Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরে কৃষিঋণ-দারিদ্রবিমোচনে বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ২২৭ কোটি টাকা
news-tk-
প্রতীকী ছবি

চাঁদপুরে কৃষিঋণ-দারিদ্রবিমোচনে বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ২২৭ কোটি টাকা

চাঁদপুররে ৮ উপজলোয় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো ২০২০-২১ অর্থবছররে ২২৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা কৃষিঋণ ও দারিদ্রবিমোচনে বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ।

সংশিষ্ট ব্যাংকের আঞ্চলিক র্কাযালয়ের একজন কর্মকর্তা ৩১ আগস্ট এ তথ্য জানান ।

প্রাপ্ত তথ্য মতে , চাঁদপুরের ৮ উপজেলা ও জেলা সদরের সোনালী ব্যাংকের ২০ টি শাখার মাধ্যমে ১৩ কোটি ৪ লাখ টাকা, অগ্রণী ব্যাংকরে ২১ টি শাখার মাধ্যমে ১৭ কোটি ১৬ লাখ , জনতা ব্যাংকরে ১৫ টি শাখার মাধ্যমে ৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা, বাংলাদশে কৃষি ব্যাংকরে ২৮ টি শাখার মাধ্যমে ১৮৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ।

এদিকে ২০১৯-২০ এর জুন পর্যন্ত চাঁদপুর জেলার ঔ সব ব্যাংকে ১০ টাকার কৃষক হিসেবের সংখ্যা ২ লাখ ১২ হাজার ৪ শ’ এবং এর বিপরীধে টাকার পরিমাণ ৪ কোটি ৫২ লাখ ৯৫ হাজার টাকা ।

স্কুল হিসেবের সংখ্যা ৮ হাজার ৪শ ৪১ টি এবং এর বিপরীধে টাকার পরিমাণ ৩ কোটি ৭৬ লাক ১৯ হাজার টাকা ।

চাঁদপুর জনতা ব্যাংক আঞ্চলিক কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, এ সব ১০ টাকার হিসেবে কৃষকদের সব রকম কৃষিঋণ ও অন্যান্য সরকারি প্রণোদনা প্রদানের নির্দেশ রয়েছে ।

প্রসঙ্গত ,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিতা বিবেচনায় ২০১০ সালের ১৭ জানুয়ারি প্রথম কৃষকদের জন্য ১০ টাকার বিনিময়ে হিসাব খুলতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম নিবন্ধন সনদ অথবা কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ডের ফটোকপি এবং দু’কপি ছবি জমা দিয়ে হিসাব খুলছে কৃষকরা।

এসব হিসাব থেকে স্বল্প সুদে ঋণ দেয়া এবং কৃষকের সঞ্চয়ের ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ দেয়ার নির্দেশ দেয়া আছে বাংলাদেশ ব্যাংকের।

এছাড়াও দেশের বিভিন্ন জায়গায় অধ্যয়নরত কৃষকদের ছেলেমেয়েদের কাছে সহজে টাকা পাঠানো এবং বিদেশে অবস্থানরত আত্মীয়স্বজনরা সহজে টাকা পাঠাতে পারেন ব্যাংক হিসাবে।

সারা দেশে কৃষকের ব্যাংক হিসাব বাড়তে থাকায় পর্যায়ক্রমে মুক্তিযোদ্ধা, অতি দরিদ্র মহিলা, দুস্থ, ছিন্নমূল ও কর্মজীবী শিশু এমনকি ভিক্ষুকরাও যাতে ১০ টাকায় একাউন্ট খুলতে পারে সেজন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

একইভাবে স্কুল পর্যায়েও শিক্ষার্থীরাও যেন এ সুযোগ পায় কেন্দ্রিয় ব্যাংক সে ব্যবস্থাও করেছে। অন্যান্য একাউন্টের মত এসব একাউন্টের জন্য ন্যূনতম কোন স্থিতি রাখার প্রয়োজন নেই। বাড়তি কোনো চার্জও আরোপও নেই এসব ব্যাংক হিসাবে।

অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকাররা মনে করেন, কৃষকসহ সমাজের অন্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় নিয়ে আসায় কৃষি উপকরণ ও ভাতার টাকা বিতরণের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা সৃষ্টি হয়েছে।

পাশাপাশি কৃষকদের মধ্যে সঞ্চয়ের মনোভাব গড়ে উঠছে, যা ভবিষ্যতে দেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতির উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড.আতিউর রহমান ২০১০ সালে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সঞ্চয় উদ্বুদ্ধ করতে ‘স্কুল ব্যাংকিং’ কার্যক্রমের উদ্যোগ নেন। তবে শিক্ষার্থীরা টাকা জমা রাখার সুযোগ পায় ২০১১ সাল থেকে।

২০১১ সালে ১০ টাকা দিয়ে হিসাব খোলা হলেও পরে হিসাব খুলতে ১০০ টাকা জমা রাখতে বলা হয়। এসব হিসাব সাধারণ চলতি হিসাবে রূপান্তরের সুযোগও আছে।

আবদুল গনি , ৩১ আগস্ট ২০২০