত’ হিসেবে চিহ্নিত। এখনো অনায়েসেই চলচ্চিত্র নির্মাণের পরেই তা পাইরেসি হয়ে যায়। মাথায় হাত পরে প্রযোজকদের। এর খপ্পরে পড়তে হয়েছে অনেক বাঘা-বাঘা প্রযোজককে। মুক্তির কয়েক দিনের মাথায় সেরা তারকাদের প্রযোজিত সিনেমাও পাইরেসির কবলে পড়েছে। তবে অবাক করা খবর হলো- চিত্রনায়িকা রত্না প্রযোজিত সিনেমা সে দিন বৃষ্টি ছিলো মুক্তির প্রায় এক বছর পার হলেও এখনো সিনেমাটি পাইরেসির খপ্পরে পরেনি।

কি কারণে সিনেমাটি পাইরেসি হওয়া ছাড়াই দেশের বিভিন্ন হলে প্রদর্শিত হচ্ছে তা অনুসন্ধানে নামে বিনোদন বিভাগ। এ অনুসন্ধান থেকে জানা গেছে, চিত্রনায়িকা রত্না প্রযোজক হিসেবে বেশ মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন। শক্ত হাতে তার সিনেমাটি পাইরেটরদের হাত থেকে এখনো রক্ষা করে চলেছেন। মূলত সে জন্যই সিনেমা পাইরেটর চক্রের কাছে তাকে হার মানতে হয়নি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সিনেমা পাড়া খ্যাত কাকরাইলের প্রযোজকদের কাছে রত্ন কাকরাইলের ‘গড মাদার’ হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছেন। রত্নার দৃঢ়তার কারণেই অসাধু চক্র তার ছবির প্রিন্ট নকল করার সাহস পায় না।

গত বছর ঈদুল ফিতরে মুক্তি পায় শাকিব খান প্রযোজিত প্রথম সিনেমা হিরো : দ্য সুপারস্টার। এ সিনেমাটি মুক্তির দুই দিনের মাথায় পাইরেটেড হয়ে যায়। এর পর চিত্রনায়ক মারুফ প্রযোজিত সিনেমা সর্বনাশা ইয়াবা মুক্তির চার দিনের মাথায় নকল করে একটি অসাধু চক্র। চিত্রনায়ক ফেরদৌস প্রযোজিত এক কাপ চা ছবিটিও মুক্তির মাত্র এক সপ্তাহের মাথায় পাইরেসি হয়ে যায়। তবে রত্না সিনেমাটির এখন পর্যন্ত এই দুষ্ট চক্রের কাছে নতি শিকার করেনি।

এ প্রসঙ্গে রত্না বলেন, ‘আমার এ সিনেমাটি সম্পূর্ণ ডিজিটাল ফরমেটে তৈরি করা। এবং ডিজিটাল ফরমেটেই তা ট্রান্সফারের কাজ করেছি নিজেই। তা ছাড়া ছবিটি মুক্তির পর আমি র‌্যাবেরও সাহায্য নিই। তারাই আমাকে এ বিষয়ে সাহায্য করেছে। সব মিলিয়ে আমার সিনেমাটির আসল কপি এখন পর্যন্ত সিনেমা হলে চলছে।’

ছবি পাড়ার অন্যান্য প্রযোজকরাও রত্নার এই দৃঢ়তাকে সম্মান করেন। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রযোজক বলেন, ‘রত্নার মতো আমরাও যদি সচেতন হই এবং পাইরেসির বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকি তাহলে ছবি নকল হওয়ার হাত থেকে ঢাকাই চলচ্চিত্রকে মুক্ত করা সম্ভব। এতে চলচ্চিত্র শিল্প যেমন উপকৃত হবে তেমনি প্রযোজকরাও লাভের মুখ দেখবেন’।

Share