Home / ইসলাম / যে কাজগুলো জান্নাতে যাওয়ার বিষয়ে বাধা দান করে
যে কাজগুলো জান্নাতে যাওয়ার বিষয়ে বাধা দান করে

যে কাজগুলো জান্নাতে যাওয়ার বিষয়ে বাধা দান করে

ইসলাম ডেস্ক, চাঁদপুর টাইমস :

জান্নাত মানুষের শেষ আবাস স্থল। আমরা যে জীবন অতিবাহিত করছি, এটাই শেষ কথা নয়। এ জীবনের পরেই রয়েছে আখেরাতের বিশাল জিন্দেগী। যার শুরু আছে শেষ নেই। মানুষের সেই শেষ আবাসস্থল হচ্ছে জান্নাত। এমন কোনো মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না যিনি জান্নাতে যেতে চান না। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মানুষের সামনে সব খারাবি থেকে মুক্ত থাকা এবং তার আনুগত্যের বিনিময় এই জান্নাত দেয়ার অঙ্গিকার করেছেন। বলে দিয়েছেন কোন কাজ করলে জান্নাতে যাওয়া যাবে আর কোন কাজ করলে জাহান্নামে পতিত হবে। আসুন আমরা জেনে নিই জান্নাতে যাওয়ার বাধা সৃষ্টিকারী কাজগুলো কি কি।

১. আল্লাহর প্রতি ঈমান না আনা : রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, لا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ إِلا مُؤْمِنٌ “ঈমানদার ব্যতীত কেউ জান্নাতে প্রবেশ করবে না।” (বুখারী ও মুসলিম) তিনি আরও বলেন, لا تَدْخُلُوا نَ الْجَنَّةَ حَتَّى تُؤْمِنُوا “তোমরা ঈমান না আনা পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেন না।” (মুসলিম)

২. প্রতিবেশীর প্রতি সদয় না হওয়া : রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, لا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مَنْ لا يَأْمَنُ جَارُهُ بَوَائِقَهُ “যার অনিষ্ট থেকে তার প্রতিবেশী নিরাপদ থাকে না সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না।” (মুসলিম)

৩. অহংকারকারী : রসূল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, لا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مَنْ كَانَ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ ذَرَّةٍ مِنْ كِبْرٍ “যার অন্তরে অণু পরিমাণ অহংকার রয়েছে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না ।” (মুসলিম)

৪. পরনিন্দা কারী ও চোগলখোরি করা : রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, لا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ نَمَّامٌ “চুগলখোর বা পর নিন্দাকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না ।” (মুসলিম) তিনি আরও বলেছেন, تَجِدُ مِنْ شَرِّ النَّاسِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عِنْدَ اللَّهِ ذَا الْوَجْهَيْنِ الَّذِي يَأْتِي هَؤُلَاءِ بِوَجْهٍ وَهَؤُلَاءِ بِوَجْهٍ “কিয়ামতের দিন সবচেয়ে খারাপ লোকদের দলভুক্ত হিসেবে ঐ ব্যক্তিকে দেখতে পাবে যে, যে ছিল দুমুখো- যে এক জনের কাছে এক কথা আরেক জনের কাছে আরেক কথা নিয়ে হাজির হত।”(মুসলিম)

৫. আত্মহত্যাকারী : রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, مَنْ تَرَدَّى مِنْ جَبَلٍ فَقَتَلَ نَفْسَهُ ، فَهْوَ فِى نَارِ جَهَنَّمَ ، يَتَرَدَّى فِيهِ خَالِدًا مُخَلَّدًا فِيهَا أَبَدًا ، وَمَنْ تَحَسَّى سَمًّا فَقَتَلَ نَفْسَهُ ، فَسَمُّهُ فِى يَدِهِ ، يَتَحَسَّاهُ فِى نَارِ جَهَنَّمَ خَالِدًا مُخَلَّدًا فِيهَا أَبَدًا ، وَمَنْ قَتَلَ نَفْسَهُ بِحَدِيدَةٍ ، فَحَدِيدَتُهُ فِى يَدِهِ ، يَجَأُ بِهَا فِى بَطْنِهِ فِى نَارِ جَهَنَّمَ خَالِدًا مُخَلَّدًا فِيهَا أَبَدًا “যে ব্যক্তি নিজেকে পাহাড়ের ওপর থেকে নিক্ষেপ করে আত্মহত্যা করবে, সে জাহান্নামে যাবে। সেখানে সর্বদা সে ওইভাবে নিজেকে নিক্ষেপ করতে থাকবে অনন্তকাল ধরে। যে ব্যক্তি বিষপান করে আত্মহত্যা করবে, সে বিষ তার হাতে থাকবে। জাহান্নামে সর্বদা সে ওইভাবে নিজেকে বিষ খাইয়ে মারতে থাকবে অনন্তকাল ধরে। যে কোনো ধারাল অস্ত্র দ্বারা আত্মহত্যা করেছে তার কাছে জাহান্নামে সে ধারালো অস্ত্র থাকবে যার দ্বারা সে সর্বদা নিজের পেটকে ফুঁড়তে থাকবে। (বুখারী ও মুসলিম)

