Home / জাতীয় / ঝরে গেল ৯২ প্রাণ : দায়ী কারা?

ঝরে গেল ৯২ প্রাণ : দায়ী কারা?

চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক :

পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ির পথ ধরেছিল লাখো মানুষ। নগর-বন্দর ছেড়ে কাতারে কাতারে মানুষ নেমেছিল পথে। তবে সবার আর গন্তব্যে পৌঁছা হয়নি। তার আগে পথেই লাশ হয়ে গেছে অনেকে। হাসিখুশি মুখগুলো মুহূর্তেই হয়ে গেছে নিথর। ঈদের খুশির বদলে কান্না ঝরেছে পথে পথে। এবার ঈদে বাড়ির পথে যাত্রার সময় এবং ঈদ শেষে ফেরার পথে- গত এক সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে এভাবে ঝরে গেছে কমপক্ষে ৯২ প্রাণ। বিভিন্ন থানা সূত্র জানিয়েছে এ তথ্য।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেছেন, অনুমোদনহীন লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ি, লাইসেন্সবিহীন চালক, গতিসীমা না মেনে গাড়ি চালানোর কারণে এবার ঈদ মৌসুমে সড়ক-মহাসড়কে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটেছে। ঈদের পরদিন গত রবিবার সিরাজগঞ্জে এক দুর্ঘটনাতেই ১৭ জন মারা গেছে।

তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, গত ১৩ জুলাই থেকে গতকাল সোমবার পর্যন্ত এক সপ্তাহে দেশের ২৩টি জেলায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে। মারা গেছে ৯২ জন। তবে এর মধ্যে শুধু ঈদের ছুটির তিন দিনেই মারা গেছে ৭০ জন। সিরাজগঞ্জ ছাড়াও দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটেছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, বগুড়া, চুয়াডাঙ্গা, হবিগঞ্জ, পিরোজপুর, সুনামগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, ফেনী, ফরিদপুর, গাজীপুর, টেকনাফ, নাটোর, নওগাঁ, মাদারীপুর, বরিশাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজবাড়ী ও নোয়াখালীতে।

অনুসন্ধান বলছে, চাঁদাবাজির উৎস টিকিয়ে রাখতে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) অনুমোদনহীন গাড়ির মালিক ও অবৈধ লাইসেন্সধারী চালকদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে না। কারণ অভিযানে নামলেই পরিবহন সংগঠনগুলো বিভিন্ন অজুহাতে ধর্মঘট ডেকে মহাসড়ক অচল করে দেয়। অথচ অনুমোদনহীন গাড়ি ও অবৈধ লাইসেন্সধারী চালকরা বেশির ভাগ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। তা ছাড়া এবার ঈদুল ফিতরের আগে থেকেই শুরু হওয়া বৃষ্টিতে সড়ক-মহাসড়কগুলো পিচ্ছিল হয়ে ছিল। দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ার এটাও কারণ।

ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন রাখতে গত ২৩ জুন অনুষ্ঠিত আন্তমন্ত্রণালয় সভায় ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় না নামানোর সিদ্ধান্ত হয়েছিল। বিকল গাড়িও মহাসড়ক থেকে দ্রুত সরানোর সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এর পরও ঈদের আগের দিন শুক্রবার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে পর পর আটটি গাড়ি বিকল হয়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। চলতে চলতে গাড়িগুলো বিকল হয়ে গিয়েছিল। কারণ সেগুলোর চলাচলের উপযোগীই ছিল না। কিন্তু চলাচলের অযোগ্য ও অনুমোদন না থাকলেও ঈদের আগে থেকেই এসব গাড়ি যাত্রী পরিবহনের জন্য সড়কে জন্য নামানো হয়েছিল।

খুশির বদলে কান্না ঝরল পথে পথে

বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে, দেশে যাত্রী পরিবহনের জন্য বাস-মিনিবাসসহ বিভিন্ন ধরনের সাড়ে তিন লাখ যানবাহনের ফিটনেস নেই। এর মধ্যে রাজধানীতেই চলাচল করছে ফিটনেসবিহীন ৯৪ হাজার গাড়ি। যদিও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যানজটের জন্য দায়ী এসব গাড়ির মালিক ও চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জের দুর্ঘটনাকবলিত স্থান পরিদর্শনে যাচ্ছেন মন্ত্রী।

