Home / জাতীয় / করোনাভাইরাস ইস্যুতে বাংলাদেশের সব বিমান ও স্থলবন্দরে সতর্কতা
করোনাভাইরাস
করোনাভাইরাস

করোনাভাইরাস ইস্যুতে বাংলাদেশের সব বিমান ও স্থলবন্দরে সতর্কতা

আতঙ্ক ছড়াচ্ছে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া নিউমোনিয়াসদৃশ নতুন ভাইরাস করোনাভাইরাস । গত বছরের ডিসেম্বরে উহানের একটি সামুদ্রিক খাবারের বাজার থেকে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।

চীনে ইতোমধ্যে অর্ধশতাধিক মানুষ নতুন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন; যার মধ্যে ডিসেম্বরে একজন এবং গত বৃহস্পতিবার আরও একজন মারা গেছেন। ভাইরাসটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে সতর্ক করে সব দেশকেই প্রস্তুত থাকতে বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

এদিকে ‘উহান ভাইরাস’ বা ‘উহান নিউমোনিয়া’ নামে পরিচিত এ ভাইরাস নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো উদ্বিগ্ন বাংলাদেশও। এ ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকির পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে দেশের সবকটি নৌ-বিমান-স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ও আইএইচআর-২০০৫ স্বাস্থ্য ডেস্কগুলোয় বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

গত বুধবার ইমগ্রেশন পুলিশের সুপার এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ওসি ইমিগ্রেশন ছাড়াও সংশ্লিষ্ট সবক’টি দপ্তরে এ বিষয়ে চিঠি পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা।

পাশাপাশি চীন থেকে আসা এবং বাংলাদেশ থেকে চীনে ভ্রমণকারী সব যাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে প্রবেশ এবং গমনের অনুমতি দিতেও বলা হয়েছে। এ ছাড়া পরিস্থিতি মোকাবিলায় আজ সোমবার বিশেষ সভা ডেকেছে শাহজালাল বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য বিভাগ। কর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান ছাড়াও প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের। স্বাস্থ্য

অধিদপ্তরের পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে একটি নতুন ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। ভাইরাসটি চীনের পূর্বাঞ্চলের একটি মাছের বাজার থেকে ছড়িয়েছে। জেনেটিক সিকুয়েন্স পরীক্ষা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ভাইরাসটি ভয়াবহ সার্স ভাইরাসের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।

গত ৩১ ডিসেম্বর থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ৪১ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ভাইরাসটি ইতোমধ্যেই একজন ভ্রমণকারীর মাধ্যমে থাইল্যান্ডে সংক্রমিত হয়েছে। তবে প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী ভাইরাসটি মানুষ থেকে মানুষে বিস্তারের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা (আইএইচআর ও ইমারজিং ডিজিজ) ডা. মো. নাসির আহম্মেদ খান আমাদের সময়কে বলেন, এ ভাইরাসগুলো জুনোটিক, আর এ ভাইরাসের সংক্রমণে জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট হতে পারে- যা থেকে নিউমোনিয়ার মতো গুরুতর রোগ মৃত্যুর কারণ হতে পারে। চীন থেকে বাংলাদেশে আসা সব যাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর প্রবেশের অনুমতি দিতে সংশ্লিষ্টদের অনুরাধ করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত কারও অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

শাহজালাল বিমানবন্দরের স্বাস্থ্যকল্যাণ ডেস্কের সহকারী পরিচালক ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, ‘ভাইরাসটি যেহেতু চীন থেকে সংক্রমিত হচ্ছে সেহেতু ওই দেশ থেকে আসা সব যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। পাশাপাশি করোনাভাইরাস যেনো বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে, সে লক্ষ্যে ২০ জানুয়ারি সোমবার বিমানবন্দরে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।

প্রশিক্ষণে বিমানবন্দরে কর্মরত সব সংস্থার প্রতিনিধি এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা উপস্থিত থাকবেন।

বার্তা কক্ষ, ২০ জানুয়ারি ২০২০