৬. আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী : রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, لا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَاطِعُ رَحِمٍ “আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।” (মুসলিম)

৭. হারাম ভক্ষণকারী : রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ لَحْمٌ نَبَتَ مِنْ سُحْتٍ “হারাম অর্থের মাধ্যমে (যে শরীরে) মাংস বৃদ্ধি পেয়েছে তা জান্নাতে প্রবেশ করবে না। অর্থাৎ যে ব্যক্তি হারাম অর্থ ও অবৈধ উপার্জন দ্বারা দেহ গঠন করেছে জাহান্নামের আগুনই তার প্রাপ্য।” (মিশকাত)

৮. উপকার করে খোটা বা তুলনা দেয়া : রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, لا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مَنَّانٌ “সে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না যে উপকার করে খোটা দেয়।” (নাসাঈ)

৯. তাক্বদির (ভাগ্য) অস্বীকারকারী ও অবাধ্য সন্তান : রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, لا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ عَاقٌّ ، وَلا مُدْمِنُ خَمْرٍ ، وَلا مُكَذِّبٌ بِقَدَرٍ “পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান, মদ্যপায়ী এবং তকদীর অস্বীকার কারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।” (সিলসিলা)
১০. গণক, যাদুকর, মাদক তথা নেশাকারী : রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, لا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ خَمْسٌ ، مُدْمِنُ خَمْرٍ ، وَلا مُؤْمِنٌ بِسِحْرٍ ، وَلا قَاطِعُ رَحِمٍ ، وَلا مَنَّانٌ ، وَلا كَاهِنٌ “পাঁচ শ্রেণির মানুষ জান্নাতে প্রবেশ করবে না। (তারা হল,) মদ্যপায়ী, যাদুর বৈধতায় বিশ্বাসী, আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী, চোগলখোর এবং গণক।” (মুসনাদে আহমদ)

১১. ঋণী ব্যক্তি : রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট কোন ঋণগ্রস্ত মৃতের লাশ (জানাযার জন্য) নিয়ে আসা হলে জিজ্ঞেস করতেন, “সে ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা করেছে কি না?” যদি বলা হত করেছে, তবে জানাযা পড়তেন। অন্যথায় (সাহাবীদেরকে) বলতেন, صَلُّوا عَلَى صَاحِبِكُمْ “তোমরা তোমাদের সাথীর জানাযা পড়ে নাও (কিন্তু তিনি নিজে তাতে অংশ গ্রহণ করতেন না)। (মুসলিম); অন্য হাদিসে এসেছে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: يُغْفَرُ لِلشَّهِيدِ كُلُّ ذَنْبٍ إِلَّا الدَّيْنَ “শহীদের ঋণ ছাড়া সব গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।” (মুসলিম)

১২. পুরুষ বেশধারী নারী ও দাইয়ুস : রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ثَلاثٌ لا يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ : الْعَاقُّ لِوَالِدَيْهِ ، وَالدَّيُّوثُ ، وَرَجُلَةُ النِّسَاءِ “তিন শ্রেণির লোক জান্নাতে প্রবেশ করবে না। তারা হল, পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান, দাইয়ূস এবং পুরুষ বেশধারী নারী।” (সহীহুল জামে); অপর হাদিসে এসেছে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, الدَّيُّوثُ الَّذِي يُقِرُّ فِي أَهْلِهِ الْخَبَثَ “ঐ ব্যক্তিকে দাইয়ুস বলা হয় যে তার পরিবারের অশ্লীলতা ও কুকর্মকে মেনে নেয়।” (মুসনাদ আহমদ, নাসাঈ)

