Home / জাতীয় / অর্থনীতি / ১০ মে থেকে ব্যাংকের নতুন সময়সূচি
bank--note

১০ মে থেকে ব্যাংকের নতুন সময়সূচি

ব্যাংক লেনদেনের নতুন সময়সূচি ঠিক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ১০ মে থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকের গ্রাহকেরা সকাল ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত লেনদেন করতে পারবেন।

অবশ্য লেনদেনের বাইরে বাকি কাজের জন্য ব্যাংক খোলা থাকবে বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত।

আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ–সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে বলা হয়, সরকার সাধারণ ছুটির মেয়াদ বাড়ানোর পরিপ্রেক্ষিতে পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতর ও ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা বিবেচনায় অব্যাহতভাবে প্রয়োজনীয় ব্যাংকিং সেবা দিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, সরকার করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সাধারণ ছুটির মেয়াদ বাড়িয়েছে ঠিকই, তবে ১০ মে থেকে সীমিত পর্যায়ে দোকানপাট খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সোমবার এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ব্যাংক খোলা রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সিদ্ধান্ত জানাবে।

এরপর আজ বাংলাদেশ ব্যাংক প্রজ্ঞাপন জারি করল। এতে বলা হয়, ব্যাংকে সকাল ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত লেনদেন হবে। তবে বেলা ১টা ১৫ মিনিট থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত নামাজের বিরতি থাকবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, অনলাইন সুবিধা আছে এমন ব্যাংকগুলোর প্রতি উপজেলায় ও মহানগর এলাকার প্রতিটি থানায় অন্তত একটি শাখা খোলা রাখতে হবে। একাধিক শাখা খোলা রাখার বিষয়ে ব্যাংক সিদ্ধান্ত নেবে। যাদের অনলাইন সুবিধা নেই, তাদের সব শাখা প্রতি কার্যদিবসে খোলা রাখতে হবে।

জেলা সদরে গুরুত্বপূর্ণ স্থান বিবেচনায় ব্যাংকের অন্তত একটি শাখা খোলা রাখতে হবে। মহানগর ও বিভাগীয় পর্যায়ে সব এডি শাখা (যেখানে বৈদেশিক লেনদেন হয়) খোলা রাখতে হবে। তবে দেশের অন্যান্য এলাকায় নিজস্ব বিবেচনায় নির্বাচিত এডি শাখা খোলা রাখতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক আরও বলছে, দেশের বাণিজ্যিক এলাকা রাজধানীর মতিঝিল ও দিলকুশা এবং চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ ও আগ্রাবাদে অবস্থিত সব তফসিলি ব্যাংক খোলা রাখতে হবে। শ্রমঘন শিল্প এলাকায় সব ব্যাংকের সব শাখা খোলা রাখতে হবে।

এ ছাড়া সমুদ্র, স্থল ও বিমানবন্দর এলাকায় ব্যাংক খোলা রাখতে হলে স্থানীয় প্রশাসন ও বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিতে হবে। লকডাউন এলাকায় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে একটি শাখা খোলা রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।

কার্ডভিত্তিক লেনদেন চালু রাখতে এটিএম বুথগুলোতে পর্যাপ্ত নোট সরবরাহ ও সার্বক্ষণিক চালু রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করার কথা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।

এ ছাড়া ব্যাংকিং লেনদেনের জন্য খোলা রাখা শাখা ও প্রধান কার্যালয়ে নির্দিষ্ট দূরত্ব (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা অনুযায়ী) বজায় রাখার বিষয়ে নির্দেশনা নিশ্চিত করতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে।