Home / জাতীয় / প্রধানমন্ত্রীর আমবাগানে থোকায় থোকায় আম
প্রধানমন্ত্রীর আমবাগানে থোকায় থোকায় আম

প্রধানমন্ত্রীর আমবাগানে থোকায় থোকায় আম

রংপুরের পীরগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমবাগান এখন এলাকার দর্শনীয় স্থান। প্রতিদিনই আশপাশের লোকজন ভিড় করছে সেখানে। পরিবেশবান্ধব আর পুষ্টির চাহিদা মেটাতে মডেল হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে বাগানটি।

উপজেলার উজিরপুরে (শেখ হাসিনার মোড়) প্রধানমন্ত্রীর দেড় একরের বেশি জমিতে আমবাগানটি গড়ে তোলা হয় ২০১৩ সালে। স্থানীয়ভাবে এটি দেখভাল করছেন প্রধানমন্ত্রীর নাতি (প্রধানমন্ত্রীর স্বামী ড. ওয়াজেদ মিয়ার ভাগ্নের ছেলে) শাহিদুল ইসলাম পিন্টু।

পিন্টু জানান, বাগান করার পর গত দুই বছরে কিছু কিছু গাছে আম ধরেছিল। তবে এ বছর প্রতিটি গাছে থোকায় থোকায় আম ধরেছে। বারি আম-৪ ও জনপ্রিয় হাঁড়িভাঙা প্রজাতির আম সমৃদ্ধ এ বাগান স্থাপনে সহায়তা করছে রংপুরের বুড়িরহাট আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র।

সরেজমিনে উজিরপুরে গিয়ে দেখা যায়, বাগানে মোট ১১০টি আম গাছের মধ্যে বারি আম-৪ জাতের ৫৫টি এবং জনপ্রিয় হাঁড়িভাঙা জাতের গাছ রয়েছে ৫৫টি। রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের ধার ঘেঁষে এক সময়ের পতিত জমিতে গড়ে তোলা দৃষ্টিনন্দন এই আমবাগান সহজে নজর কাড়ে সবার।

এ বছর প্রতিটি গাছে থোকায় থোকায় আম ধরেছে। এ দৃশ্য দেখে এলাকার অনেকে আমবাগান করতে উৎসাহী হয়ে উঠেছেন। কয়েকবছর ধরে ধান, আলু, গম, ভূট্টাসহ বিভিন্ন ফসল চাষ করে লোকসান গুণতে হচ্ছে। সে তুলনায় আমের বাগান লাভজনক। তাই দিন দিন বাড়ছে আমবাগানের সংখ্যা।

কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী রংপুরে এবার ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে আমের ফলন হয়েছে। প্রতিবছরই বাড়ছে বাগানের সংখ্যা। মিঠাপুকুর থেকে উৎপত্তি জনপ্রিয় হাঁড়িভাঙা আমের বাগানই রয়েছে তিন হাজার হেক্টরেরও বেশি জমিতে। এর মধ্যে বাগান আকারে রয়েছে এক হাজার হেক্টর। এ ছাড়া বসতবাড়ির প্রায় তিন হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে এই হাঁড়িভাঙা আম। এসব আমবাগান থেকে এবার আম পাওয়া যাবে প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিকটনেরও বেশি। আমকে ঘিরে রংপুরের এমন সুখবরের সঙ্গে বাড়তি চমক হিসেবে যোগ হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর আমবাগান।

শাহিদুল ইসলাম পিন্টু বলেন, ‘২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে ফলে সমৃদ্ধ করতে ফলের চারা রোপণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ওই সময় তিনি পরিবেশবান্ধবসহ পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পীরগঞ্জে তাঁর জমিতে একটি মডেল বাগান করার জন্য আমাকে নির্দেশ দেন।’

পিন্টু বলেন, ‘এরপর বুড়িরহাট আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে যোগাযোগ করে ভালোমানের বারি আম-৪ ও হাঁড়িভাঙা জাতের আমের চারা এনে এক সময়ের পতিত জমিটিতে রোপণ করি। যা এখন একটি পরিপূর্ণ আমবাগানে পরিণত হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে পরামর্শসহ বিভিন্নভাবে সহায়তা দিয়েছে কৃষি গবেষণা কেন্দ্র।’ এ বছর আমের ফলনসহ বাগানের অগ্রগতি জেনে প্রধানমন্ত্রী খুব খুশি হয়েছেন বলেও জানান শাহিদুল ইসলাম পিন্টু।

কালের কণ্ঠ

Leave a Reply