১৩. ব্যভিচারী, মিথ্যাবাদী শাসক, অহংকারী দরিদ্র : রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ثَلاثَةٌ لا يُكَلِّمُهُمُ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلا يُزَكِّيهِمْ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ : شَيْخٌ زَانٍ ، وَمَلِكٌ كَذَّابٌ ، وَعَائِلٌ مُسْتَكْبِرٌ “কিয়ামতের আল্লাহ দিন তিন শ্রেণীর লোকের সাথে কথা বলবেন না, তাদেরকে গুনাহ থেকে পবিত্র করবেন না এবং তাদের জন্য রয়েছে পীড়া দায়ক শাস্তি। তারা হল, বৃদ্ধ ব্যভিচারী, মিথ্যাবাদী শাসক, অহংকারী দরিদ্র। (মুসলিম)

১৪. কঠোরতা অবলম্বকারী ও কটুভাষী লোক : যে ব্যক্তি মানুষের কাছে এমন বিষয় নিয়ে গর্ব-অহংকার প্রকাশ করে বেড়ায় প্রকৃতপক্ষে যা তার নিকট নেই, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ الْجَوَّاظُ ، وَلَا الْجَعْظَرِيُّ “কঠোর প্রকৃতি ও কটুভাষী লোক জান্নাতে প্রবেশ করবে না এবং ঐ লোকও নয় যে এমন সব বিষয়ে মানুষের নিকট গর্ব-অহংকার প্রকাশ করে বেড়ায় প্রকৃতপক্ষে যা তার কাছে নাই।” (আবু দাঊদ)

১৫. অঙ্গীকারগ্রহণকারী অমুসলিমকে হত্যাকারী : রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, مَنْ قَتَلَ مُعَاهَدًا لَمْ يَرِحْ رَائِحَةَ الْجَنَّةِ ، وَإِنَّ رِيحَهَا تُوجَدُ مِنْ مَسِيرَةِ أَرْبَعِينَ عَامًا “যে ব্যক্তি কোন মুয়াহিদ তথা মুসলিম সরকারের সাথে চুক্তিবদ্ধ ভাবে বসবাসকারী কোন অমুসলিমকে হত্যা করবে সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না। অথচ চল্লিশ বছরের পথের দূরত্ব থেকে জান্নাতের সুঘ্রাণ পাওয়া যায়।” (বুখারী)

১৬. বিশ্বাসঘাতকতাকারী শাসক : রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, مَا مِنْ عَبْدٍ يَسْتَرْعِيهِ اللَّهُ رَعِيَّةً ، يَمُوتُ يَوْمَ يَمُوتُ وَهُوَ غَاشٌّ لِرَعِيَّتِهِ إِلا حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ “যাকে আল্লাহ তায়ালা জনসাধারণের শাসনকর্তা হিসেবে দায়িত্ব অর্পণ করেছেন, কিন্তু সে জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে এবং বিশ্বাসঘাতক থাকা অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেছে। আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দিবেন।” (মুসলিম)

১৭. অন্যায়ভাবে মানুষকে প্রহারকারী ও পর্দাহীন মহিলা : রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, صِنْفَانِ مِنْ أَهْلِ النَّارِ ، لَمْ أَرَهُمَا قَوْمٌ مَعَهُمْ سِيَاطٌ كَأَذْنَابِ الْبَقَرِ يَضْرِبُونَ بِهَا النَّاسَ ، وَنِسَاءٌ كَاسِيَاتٌ عَارِيَاتٌ مُمِيلَاتٌ مَائِلَاتٌ ، رُءُوسُهُنَّ كَأَسْنِمَةِ الْبُخْتِ الْمَائِلَةِ ، لَا يَدْخُلْنَ الْجَنَّةَ وَلَا يَجِدْنَ رِيحَهَا ، وَإِنَّ رِيحَهَا لَيُوجَدُ مِنْ مَسِيرَةِ كَذَا وَكَذَا অর্থাৎ “দু শ্রেণীর মানুষ জাহান্নামে যাবে- যাদের আমি এখনো দেখি নি। (রাসূল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগে তাদের আত্মপ্রকাশ হয় নি) তারা হল-

ক. এমন কিছু লোক যাদের হাতে থাকবে গরুর লেজের মত লাঠি। এরা তা দিয়ে জনগণকে প্রহার করবে।

