নির্মাণকাজের ধীরগতিতে দুরবস্থার শিকার ফরিদগঞ্জ পৌরবাসী

বর্ষার শুরুর আগে ও পরে অবিরাম বর্ষনের মধ্যে দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী তথা মাছ কাঁচা বাজারের ড্রেন নির্মাণ ও গুরুত্বপূর্ণ কালিরবাজার সড়কের নির্মাণ কাজ এবং পানি সরবরাহ লাইন নির্মাণ জনিত কারণে চরম দুরবস্থার শিকার ফরিদগঞ্জ পৌরবাসী ও ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের অভিযোগ নিমার্ণকাজগুলো বর্ষার পূর্বে সম্পন্ন করলে মানুষজনকে এই চরম দুভোর্গ পোহাতে হত না। কাঁচাবাজার তথা উত্তরগলির ব্যবসায়ীরা গত ১৫/২০ দিন ধরে মারাত্বক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

অন্যদিকে ওই এলাকার অধিবাসীদের এখন সাঁকো করে ঘর থেকে বের হতে হচ্ছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার সদর বাজারের উত্তর গলিতে কাঁচাবাজার , মাছ ও মাংস বাজার নিয়মিত বসে। স্থায়ী দোকানপাট রয়েছে। কিন্তু গত ৩ সপ্তাহ ধরে ড্রেনের নির্মাণ কাজের জন্য কাঁচাবাজার সড়কটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে রয়েছে।

জানা গেছে, মে মাসের শেষ সপ্তাহে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে ১৪৫০মিটার ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু হয়।

ঠিকাদার কাঁচা বাজার সড়কটি ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি উঠিয়ে কাজ শুরু করলেও এই সময় থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় একদিকে নির্মাণ কাজ ধীরগতিতে হয়েছে।

অপরদিকে দুরবস্থার সৃষ্ট হয়েছে ওই এলাকার বসবাসকারী লোকজন ও ব্যবসায়ীদের। ড্রেন নির্মাণে মাটি তেলার কারণে কিছু কিছু ঘর ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে।

স্থানীয় অধিবাসী সুবীর সাহা বলেন, আমরা কী দুরাবস্থার মধ্যে রয়েছি তা না দেখলে কেউ বুঝবে না। বৃষ্টি ও ঠিকাদারের কাজের ধীরগতির কারণে আমরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছি।

ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের ব্যবসার বারোটা বেজেছে। কাঁচামাল আজ উঠালে , কালকের মধ্যে তা বিক্রি করতে না পারলে তা নষ্ট হয়ে যায়। দুরবস্থার কারণে লোকজন বাজারমুখো হচ্ছে না।

স্বর্ণ ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার দাস বলেণ, ড্রেন নিমার্ণের জন্য সড়ক কেটে ফেলায় আমাদের কাছে লোকজন আসতে চায় না। ফলে ব্যবসা মন্দা যাচ্ছে। আশা করছি ঠিকাদার দ্রুত তা শেষ করে আমাদের মুক্তি দিবেন।

এদিকে নির্মাণ কাজ ধীরগতির কারণে পৌর মেয়র ঠিাকাদারের লোকজনকে ডেকে রাস্তার থেকে মাটি সরিয়ে তারপর নির্মাণ কাজ শুরুর নির্দেশ দিয়েছে। ফেলে গত তিনদিন ধরে নিমার্ণ কাজ বন্ধ রয়েছে।

অপরদিকে পৌর এলাকার আরেক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক থানার মোড় থেকে কালিলবাজার চৌরাস্তা পর্যন্ত এক কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮১০ মিটার সড়কটি এলজিইডির অধীনে প্রায় ১বছর পুর্বে নিমার্ণ কাজের ওয়ার্ক অডার দিলেও ঠিকাদার কাজটি এসে শেষ সময়ে শুরু করেন।

এরই মধ্যে পৌর এলাকার পানি সরবরাহ প্রকল্পের অধীনে পাইপ লাইন বসানোর কাজ শুরু হওয়ায় সড়কের নিমার্ণ কাজ থেমে রয়েছে। ফলে গুরুত্বপুর্ণ এই সড়কটিও দুরবস্থায় পতিত হয়েছে। কাঁদাপানিতে একাকার হয়ে গেছে সড়কটি। এই সড়কের দুপাশের কয়েকশত ব্যবসায়ীরাও বিপাকে পড়েছে। জনসংখ্যা অধ্যুষিত এই এলাকাটি এখন মানুষের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।

এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশল অফিস জানায়, বর্ষার কারণে সড়কের নির্মাণ কাজে ব্যঘাত ঘটছে। অন্যদিকে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, টানা বর্ষণের কারণে তাদের ড্রেন নির্মাণে ব্যঘাত ঘটছে।

প্রতিবেদকঃশিমুল হাছান,২০ জুন ২০২১

Share