সড়ক, রেল ও নৌ- এই তিন পথের মধ্যে ঈদ যাত্রায় ৯০ শতাংশ যাত্রীই সড়কপথ ব্যবহার করে থাকে। রাজধানী থেকে দূরপাল্লার গন্তব্যে বাড়তি যাত্রী পরিবহনের জন্য যথেষ্ট বাস ও মিনিবাস নেই। এ কারণে ঈদের মৌসুমে অতিরিক্ত মুনাফার লোভে মহাসড়কে নিষিদ্ধ ২০ বছরের পুরনো বাস ও মিনিবাস, ট্রাক, পিকআপসহ বিভিন্ন ধরনের নিষিদ্ধ যানবাহন নামিয়ে যাত্রী পরিবহন করা হয়। এ ক্ষেত্রে যাত্রীপ্রতি ভাড়া তিন থেকে চার গুণ নেওয়া হয়ে থাকে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হিসাবে, এবার ঈদে ৬০ লাখ যাত্রী রাজধানী থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে গেছে। এর মধ্যে সড়কপথেই ৪৫ লাখ যাত্রী পরিবহন করা হয়েছে। ঈদের তিন দিন আগে থেকে রাজধানীর সায়েদাবাদ, গাবতলী ও গার্মেন্ট অধ্যুষিত বিভিন্ন এলাকা থেকে ফিটনেসবিহীন গাড়ি চুক্তিতে চালানো হয়েছে। এসব গাড়ি মহাসড়কে বারবার বিকল হয়েছে। ঢাকা ছাড়াও অনুমোদনহীন বাসে দেশের এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাত্রী পরিবহন করা হয়েছে ঈদের পরও।

প্রসঙ্গত, গত বছর ঈদুল ফিতরের ছুটিতে সারা দেশে সড়ক-মহাসড়কে দুর্ঘটনায় ৬৪ জন নিহত হয়েছিল। আর গত ঈদুল আজহার ছুটিতে দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছিল ৩৩ জন।

সিরাজগঞ্জেই ঝরে গেছে ৩০ প্রাণ : ঈদ মৌসুমে এক সপ্তাহের ব্যবধানে শুধু সিরাজগঞ্জেই বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে ৩০ জন মারা গেছে। এর মধ্যে ঈদের পরদিন গত রবিবার ভোরে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড় সংযোগ মহাসড়কে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ ১৭ জন মারা গেছে। সদর উপজেলায় মহাসড়কের সয়দাবাদ ইউনিয়নের মুলিবাড়ীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম পাড় থানার ওসি হেলাল উদ্দিন জানান, চট্টগ্রাম থেকে সাব্বির হোসেন পরিবহনের একটি বাস (নম্বর-ঢাকা মেট্রো ব-১১-৪০৩৪) বগুড়ার দিকে যাচ্ছিল। সৈয়দপুর থেকে আজাদ পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা মেট্রো জ-১৪-১০৮৬) ঢাকায় ফিরছিল। মুলিবাড়ীতে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

দুর্ঘটনার পর বেঁচে যাওয়া সাব্বির পরিবহনের যাত্রী রংপুরের বদরগঞ্জের জয়দেব কুমার বলেন, সাব্বির পরিবহনের বাসের সামনেই তিনি বসেছিলেন। চট্টগ্রাম থেকে বাসটি ছাড়ার পর পথে কয়েক জায়গায় বন্ধ হচ্ছিল। বাসটিতে ত্রুটি ছিল। সে কারণে সেটি রাস্তার ডান দিকে ঝুঁকে চলছিল। বাসটি যাতে বন্ধ না হয় সে জন্য চালক খুব দ্রুতগতিতে চালাচ্ছিল। তিনি বলেন, ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি আর চালকের কারণেই ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, ওই বাসটির ফিটনেস ছিল না।

শুক্রবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ সড়কের কাশেম মোড়ে যাত্রীবাহী বাস উল্টে মহিলা, শিশুসহ পাঁচজন নিহত হয়। হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ওসি বি এম এমদাদুল হক জানান, ঢাকা থেকে গাইবান্ধাগামী বাস কাশেম মোড়ে পৌঁছালে অটোরিকশাকে সাইড দিতে গিয়ে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে, দেশে নিবন্ধিত ২১ লাখ গাড়ির মধ্যে মোটরসাইকেল আছে প্রায় ১১ লাখ। ঈদে যাত্রী পরিবহনের নিরাপদ গাড়ির অভাবে অনেকেই স্বজনদের নিয়ে মোটরসাইকেলে দূরের পথে রওনা দেয়। এ ক্ষেত্রে মোটরসাইকেলচালক গতিসীমা লঙ্ঘন করে চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে। বিভিন্ন স্থানে মোটরসাইকেলকে বাসও চাপা দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু সংযোগ সড়কের মুলিবাড়িতে পাবনা এক্সপ্রেসের একটি বাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী বাবুল হোসেন (৩০), তাঁর স্ত্রী মাহফুজা খাতুন (২৩) ও তাঁদের ছেলে প্রাণ হারান। বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার এএসআই আনন্দ কুমার জানান, বাবুল স্ত্রী-পুত্র নিয়ে মোটরসাইকেলে টাঙ্গাইল থেকে ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাচ্ছিলেন। তাঁর বাড়ি বগুড়ার শেরপুর উপজেলার শিমলা গ্রামে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পাবনা এক্সপ্রেস পরিবহনের চালক দ্রুতগতিতে চালাচ্ছিলেন বলেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

মহাসড়কে নিবন্ধনহীন মোটরসাইকেল চলাচলের কারণেও দুর্ঘটনা ঘটেছে। রবিবার সকালে নাটোর সদর থানার সামনে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় জজকোর্টের আইনজীবী আব্দুল মান্নান নিহত হন। পুলিশ মোটরসাইকেলটি আটক করলেও চালক পালিয়ে যায়। নাটোর সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, ওই মোটরসাইকেলের নিবন্ধনই ছিল না। সেটি ‘অন টেস্ট প্লেট’ লাগিয়ে চালানো হতো।

