Home / উপজেলা সংবাদ / ফরিদগঞ্জ / ফরিদগঞ্জে প্রতিবেশীকে ফাঁসাতে বসতঘরে আগুন দেয়ার চেষ্টা
ফরিদগঞ্জে প্রতিবেশীকে ফাঁসাতে বসতঘরে আগুন দেয়ার চেষ্টা

ফরিদগঞ্জে প্রতিবেশীকে ফাঁসাতে বসতঘরে আগুন দেয়ার চেষ্টা

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের ম এক নারী নিজের বসত ঘরে আগুন দিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

চরবসন্ত মনার বাড়ির মৃত. হাবিবুল্লাহর স্ত্রী পেয়ারা বেগমের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, এ পর্যন্ত ওই নারী বাড়ির বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে হয়রানিমূলক ৪টি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু প্রতিটি মামলাই আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়। সর্বশেষ গত কয়েক দিন পূর্বে পেয়ারা বেগম আদালতের মাধ্যমে একই বাড়ির নজরুল ইসলামের সম্পত্তির উপর স্থিতি অবস্থা জারি করেন। দীর্ঘদিন বাড়ির লোকজন এই নারীর মিথ্যা মামলা ও বেআইনী কাজের শিকার হয়ে প্রশাসনের কাছে তার বিচার দাবি করে গণস্বাক্ষর নেয়।

স্থিতি অবস্থা ও গণস্বাক্ষরকে কেন্দ্র করে পেয়ারা বেগম প্রতিপক্ষকে ফঁসাতে মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সকালে বাড়ির লোকজনের অগোচরে নিজের পরিত্যাক্ত চৌচালা ঘরের দরজায় আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ করেন ওই বাড়ির একাধিক বাসিন্দা।

অগ্নিকান্ডের স্থানে গিয়ে দেখা যায়, ঘরের ভিতরে লাকড়ি রাখা আছে। পলিথিন পুড়িয়ে তা দিয়ে ঘরে আগুণ লাগানোর চেষ্টা করা হয়েছে। ঘরের বাইরে বেড়ার পাশে নারিকেলের পাতা থাকলেও তা পুরোই অক্ষত রয়েছে। এছাড়া দরজার কিছু অংশ পুড়ে গেছে।

ওই বাড়ির লোকজন জানান, ঘরে আগুন দেখার পর তিনি আগুন না নিভিয়ে থানা পুলিশকে খুঁজতে গেলেন কেন? তিনি কেন বাড়ির লোকজনকে আগুন নেভাতে ডাকলেন না?

এসর্ম্পকে গ্রাম পুলিশ লুৎফর রহমান বলেন, ‘আগুন লাগার পর আমাকে যখন ডেকে আনে তখন সকাল ৯টা। আমি আসার পর পেয়ারা বেগম নিজেই আগুন নিভিয়ে ফেলে। ’

এসর্ম্পকে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো: ইসমাইল হোসেন সোহেল বলেন, ‘ওই নারী মিথ্যা মামলা ও ঝগড়া সৃষ্টি করে পুরো বাড়িতে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে রেখেছে। তার দায়ের করা মিথ্যা মামলায় অনেকেই হয়রানির শিকার হয়েছে। গত কয়েক দিন পূর্বে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের মিমাংসার জন্য শালিসের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু নিতি শালিসের আগের দিন আদালতে গিয়ে জায়গার মিথ্যা দাগ নম্বর উল্ল্যেখ করে জায়গার উপর স্থিতি অবস্থা জারি করে।’

এ সর্ম্পকে পেয়ারা বেগম এ প্রতিনিধিকে বলেন, সকাল ৮টার সময় আমি বিল্ডিং থেকে বের হয়ে আগুন দেখতে পাই। আগুন দেখে আমি পৌরসভার চকিদার লুৎফর রহমানকে খবর দেই এবং ফরিদগঞ্জ থানাকে বিষয়টি অবহিত করি। এছাড়া ফরিদগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। তবে তিনি অন্যকে ফাঁসাতে নিজের ঘরে আগুন লাগাননি বলে দাবি করেন।

ফরিদগঞ্জ করেসপন্ডেন্ট
: : আপডেট, বাংলাদেশ ১:২৩ পিএম, ০৩ অক্টোবর, ২০১৭ মঙ্গলবার
ডিএইচ

Leave a Reply