Home / শীর্ষ সংবাদ / প্রচণ্ড গরমে হাজীগঞ্জে জমে উঠেছে তরমুজের হাট
তরমুজের

প্রচণ্ড গরমে হাজীগঞ্জে জমে উঠেছে তরমুজের হাট

দেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চল থেকে জাহাজে আসা তরমুজ চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ বাজারে জমে উঠেছে। দূর দূরান্ত থেকে আসা পাইকার ট্রাকে করে নিয়ে যাচ্ছে কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম হবিগুঞ্জ, সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ এসব অঞ্চলের শহরগুলোতে তরমুজের চাহিদা মিটাচ্ছে।

গত কয়েক দিনের প্রচণ্ড গরমের সাথে বেড়েছে তরমুজের চাহিদা। বিশেষকরে রমজানের ইফতারে মানুষের প্রচন্দের রসালু ফল হিসাব তরমুজ গ্রহনযোগ্যতা পেয়েছে। আর এ সুযোগে পৌঁছে যাওয়া তরমুজের লোকসান ফুসে নিতে হঠাৎ করে বেড়ে যায় তরমুজের দাম।

সরেজমিন দেখা যায়, হাজীগঞ্জ পূর্ব বাজারের হাজী ফল ভান্ডার, জয়নাল কাজী ফলের আড়ৎ, ভাই ভাই ফলের আড়ত, রাজা ফল ভান্ডার, মায়ের দোয়া এন্টারপ্রাইজ, জিন্নাত এন্টারপ্রাইজ, আল্লাহর দান ফলের আড়ত, মানিক ও মান্নান মিয়াসহ প্রায় ১০/১২টি ঘর গোদিতে ব্যাপারী আর পাইকারের মিলন মেলা। নদীপথে আসা ট্রলার থেকে তরমুজ মাথায় করে আড়ৎধারের ঘরে গুনে শুনে টাল দিচ্ছেন শ্রমিকেরা। পাইকার ও হকাররা হিসাবে ছোট তরমুজের দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বড় ২৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত গড়ে ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা শ বিক্রি হচ্ছে।

দূর-দুরন্ত থেকে ছুটে আসা পাইকাররা এসব দামে ট্রাক বোজাই করে তরমুজ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে যায়। তাদের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে হাজীগঞ্জের পাইকাররা বেশি দামে তরমুজ ক্রয় করে তা উপজেলার বিভিন্ন হাট বিজারে পিচ হিসাবে ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৫ থেকে ৭ শত টাকা পর্যন্ত বিক্রি করে আসছে।

এখানকার কয়েকজন আড়তদার ও ব্যাপারী এবং পাইকারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রসালু ফল তরমুজ দেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, খুলনা, বরগুনা, পাথরঘাটা এলাকা থেকে স্থানীয় চাষিদের কাছ থেকে ট্রলার যোগে ব্যাপারীরা নিয়ে আসেন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে। এখান থেকে আবার দেশের দক্ষিণ ও পূর্ব অঞ্চল, কুমিল্লা, হবিগুঞ্জ, সিলেট, ভ্রামনবাড়ীয়া, ফেনী, চিটাগাং সহ প্রায় ৩০/৩৫ জেলার পাইকাররা ট্রাকে করে তরমুজ নিয়ে যায়।

মায়ের দোয়া এন্টারপ্রাইজের কাজল মিয়া, ভাই ভাই ফলের আড়ত এর মালিক সেলিম মিয়া ও রাজা ফল ভান্ডারের আড়তদার গাজি আলম চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর তরমুজের ব্যাপক আমদানি রয়েছে। তবে প্রচণ্ড গরম ও রোজার মাস পাওয়ায় চাহিদা বেড়েছে যে কারণে তরমুজের দামও একটু বেশি।

তবে তরমুজ ভিতরে অনেক নষ্ট হয়ে যাওয়ার ফলে ক্রেতারা দামের সমন্বয়হীনতার অভিযোগ উঠেছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা এ সুযোগে দাম হাঁকাচ্ছে বলে সাধারণ ক্রেতাদের অভিযোগ।

শ্রমিকে রহমতউল্ল্যা, কাদের, আল আমিন, রমজান মিয়া বলেন, আমরা কমিশনে দৈনিক ৭ / ৮ শ টাকা রুজি করতে পারি। গত মার্চ মাস থেকে শুরু হয়ে আগামী মে- জুন মাস পর্যন্ত তরমুজের আমদানি রপ্তানি থাকবে।

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আ. স. ম. মাহবুব-উল আলম লিপন চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, এখানকার আড়তদার ব্যবসায়ীদের অনুরোধে দূর দুরন্ত থেকে আসা মানুষের সুবিধার্থে টয়লেট, পানি, সুডিয়াম লাইটসহ বিভিন্ন সু-ব্যবস্থা করা হয়েছে।

প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়, ১১ এপ্রিল ২০২৩