Home / জাতীয় / ত্রাণের জন্য যে বিক্ষোভ হচ্ছে, তার পেছনে রাজনৈতিক ইন্ধন আছে : হাছান মাহমুদ
ত্রাণের জন্য যে বিক্ষোভ, ত্রাণ

ত্রাণের জন্য যে বিক্ষোভ হচ্ছে, তার পেছনে রাজনৈতিক ইন্ধন আছে : হাছান মাহমুদ

বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক লাখ কোটি টাকা বরাদ্দ করোনা পরিস্থিতিতে খেটে খাওয়া মানুষের জীবন-জীবিকাসহ সমগ্র দেশ ও অর্থনীতিকে বাঁচাবে। ত্রাণের জন্য যে বিক্ষোভ হচ্ছে, তার পেছনে রাজনৈতিক ইন্ধন আছে। যারা বিক্ষোভ করছে, তাদের ভাড়া করে আনা হয়েছে বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।

আজ ১৭ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে সরকারি বাসভবনে সমসাময়িক বিষয়ে দেওয়া বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলারের এ বরাদ্দ দেশের মোট জিডিপির ৩ দশমিক ৩ শতাংশ।

এ ছাড়া বহু সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি চলমান উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ৫০ লাখ নিম্ন আয়ের পরিবারের জন্য মাসে পরিবারপ্রতি ৩০ কেজি চাল ১০ টাকা কেজি দরে দেওয়া হচ্ছে। এতে আড়াই কোটি মানুষের অন্নসংস্থান হবে। রাজনৈতিক ইন্ধন দিয়ে লোক ভাড়া করে এনে বিভিন্ন জায়গায় অর্গানাইজ করে ত্রাণের জন্য বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়েছে বলেও এ সময় জানান তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, গত কয়েক দিনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ত্রাণের জন্য বিক্ষোভ, বিভিন্ন গণমাধ্যমে এটা আপনারা দেখতে পেয়েছেন। কিন্তু আজকেই গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, এই বিক্ষোভের অনেকগুলোর পেছনে রাজনৈতিক ইন্ধন ছিল।’

‘সরকার প্রতিটি দুস্থ মানুষের কাছে ত্রাণসহায়তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য বদ্ধপরিকর। শুধু সরকারের ত্রাণ মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় নয়; সরকারের পক্ষ থেকে পুলিশ বাহিনী, জেলা প্রশাসন এবং সিটি করপোরেশনগুলো মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছে জানিয়ে ড. হাছান বলেন, এমনকি ত্রাণের জন্য হটলাইন ৩৩৩ খোলা হয়েছে। সেখানে কেউ ফোন করলে তাকেও ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমন ব্যবস্থা আশপাশের কোনো দেশে করা হয়েছে, আমি অন্তত জানি না।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আক্ষেপ করে বলেন, ‘এই যখন ব্যবস্থা করা হয়েছে, তখন প্রতিদিন বিএনপির পক্ষ থেকে সমালোচনা আর কয়েকটি ফটোসেশন করা হয়। আপনারা জানেন, রাজশাহীতে একজন ফৌজদারি অপরাধে গ্রেপ্তার হয়েছে, তিনি নাকি ছাত্রদলের নেতা, তাকে ছেড়ে দিতে হবে দাবি বিএনপির। ফৌজদারি অপরাধে কাউকে গ্রেপ্তার কি সরকার বন্ধ রাখবে? এটা হচ্ছে আমার প্রশ্ন।’

‘আমি বিএনপিকে অনুরোধ জানাব, অহেতুক সমালোচনা, ফটোসেশন আর উসকানি দেওয়ায় ব্যস্ত না থেকে মানুষের পাশে দাঁড়ান’ বলেন ড. হাছান।

বার্তা কক্ষ, ১৭ এপ্রিল ২০২০