খ. এবং ঐ সব উলঙ্গ-অর্ধ উলঙ্গ বেপর্দা নারী যারা (নিজেদের চলাফেরা ও বেশ-ভূষায়) মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করবে এবং নিজেরাও অন্য মানুষের প্রতি আকৃষ্ট হবে। তাদের মাথায় উটের মত উঁচু হবে এবং একপাশে ঝুঁকে থাকা চূড়ার মতো কেশ রাশি শোভা পাবে। এ সমস্ত নারী জান্নাতে তো যাবেই না বরং জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না অথচ বহুদূর থেকে জান্নাতের সুঘ্রাণ পাওয়া যায়।” (মুসলিম)

আশার বাণী :
আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নৈরাশ হইও না। নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তোমাদের সব গুনাহ মাপ করে দিবেন। সুতরাং উপরোক্ত কাজগুলো কবিরা গুনাহের অন্তর্ভূক্ত হওয়া সত্বেও কোনো ব্যক্তি যদি তওবা করে তাহলে আশা করা যায় যে, আল্লাহ তাআলা তার তাওবাকারী বান্দাকে ক্ষমা করবেন। আর যদি তাওবা করার পূর্বেই মৃত্যু বরণ করে এবং আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা না করেন তবে তাদের পরিণতি জাহান্নাম।

তবে আল্লাহ তায়ালা নিজ দয়া ও ইনসাফের ভিত্তিতে এদের মধ্যে যাকে খুশি ক্ষমা করে দিবেন যদি সে শিরক থেকে দূরে থাকে। কেননা আল্লাহ তায়ালা বলেন: إِنَّ اللَّـهَ لَا يَغْفِرُ أَن يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَٰلِكَ لِمَن يَشَاءُ অর্থাৎ “নিঃসন্দেহে আল্লাহ সেই ব্যক্তিকে ক্ষমা করেন না, যে ব্যক্তি তাঁর সাথে শরিক করে। তিনি ক্ষমা করেন এর নিম্ন পর্যায়ের পাপ, যার জন্য তিনি ইচ্ছা করেন।” (সূরা নিসা : আয়াত ৪৮); তাছাড়া রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ( من مات وهو يعلم أنه لا إله إلا الله دخل الجنة (رواه مسلم অর্থাৎ “যে ব্যক্তি এমন অবস্থায় মারা গেল যে, (জীবিত অবস্থায়) সে ভালো করে জানত, ‘আল্লাহ্ ছাড়া আর কোন সত্য ও সত্যিকার মা‘বুদ নেই, সে ব্যক্তি অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে।” (সহীহ মুসলিম);

আখিরাতের ফয়সালার সময় আল্লাহ তাআলা যাদেরকে ক্ষমা করবেন না তাদেরকে তিনি জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করবেন। পাপের শাস্তি ভোগ করার পর আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। অর্থাৎ তাওহীদপন্থী কবীরা গুনাহে লিপ্ত ব্যক্তিরা প্রথম পর্যায়ে জান্নাতে প্রবেশকারীদের সঙ্গে জান্নাতে প্রবেশ করবে না বরং জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করে পরিশেষে জান্নাতে প্রবেশ করবে। কোন তওহীদপন্থীই অন্যান্য কাফেরদের মত চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামে অবস্থান করবে না। এটাই হল, আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের আকিদাহ। আল্লাহই সবচেয়ে ভালো জানেন। আল্লাহ আমাদের উপরোক্ত কাজগুলো থেকে হেফাজত করুন। সঠিক পথে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।

চাঁদপুর টাইমস ডটকমের সঙ্গে থাকুন। সুন্দর সুন্দর ইসলামী আলোচনা পড়ুন। কুরআন-হাদীস মোতাবেক আমলী জিন্দেগী যাপন করে রমজানের রহমত, বরকত ও মাগফেরাত অর্জন করুন। আমীন, ছুম্মা আমীন।

আপডেট :   বাংলাদেশ সময় : ০১:২৫ অপরাহ্ন,  ৬ শ্রাবণ ১৪২২ বঙ্গাব্দ, মঙ্গলবার ২১ জুলাই ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ

 

চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/এমআরআর/২০১৫

চাঁদপুর টাইমস ডট কমপ্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি