ফরিদগঞ্জ

ফরিদগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে লাশ দাফনে বাঁধা অত:পর…

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে লাশ দাফনে বাঁধা দেওয়ায়, পুলিশের হস্তক্ষেপে লাশ দাফন করা হয়।

২৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকেলে ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের পূর্ব দায়চারা গ্রামের খান বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পরে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন এর হস্তক্ষেপে মৃত ব্যক্তির লাশ দাফন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে পূর্ব দায়চারা গ্রামের খান বাড়ির মোস্তফা কামাল (৬০) মারা যান। এরপর লাশ দাফন করা নিয়ে বিরোধ তৈরি হয় একই বাড়ির নূর মোহাম্মদ গং এসে কবরস্থানের জমিটি তাদের বলে দাবি করেন।

এ বিষয়ে একই বাড়ির আব্দুল লতিফ বিএসসি বলেন, প্রায় ৮০ থেকে ৯০ বছর পূর্বে নূর মোহাম্মদের সঙ্গে এই জায়গাটা আপস বন্ডক কর হয়। ইদানিং সময়ে উনারা তা অশীকার করে আদালতে অভিযোগ করেন এবং আজ সকালে মোস্তফা কামাল মারা গেলে দাফনের প্রস্তুতি কালে নূর মোহাম্মদের ছেলেরা বাঁধা দেয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য টেলু ও খান বাড়ির লোকজন জানান, আব্দুল লতিফ বিএসসি ও নূর মোহাম্মদ উভয় পরিবারের মাঝে দীর্ঘদিন যাবত জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। একাধিক বার সমাধানের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। উক্ত বিষয়ে উভয় পক্ষের আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। আজকে মৃৃত ব্যাক্তির লাশ দাফনে বাাঁধা দেওয়াটা খুবই দুঃখজনক।

ঘটনার বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘লাশ দাফনকে কেন্দ্র করে যেন কোনও সংঘর্ষ না হয় সেজন্য তাৎক্ষণিক ভাবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, স্হানীয় মেম্বার এবং উভয় পক্ষের সম্মতিতে সামাজিক ও মানবিক দিক বিবেচনায় এই কবরস্থানেই তাদের বুঝিয়ে লাশ দাফন করতে দেওয়া হয়েছে।

তবে যেহেতু আদালতে এই সম্পত্তি নিয়ে মামলা চলমান, তাই পরবর্তীতে আদালত থেকে রায় না আসা পর্যন্ত এ কবরস্থানে আর কোনও মৃত ব্যক্তিকে দাফন না করতে এবং আইনশৃঙ্খলা অবনতি হয় এরুপ কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার জন্য উভয়ের কাছ থেকে লিখিত মুচলেকা রাখা হয়েছে ।

প্রতিবেদক:শিমুল হাছান,২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১

Share