Home / জাতীয় / অর্থনীতি / চাঁদপুরের ব্যাংকগুলোতে সহস্রাধিক গ্রাহকের বিরুদ্ধে ঋণখেলাপীর মামলা
Money Rin

চাঁদপুরের ব্যাংকগুলোতে সহস্রাধিক গ্রাহকের বিরুদ্ধে ঋণখেলাপীর মামলা

চাঁদপুরে ব্যাংকগুলোর অর্থঋণ আদালতে ঋজু করা ১ হাজার ৮১ টি মামলা এখন ঝুলছে। জেলার ৮ উপজেলায় সোনালী, অগ্রণী, জনতা,কর্মসংস্থান,রূপালী ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের বিগত দিনের দায়ের করা ওই সব অর্থঋণের বিপরীতে দাবিকৃত টাকার পরিমাণ বর্তমানে দাঁড়িছে ৩ কোটি ১২ লাখ ৪৭ হাজার টাকা।

চাঁদপুরের সোনালী, অগ্রণী, কৃষি ও জনতা ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা থেকে গৃহীত ঋণের টাকা গ্রাহকরা সময়মত পরিশোধ না করায় বার বার ব্যাংকিং রীতি অনুযায়ী ব্যাংক ওই সব গ্রাহকদের বিরুদ্ধে অর্থঋণ আদালতে মামলা দায়ের করে। যাকে বলা হয় সার্টিফিকেট মামলা।

ব্যাংকের ঋণ আদায়ে যখন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মামলা রুজু করে তখন থেকে ওই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ঋণখেলাপীদের তালিকায় পড়ে যায়। চাঁদপুরে এর একটি আদালত রযেছে ।

সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের আঞ্চলিক কার্যালয়ের দেয়া তথ্য মতে,সোনালী ব্যাংকের ২০ টি , অগ্রণী ব্যাংকের ২শ’৫৮ টি, জনতা ব্যাংকের ১শ’১৩ টি, কৃষি ব্যাংকের ৬শ’ ৬৯ টি,কর্মসংস্থান ব্যাংকের ১৪ টি ও রূপালীর ৭ টি অর্থঋণ মামলা আদালতে ঝুলছে ।

অগ্রণী ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘ব্যাংক পারতপক্ষে অর্থঋণ মামলা দায়ের করতে চায় না। ব্যাংকের বিধি বিধান মতে একজন গ্রাহক ঋণ নেয়ার পর নির্ধারিত সময়ে ওই টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে ও ব্যাংক সকল প্রকার যোগাযোগ ও চিঠি চালাচালি করার পর গ্রাহক ঋণের টাকা পরিশোধ না করলে ব্যাংক তখনই ওই গ্রাহকের বিরুদ্ধে সমুদয় টাকা দাবি করে যে মামলা দেয়া হয় তাকেই অর্থঋণ বা সার্টিফিকেট মামলা বলা হয়।’

এরপর গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা আদায়ের বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করে আদালতের সিদ্ধান্তের ওপর । এ ক্ষেত্রে ব্যাংকের আর করার কিছুই থাকে না।

প্রসঙ্গত, জুন ২০১৮ পর্যন্ত অর্থঋণ আদালত ৮২ টি মামলা নিস্পন্ন করেছে এবং ৩১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা আদায় করেছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে । এদিকে ঋণখেলাপীদের তালিকা বড় হওয়ায় বিনিয়োগ জটিলতা বৃদ্ধি ও জেলার অর্থনেতিক পরিস্থিতি মন্দাভাব সৃষ্টিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে বলে মনে করছেন অর্থনীতি বিশ্লেষকরা।

প্রতিবেদক : আবদুল গনি
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৩: ৩৫ পিএম,১৮ আগস্ট ২০১৮,শনিবার
এজি

Leave a Reply