আবার মোটরসাইকেলচালককেও চাপা দিচ্ছে মালবাহী গাড়ি। গতকাল সকালে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ফেনী-বসুরহাট সড়কে কাঁচামালবাহী ইমা গাড়ির (মালবাহী মাইক্রোবাস) চাপায় মাহবুবুর রহমান বাবলু (৩০) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন। কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল মজিদ জানান, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ইমা গাড়িটি নিয়ে চালক পালিয়ে গেছে।

নিষিদ্ধ থ্রি হুইলারসহ বিভিন্ন গাড়িতেও দুর্ঘটনা ঘটছে। গত রবিবার ও শুক্রবার বরিশালের বাকেরগঞ্জ ও বানারীপাড়ায় দুর্ঘটনায় তিনজন মারা গেছেন। বানারীপাড়া ও বাকেরগঞ্জ থানা সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল-বানারীপাড়া সড়কের গুয়াচিত্রায় দুটি থ্রি হুইলারের সংঘর্ষে নুরুন্নাহার বেগম ও বাকেরগঞ্জ-দুধল সড়কের দুধল বাজারে একটি বেপরোয়া মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পথচারী রেদওয়ান মারা যান। অথচ ওই সড়কে থ্রি হুইলার চলাচল নিষিদ্ধ।

অটোরিকশার যাত্রীরাও বাসচাপায় প্রাণ দিচ্ছেন। গত মঙ্গলবার সকালে বগুড়া-নগরবাড়ী মহাসড়কের সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার বোয়ালিয়া বাজারে যাত্রীবাহী বাস ও অটোরিকশার সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হন। হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ওসি এমদাদুল হক জানান, শাহজাদপুর থেকে নবীনবরণ নামের একটি যাত্রীবাহী বাস রাজশাহী যাচ্ছিল। হাটিকুমরুল থেকে একটি অটোরিকশা উল্লাপাড়া যাওয়ার পথে বোয়ালিয়ায় পৌঁছালে বাসটির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। পুলিশ বাসটি আটক করেছে। মূলত বাসটি চলাচলের উপযোগী ছিল না।

দুর্ঘটনা বিশেষজ্ঞ বুয়েটের অধ্যাপক ড. সামছুল হক বলেন, ঈদের মৌসুমে সড়কে প্রাণহানির ঘটনা বাড়ছে। ছুটির সময়ে ফাঁকা মহাসড়কে চালকরা বেপরোয়া হয়ে যায়। এটা দেখার কেউ থাকে না। এ জন্য উৎসব মৌসুমে দুর্ঘটনা ঘটলে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। যেমন সড়ক বিভাগের প্রকৌশলীদের শাস্তি দেওয়ায় এখন রাস্তা মোটামুটি চলাচল উপযোগী থাকছে। অযোগ্য ও রুট পারমিটহীন বাস নামানোর কারণে প্রাণহানি বেশি ঘটছে।

দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা গেছে, ৪৯ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে বাসে। আর এর বড় কারণ লাইসেন্সহীন চালক। চালকদের ৬১ শতাংশেরই বৈধ লাইসেন্স নেই। দুর্ঘটনার পর এসব চালক পালিয়ে যায়, পুলিশ ধরতে পারে না। পুলিশের খাতায় সবসময়ই ৮৩ শতাংশ অভিযুক্ত চালক পলাতক থাকছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সংঘটিত দুর্ঘটনার পর পুলিশ অভিযুক্ত চালকদের ধরতে পারেনি কিংবা গাড়ি জব্দ করলেও ফিটনেস ছিল কি না তা বের করতে গড়িমসি করেছে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী বলেন, মালিকরা যাত্রী পরিবহনের জন্য রাস্তায় ফিটনেসহীন গাড়ি নামায়। পেটের দায়ে পড়েই চালকরা তা চালায়। চালকদের টানা গাড়ি চালাতে বাধ্য করা হয়।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, এবার ঈদ যাত্রায় রাস্তার জন্য দুর্ভোগে পড়তে হয়নি। তবে সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে যাত্রী এমনকি চালকদেরও মৃত্যু হয়েছে। আমরা বিআরটিএ-এর উদ্যোগে ফিটনেসহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর নির্দেশ দেই। সবসময় তা সমানতালে চালানো হচ্ছে না। ঈদে বেশি যাত্রী পরিবহনের জন্য ফিটনেসহীন গাড়ি নামানো হয়েছিল। যারা তা করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দায়ী বাস মালিকদের রুট পারমিট বাতিল করা হবে। চালকদের লাইসেন্স স্থগিত করা হবে।

আপডেট :   বাংলাদেশ সময় : ০২:০২ অপরাহ্ন,  ৬ শ্রাবণ ১৪২২ বঙ্গাব্দ, মঙ্গলবার ২১ জুলাই ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ

 

চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/এমআরআর/২০১৫

চাঁদপুর টাইমস ডট কমপ্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি